-
|| বাবাকে জানলো পনেরো বছর পর ||
Audio File Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Babake Janlo Panero bachar por
পনেরো বছর আগে, সপ্না জন্ম দিল
এক টূইন ডটারের।
অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনিক সেন্টারে
জন্ম হʼল তাদের।
সেন্টার স্বামীর শুক্রানুর বদলে
অন্য লোকের শুক্রানু প্রতিস্থাপিত করে।
সেই গন্ডগোল জানা গেল
প্রায় পনেরো বছর পরে।
সরকার ফাইন করেছে
এক লক্ষ টাকা ডিরেক্টরকে।
আর তিরিশ হাজার টাকা
অপরাধী ডাক্তারকে।
পনেরো বছর পর, মেয়ে দুটি জানলো খবর
তাদের নতুন বাবার।
কিন্তু কি অপরাধ ছিল মেয়ে দুটির আর
তাদের পুরোনো বাবার?
-
|| টাইটানে রুবিক্স কিউব ||
Audio File Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Titane Rubix Cube
উনিশ বছরের এক কিশোরের
শখ রুবিক্স কিউব নিয়ে।
বারো সেকেন্ডে সল্ভ করতো সেটা
সবাইকে তাক লাগিয়ে।
বাবার অনুরোধে টাইটানে সে গিয়েছিল
এ্যাডভেন্চার করতে।
তার মনে ছিল, বারো হাজার ফুট নিচে
বারো সেকেন্ডে রুবিক্স সল্ভ করবে সে।
বাবার কাছে একটা ভালো ক্যামেরাও কেনে সে
এ কাজটা রেকর্ড করতে।
এ কাজটায় বিশ্বরেকর্ড করে
গিনেস বুকে নাম লেখাতে।
আটলান্টিকের ধ্বংসাত্বক বিস্ফোরণে
প্রান গেল সবার।
সাগরের অতলে ধ্বংস হলো তার ইচ্ছা
গিনেস বুকে নাম লেখাবার।
-
|| সময় পাব না, ওই কাজটা আছে ||
Audio File
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas KobitaSamay Pabo na, Oi Kaajta Aache
কাজ তো আমরা অনেক করি,
সকাল থেকে রাত্রি।
একটু নিয়ম মানলে পরে
কাজ মনে হবে এক রত্তি।
প্রাকৃতিক কাজ – ঘুমোনো, খাওয়া, …..
এসব না করলে উপায় নেই।
রুটিন কাজ – দাঁত মাজা, অফিস যাওয়া ….
এগুলো তো করতে হবেই।
আরজেন্ট কাজ আসেই সবার
কারো বিয়েতে যাওয়া, কারও বা অন্য কিছুই।
মেন্টেন্যান্স কাজ সবাইকেই করতে হয়
যখন তার সময় থাকে তখনই।
এসব ছেড়েও, কারো রিকোয়েস্টে
অন্য কাজেরও সময় চাই।
কেউ বলবে, আমি দারুন ব্যস্ত,
আমার দম ফেলারও সময় নেই।
একটা উপায় আছে কিন্তু
নতুন কাজটা করার।
নিজের হাতেই সবার আছে
কাজের গতি বারাবার।
সব কাজে সমান
কনসেনট্রেশন লাগে না।
তাই সেসব কাজ মেকানিক্যালি করলে
সময় বাঁচাতে অসুবিধা হয় না।
এছারা প্রোআ্যাকটিভলি কোনোও কাজ
আগামী দিনগুলোর জন্য করলে আগে,
কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায় এবং
সময়ও অনেক কম লাগে।
অনেকে আবার কিছু কাজ ফেলে রেখে
লেজারের পিছনে ছোটা অভ্যাসই।
কিন্তু কাজ ফেলে রেখে লেজার করা
