• || মর্নিং ওয়াক ||
    Poetry

    || মর্নিং ওয়াক ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Morning Walk

    ʼবাটা মাছ কত করেʼ?

                          ʼকিলো আড়াইশো টাকাʼ।

    ʼপাঁচশো দেʼ, মাছওলা বলে, ʼনা ছʼশো করে দিʼ,

                                        ʼদেড়শো টাকাʼ।

    ʼআচ্ছা দেʼ, আসলে জ্যান্ত মাছ দেখে

                                      ইচ্ছা হলো কিনতে।

    আধ ঘন্টা আগে বাড়ী থেকে বেড়িয়েছি

                                এসব কাজ ফেরার পথে।

    তার আগে অবশ্য গরম জিলিপি কিনলাম

                                  মিষ্টির দোকান থেকে।

    হেঁটে যেটুকু ক্যালোরি কমলো

                                  তার সবটাই যাবে এতে।

    নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করলে

                                   শরীর ঠিক থাকে।

    তবে একটু-আধটু গন্ডগোল করলে

                           এক ঘেঁয়েমি কাটে এতে।

    পার্কের ভেতরে ঢুকিনি আজকে

                            পাশ দিয়ে আসছিলাম।

    দেখি বেশকিছু ছেলেমেয়েরা

                          পার্কের লেকে সাঁতার কাটছে।

    গরম যা পড়েছে , জলে নেমে

                          সবাইকে বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছে।

    কোনোও এক বেঞ্চে এক প্রৌড় স্বামী-স্ত্রী

                              কিছুকথা বলাবলি করছে।

    কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দল

                         আলাদা আলাদা করে বসেছে।

    মানে বৃদ্ধরা একদিকে

                             আর বৃদ্ধারা  অন্যদিকে।

    বৃদ্ধরা মনে হʼল পলিটিক্স নিয়ে

                             গুরুগম্ভীর আলোচনায় ব্যস্ত।

    ওদিকে বৃদ্ধারা বেশ হাসাহাসি করছে

                            কি নিয়ে তা বোঝা কষ্ট।

    এই সব দেখতে দেখতে আর সকালের

                               রোদ্দুর গায়ে মেখে হাঁটছি।

    মাছওলার কাছে মাছ কিনে

                                বাড়ীর পথে রওনা দিয়েছি।

  • ||এ আই পরমানু বোমার থেকেও মারাত্মক হতে পারে||
    Poetry,  Poetry on hot topics

    ||এ আই পরমানু বোমার থেকেও মারাত্মক হতে পারে||

    Audio File

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    AI can be dangerous than atom bomb

    আজকের দিনে মানুষ

              ভাবতে পারে না এ আই ছাড়া।

    সৃষ্টির উন্নয়নে আজকে

               দিনরাত এক করছে তারা।

    যে কোনোও কাজের উৎকর্ষে

                 এখন এ আই-এর সাহায্য লাগে।

    পড়াশুনা থেকে শুরু করে

                  মেডিক্যাল সায়েন্সের কাজে।

    কিন্‌তু উৎকর্ষের শেষ নেই

                    এ কাজ চলতেই থাকবে।

    চলতে চলতে মানুষ

                  কোথায় পৌঁছবে?

    মানুষের নিজের ক্ষমতা থেকে

                  আগামী দিনে একদিন আসবে,

    যেদিন মানুষের সৃষ্ট মেশিনের

                  ক্ষমতা অনেক বেশী হবে।

    সেদিন মেশিন হয়তবা

                 মানুষকেই অবহেলা করবে।

    আর মানব সভ্যতার অস্তিত্ব

                 সংকটের মধ্যে পড়বে।

    এছাড়া এ আই-কে যদি কেউ

                  খারাপ কাজে ব্যবহার করে।

    সেদিন ফ্রাকেনস্টাইনের মতো

                যন্ত্রদানব সৃষ্টি হতে পারে।

    সেই যন্ত্রদানবের ক্ষমতা অতিমারী বা

              পরমাণু বোমার থেকেও বেশী হতে পারে।

    যা নষ্ট করতে হলে

                সেদিন মানুষেই বিপদে পড়তে পারে।

    আবার এ আই সমৃদ্ধ কম্পিউটার

              অনেক মানুষের মেধার থেকে উন্নত হবে।

    তখন এ আই-এর জন্যে সেই সব মানুষের

               চাকরি হারাবার সম্ভাবনা থাকবে।

    এসব চিন্তায় বিজ্ঞানীরা

                  এখন নিজেরাই শঙ্কিত।

    চ্যটজিপিটির জন্মদাতা, গুগুল এবং আরো

           অনেক বিজ্ঞানীরা এব্যাপারে একত্রিত।

    এরা সবাই চায় এ-আই-এর

                   ক্ষমতা যেন সীমাবদ্ধ হয়।

    যাতে মানুষের বিকাশের কারণ

             ভবিষ্যতে মানুষের বিরুদ্ধে না যায়।

    এজন্য বিজ্ঞানীদের একটি দল

           আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করবে।

    যাতে এ আই-এর প্রগতির সীমা

                  আইন করে বেঁধে দেওয়া যাবে।