
|| শানু পড়তে বোস ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Shanu Porte Bos
ʼএই শানু পড়তে বোসʼ,
শান্তির মা রমা বলে।
ক্লাস ফাইভে পড়ে শান্তি
সে ঘুম থেকে উঠে পরে।
আজকের হোম ওয়ার্কের কাজটা বাকী
চটপট সেরে ফেলে কাজটা।
অন্য সব ক্লাসের পড়াও
শেষ করে ফেলে সে সবটা।
এক ঘন্টায় সব পড়া সেরে
চলে যায় সে প্র্যাকটিসে।
স্কুলে আজ ক্রিকেট ম্যাচ
জিততে হবে আজকে।
তার ক্লাসের ক্যাপটেন সে
অনেক দায় তার ওপরে।
সে ভাল খেললে ক্লাস জেতে
হারজিতটা তারই হাত ধরে।
রমা স্কুলে যায়
ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে।
রমেনের মা প্রীতিও স্কুল থেকে ফিরে যায়
ছেলেকে পৌঁছে দিয়ে।
প্রীতির সঙ্গে রমার
দেখা হয় স্কুলে।
প্রীতি সব সময় ছেলের
পড়াশুনার কথাই সবাইকে বলে।
ʼরমেনকে আমার পড়ার কথাʼ
ʼবলতেই হয় নাʼ।
ʼবাড়ীতে লোকজন এলেওʼ
ʼরমেন বই-খাতা ছাড়ে নাʼ।
এসব রোজ শুনে শুনে
রমা হীনমন্যতায় ভোগে।
রাত্রে ঘুমের সময়ও নিদ্রাহীন কাটে
এই সব কথা সে ভেবে।
সেদিন ছিল শনিবার সন্ধ্যেবেলা,
শান্তি পাড়াতে একটা ম্যাচ খেলে খুব ক্লান্ত হয়ে পরে।
পড়তে বসে কখন চোখটা লেগে যায়
পিঠে দড়াম করে মার খেয়ে, সে হকচকিয়ে উঠে পরে।
দেখে রমা বিছানায় শুয়ে
উপুর হয়ে কাঁদছে।
শান্তির বাবা রণেন বলে, ʼএত চিন্তার কিছু নেইʼ,
ʼশান্তি ঠিকই পড়াশুনা করছেʼ।
একটু পরে সবাই ডিনার খেয়ে
শুয়ে পরে যে যার বিছানাতে।
একই ঘরে দুটি বিছানা,
বাঁদিকে রমা-রণেনের আর শান্তির ডানদিকে।
রণেন রমাকে বলে, ʼআজকাল ইন্ডাস্ট্রিতেʼ
ʼফার্স্ট বয়কে কেউ চায় নাʼ,
ʼচায় অল স্কোয়ার ছেলেমেয়েদেরʼ।
ʼতাই পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে লাগে নাʼ।
শান্তি রোজই বিছানায় শুয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পরে,
আজ হঠাৎ শান্তি মুখ তুলে বলে, ʼমা তুমি কেঁদ নাʼ,
ʼকাল থেকে আমি রোজ পড়া করবʼ,
এই বলে সে রোজকার মতো ঘুমিয়ে পরে।
রণেন পরে রমাকে বলে,
যে ছেলে মায়ের কান্না দেখে রাত জাগে,
আর প্রমিশ করে মাকে ভোলাতে,
সে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে।
জীবনে ফার্স্ট হতে
পুঁথিগত বিদ্যা তত জরুরী নয়.
কমন সেন্সের
অনেক বেশী প্রয়োজন হয়।

