দূর্গাপুজো
Poetry

দূর্গাপুজো

Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

আশ্বিন মাসে দেবীপক্ষ আসে

         মহালয়ার পরদিন থেকে।

ভারতবর্ষের মানুষের মন

         আনন্দেতে নাচতে থাকে।

বৎসরান্তে দূর্গামা সপরিবারে

          আসেন এই মর্ত্যধামে।

বহু মানুষের রোজগার হয়

           পুজোয় বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে।

মায়ের সাথে আসেন

             মেয়েরা মা লক্ষ্মী আর মা সরস্বতী।

সঙ্গে দেব সেনাপতি কার্তিক

               আর সিদ্ধিদাতা গনপতি।

সব দেব দেবীর সঙ্গে

             আসে তাদের বাহনেরা।

সিংহ, পেঁচা, হাঁসের সঙ্গে

        আসে ইঁদুর আর ময়ুরেরা।

মায়ের আশীর্বাদে মহিষাসুরও আসে

               সঙ্গে নিয়ে মহিষটিকে।

সবাই যে পুজো নেয়

            মর্তবাসীর কাছ থেকে।

মা দূর্গার পুজো শুরু হয়

      দেবীপক্ষের মহাষষ্টিতে।

এদিন পুজোর কন্পারম্ভ হয়

        বোধনের কার্ষটিতে।

মায়ের নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে

        প্রতিষ্ঠা হয় নবপত্রিকা মহাসপ্তমীতে।

তারপরে দেবীর ঘট স্থাপন, দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা,

         দেবীর চক্ষুদান হয় একে একে।

মহাসপ্তমীর পরেরদিন

         শুরু হয় মায়ের পুজো মহাষ্টমীতে।

মায়ের কাছে ভক্তদের ভীড়

         লেগে যায় মাকে অন্জলী দিতে।

মহাষ্টমী ও মহানবমীর সংযোগ সময়ে যে

        বিশেষ পুজোটি হয় সেটি সন্ধিপুজোর ক্ষন।

পুরানের কাহিনি মতে এই সময়টিতেই

       মহিষাসুর মা দূর্গার হাতে বধ হন।

মহাষ্টমীর পরদিন মায়ের

               মহানবমী পুজো শুরু হয় ।

এদিন রাত্রে মায়ের যাবার কথা ভেবে

             ভক্তদের মন খারাপ আরম্ভ হয়।

রাত পোহালেই মায়র

            বিদায়ের ঘন্টা বেজে যাবে।

এ চিন্তায় ভক্তরা মনমরা,

            কাতর হয়ে থাকে।

মহানবমীর পরেরদিন মায়ের

             মহাদশমী পুজো শুরু হয়।

মাকে দধিকর্মা খাইয়ে

            মাকে বিসর্জন দেওয়া হয়।

ছলছল চোখে সবাই পরের বছর

         মাকে তাড়াতাড়ি আসতে বলে।

সন্ধ্যেবেলায় শোভাযাত্রা করে

          মায়ের প্রতিমা নিরন্জন হয় জলে।

কলকাতার দূর্গাপুজো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তখমায়

            কলকাতাকে অলংকৃত করেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন মানুষ তাই

        ছুটে আসে এই উৎসবে সামিল হতে।

LET’S KEEP IN TOUCH!

We’d love to keep you updated with our latest poetry and stories 😎

We don’t spam! Read our [link]privacy policy[/link] for more info.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *