
|| পিলুর পজিটিভ মাইন্ড ||
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Pilur Positive Mind
বারো বছরের ছেলে পিলু
খবরের কাগজ বিক্রি করে।
পড়াশুনা তার রাত্রের কাজ
সে এক মাস্টারমশায়ের বাড়ী গিয়ে পড়ে।
স্কুলে পড়ার টাকা নেই তার
সরকারী স্কুল নেয়না তাকে।
বার্থ সার্টিফিকেট নেই য়ে তার
জোগার করবে কোত্থেকে সে।
মাস্টারমশায়ের ফাইফরমাস কাজ করে দেয়
পড়ার ফিসের বিনিময়ে।
নেই কোনও তার স্কুলের পরীক্ষা
তাই ক্লাসও বাড়ে না পরীক্ষা দিয়ে।
মাস্টার মশাই পড়ান তাকে
সেইসব ক্লাসের ছাত্রের সাথে,
পিলুর নলেজ যাদের সমান
এতদিনে পড়ে তার কাছে।
বাড়ীতে আছে বিধবা মা
কয়েক বাড়ীতে কাজ করে সে।
মা সবসময়ই পিলুকে বলে
ʼভাল মানুষ হতে হবে যেʼ।
ʼসত্যি কথা বলবি পিলুʼ
ʼভাল কাজ করবি তুইʼ।
ʼজীবনটাতে বাঁচতে হবেʼ
ʼসঠিক পথে চলবি তুইʼ।
ʼভগবান তোকে পয়সা দেবেʼ
ʼকাজ করে যা কষ্ট করেʼ।
মায়ের এসব কথা পিলু
বেদ বাক্য মনে করে।
একদিন তার মাথায় আসে
দুধ সাপ্লাই করতে হবে।
হাফ লিটার পাউচ বিক্রি করলে
দুটাকা তো হাতে আসবে।
যেমন ভাবা তেমনি কাজ
সব কাগজ কাস্টমারদের জিজ্ঞেস করে।
কোন দুধ তারা কতটা নেয়
সে ব্যাপারে খোঁজ করে।
এবার শুরু দুধ আর কাগজ
একসঙ্গে বিলি করা।
রোজগারটাও ডাবল এবার
কষ্ট হচ্ছে একলা করা।
আরেকটি ছেলে জোগার করে
তার সঙ্গে কাজ করতে।
কাস্টমারের সঙ্গে তার
হেল্পিং-হ্যান্ড বাড়তে থাকে।
এমনি করে বাড়ে তার কাজ
টাকা পয়সাও জমতে থাকে।
একদিন এক বাড়ীর দালালের কাছে
খোঁজ করে কোন বাড়ী আছে।
ছোট্ট একটা টালির ঘর
পছন্দ হয় তা দেখে।
পঁচিশ হাজার এডভ্যান্স দেয়
ওই ঘরটা বুক করতে।
এরপরে ব্যাঙ্কে দিতে হবে
চার হাজার করে প্রতি মাসে।
পাঁচবছরে তার লোন শোধ হবে
নিজের বাড়ীর মালিক হবে সে।
পাঁচবছর পর নিজের বাড়ী
মা এখন যায় না বাইরে।
ছেলের সঙ্গে ঘরেই থাকে
নিজের বাড়ীর কাজকর্ম করে।
মাস্টারমশায়ের কথামত
স্কুল-ফাইনালের ফর্ম ফিলাপ করে।
পড়াশুনা চালিয়ে গেছে সে
ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করে।
ডিস্টিবিউটারশিপ নেয় এবারে
বিজনেসটা আরও মজবুত করে।
পিলু এখন পিলুবাবু
অফিস তার নিজের ঘরে।
বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে
একটা পাকা বাড়ী পিলু কেনে।
মা বলেছে, বিয়ে করতে হবে
আগে থেকেই সেটা জেনে।
টুকটুকে এক বৌ আসে
পিলুর নতুন বাড়ীতে।
মোটোর বাইক কিনে ফেলে
লাগবে সংসারে আর কাজেতে।
ভাল মানুষ হয়েছে সে আজ
মায়ের কথা মতো।
পড়াশুনা চালিয়ে যায সে
গ্রাজুয়েশন করতে হবে তো।

