ত্রিদেবের ইচ্ছা
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
তিনটে ছেলে একটা মাঠে
এক নির্জন জাযগায় বসে গল্প করছে।
তাদের দেখে মনে হয়
সবারই বয়েস বছর কুড়ি হয়েছে।
শিব জটা নিয়ে দৃপ্ত ভঙ্গিতে
তাকিয়ে কিছু ভাবছে।
গোপাল চুলের চূড়ায়
একটা ময়ূর লাগিয়ছে।
আর শেষ ছেলেটি ব্রহ্মার হাতে
কমন্ডুলুর মতো একটা পাত্র আছে।
সবাই নিজেদের মতো
কি যেন চিন্তা করছে।
শিব বললো, গৃথিবীতে মানুষ
বরো বেশি হিংস্র হয়ে গেছে।
গোপাল বললো, ইর্ষা, লোভও
মানুষ বড্ড হেশী বাড়িয়েছে।
ব্রহ্মা বললো, এব সঙ্গে
অনাচার সর্বত্র বেড়ে গেছে।
কোনও পুজো বা মাঙ্গলিক কাজেও
যা খুশি তাই করছে।
দেখ আমি তো সত্ব, রজ ও তম গুণ
সব কমবেশী করে পাঠাচ্ছি।
ব্রহ্মার কখা শুনে গোপাল বললো,
সামাজিক পরিবেশে তারা পাল্টাচ্ছে।
তিনজনেরই ইচ্ছা পৃথিবীকে
নতুন করতে হবে।
হিংসা, হানাহানি এসব
অনেক কমাতে হবে।
আমি নেক্সট ছʼমাসের ডেসপ্যাচে
সত্ব আর রজগুণটা একটু বাড়াচ্ছি ।
তমগুনটা যতো গন্ডোগোলের কারন
তাই ওটা খানিকটা কমিয়ে দিচ্ছি।
ব্রহ্মা, ʼশুধু ডেসপ্যাচ ঠিক করলে
তো আগামীটা ভাল হবেʼ।
ʼকিন্তু এখন যারা ঘুরে বেরাচ্ছে
তাদেরও তো ঠিক করতে হবেʼ।
গোপাল ততক্ষণে বাঁশী বাজাতে
শুরু করেছে একমনে।
পৃধিবীর মানুষের রাগ, ইর্ষা
আর হিংসা কমছে এই ধূনে।
এরপর গোপাল যে ধূন শুরু করে
লোভ কমিয়ে তাতেমনের জোর বাড়বে।
গোপালের শেষ ধূনে
মানুষের প্রেম ভালবাসার উন্মেষ হবে।
শিব ততক্ষণে হাত নাড়িয়ে
প্রচন্ড ঝড়ের সৃষ্টি করছে।
ওই ঝড়ে কিছু খারাপ মানুষের
মৃত্যুর ব্যাবস্থা হচ্ছে।
এ এক কল্প কাহিনি
যেখানে ত্রিদেব বড়ই চিন্তিত।
কিন্তু পৃথিরীটা পাল্টে
সত্যিই যদি এমন হতো?


