
|| মান্না দের বুকে ব্যথা কেন?||
Manna Deyer Buke Byatha keno?
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
মান্না দে রোজকার মতো গানের রেওয়াজ
করছিলেন ব্যাঙ্গালোরের বাড়ীতে।
হঠাৎ গান বন্ধ করতে হলো
তার বুকে অসম্ভব ব্যথাতে।
দেবী শেঠিকে ফোন করা হলো
তিনি বললেন পরীক্ষা করতে হবে।
তাই ওনার সাজেসন, ইমেডিয়েটলি
হসপিটালে অ্যাডমিট করতে হবে।
মান্না দে তাই চললেন
দেবী শেঠির হসপিটালের পথে।
মান্না দের সঙ্গে তার
এক আত্মিয়ও যাচ্ছেন তার সাথে।
হসপিটালালের গেটের মুখে
বেশ ভালো ভীড় আছে জমে।
সামনে একটু এগিয়ে
বোঝা গেল আসল ব্যাপারটি ক্রমে।
বাইরের কেউ নয়, হসপিটালের
কর্মচারীরাই দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে।
ডঃ শেঠির কাছে খবর পেয়ে
সবাই ফুল জোগার করে এনেছে।
মান্না দে যখন গেটের
সামনে পৌঁছুলেন,
সবাই তার হাতে ফুল দিয়ে
তাড়াতাড়ি আরগ্য কামনা করলেন।
মান্না দে খুবই
অপ্রস্তুত হলেন।
এই সতঃস্ফুর্ত অভিবাদনে
আপ্লুত হয়ে পরলেন।
মানুষের এমন ভালবাসা পেয়ে
তার মনটা খুশিতে ভরে গেল।
তার চোখ থেকে কখন যেন
আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়লো।
তাকে হসপিটালে তাড়াতাড়ি
এ্যাডমিট করানো হলো।
একটু বাদে তার
চিকিৎসাও শুরু হলো।
ডঃ শেটি মান্না দে কে
পরীক্ষা করলেন।
আর কিছু টেস্ট করানোর
তখনই ব্যবস্থা করলেন।
বললেন, ʼদেখুন আপনাকে ওই টেস্টগুলোরʼ
ʼজন্য অপেক্ষা করতে হবেʼ।
ʼসম্ভবতঃ তেমন ক্রিটিকাল কিছু হয় নিʼ
ʼতবে টেস্টের রেজাল্টে তা কনফার্ম হবে।ʼ
টেস্টের রেজাল্টগুলো
মোটামুটি ভালই এলা
খুব তাড়াতাড়ি
মান্না দের শরীর সুস্হও হয়ে গেল।
মান্না দেকে দেবী শেঠি বললেন,
ʼআপনি এখন সম্পূর্ণ সুস্হ হয়ে গেছেনʼ।
ʼআপনাকে আজই ছেড়ে দেবʼ,
ʼতবে ওষুধগুলো দুমাস খেয়ে যাবেনʼ।
মান্না দে খুশি হয়ে বললেন,
ʼথ্যাঙ্ক ইউ ডক্টর, আমি এখন একদম ভালʼ।
আমার বিলটা পাঠিয়ে দিন প্লিজ
আর রিলিজ সার্টিফিকেটটা লিখে দিন।
একটু পরে লম্বা একটা বিল এল
মান্না দের হাতে।
কিন্তু এ কি!, বিলে সব আইটেমই আছে,
কিন্তু শূন্য বসানো চার্জের সব জায়গাটাতে।
মান্না দে দেবী শেঠিকে ডাকলেন,
ʼডাক্তারবাবু এ কি করে হয়ʼ?
ʼবিলের টোটাল চার্জ জিরো ʼ?
ʼভুল হয়েছে বোধহয়ʼ।
ʼস্যার, আপনার গান শুনেʼ
ʼছোটোবেলা থেকে বড় হয়েছিʼ।
ʼতখন ঐ সব গানেʼ
ʼখুশিতে আপ্লুত হয়েছিʼ।
ʼআর আপনার বেদনার গানেʼ
ʼমনে দুঃখ অনুভব করেছিʼ।
ʼতাই সেই মানুষটাকে সেবা করতে পেরেʼ
ʼমনে একটু আনন্দ পেয়েছিʼ।
মান্না দে জড়িয়ে ধরলেন
ডঃ দেবী শেঠিকে।
কোনও কথা বেরলো না
তাঁর মুখ থেকে।
মনে মনে ভাবলেন, মানুষের এত
ভালবাসা আমার গানে।
এক অসীম পরিতৃপ্তি পেলেন
নিজের প্রাণে।