একেবারে নিয়ম বিরুদ্ধই।
তাই অভ্যাসটা যদি হয়
নতুন কাজটা করে দেবার।
সব কাজই ঠিকমতো হবে
সঙ্গে মন ভাল হবে নিজের ও সবার।
-
|| রাম ডাক্তার ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Ram Dakter
রামবাবু একটি প্রত্যন্ত গ্রামে
করেন ডাক্তারী।
ছʼফুট দু ইন্চি লম্বা মানুষটি
দেখতে খুবই রাশভারী।
তার গলার আওয়াজটিও
বেশ গমগমে।
এম.বি.বি.এস পাশ করে
ফেরেন নিজের গ্রামে,
ছেড়ে দিয়ে শহরের
লোভনিয় চাকরী।
তাঁর মতে, নিজের চিকিৎসা দিয়ে
গ্রামের মানুষদের সেবা করা বেশী দরকারী।
গ্রামে যে মানুষগুলো থাকে
তারা বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
সত্যিই অসুখ করলে
এখানে সবাই খুব অসহায়।
আবার শহরে চিকিৎনা করতে গেলে
লাগে অনেক সময়।
এছাড়া টাকা পয়সাও
অনেক বেশী খরচ হয়।
এখানে আশেপাশের গ্রামেও
ভাল ডাক্তার নেই।
তাই সবাই ছুটে আসে
এই রাম ডাক্তারের কাছেই।
ধন্বত্বরি ডাক্তার উনি
সব রোগেরই চিকিৎসা করেন।
কম খরচে, কম ওষুধে
পেসেন্টকে সুস্হ্য করেন।
দূরের গ্রাম থেকে কল এলে
ওনার ঘোড়া দিগ্বিজয় ছাড়া তিনি যান না।
আবার কাদা মাটির রাস্তায়
চট করে অন্য কিছু মেলেও না।
এছাড়া রাত বারটা, ভোর চারটে,
কোনোও সময়ই উনি কাউকে ফেরান না।
পেসেন্টের আর্থিক অবস্থা বুঝে
তিনি তাঁর ফিস ছেড়ে দেন।
এমন কি তারা বাড়ীতে দিয়ে
কি খাবে তারও খোঁজ নেন।
তার প্রেস্ক্রাইভ করা ফল, দুধ কেনার অক্ষমতা বুঝলে
তিনি টাকাও দিয়ে দেন।
তাই এই জেলায় গরীব মানুষের কাছে
রাম ডাক্তার ভগবান।
-
|| কথা না কাজ ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Kotha na Kaaj
কোনটি বেশী জরুরী,
কখা না কাজ।
কাজকে সবাই এগিয়ে দেবে
এখন দেখা যাক।
বাচিক শিল্পী হলে
কথা বলাটাই তো তার কাজ।
আবার রঙের মিস্ত্রি হলে
রঙ করাটাই তার কাজ।
তাই সমান-সমান,
দুটোই সমান দরকারী।
এখন কখন কোনটা প্রয়োজন
সেটা জানাটাই বেশী জরুরী।
একটি ছেলে তখন সে
ম্যাথসে অনার্স পরীক্ষা দেবে।
একটা সময় সে ঠিক করলো
কথা বলা বন্ধ করবে।
দিনের পর দিন
সে ইসারায় কথা বলে।
অঙ্ক করা ও তার চিন্তায়
এইভাবে তার দিন চলে।
পুরো এনার্জির বেশীর ভাগটাই
সে অঙ্কের জন্য খরচ করে।
এতে প্রিপারেশন তো ভাল হলো
সময়টা ঠিক খরচ করে।
তাতে তার পরীক্ষায় তো নিশ্চয়ই
সুফল হলো,
কিন্তু বেশ কিছুদিন কথা না বলায়
কথা বলায় গন্ডগোল হলো।
আগের মতো এক নাগারে
তার কথা বলতে অসুবিধা হয়।
নতুন যারা তাকে দেখলো, তারা ভাবলো
এর গন্ডগোল আছে কথা বলায়।
মাস খানেক পর
ব্যাপারটা ঠিক হলো।
এ যে কথা বলতে পারে
এটা সবাই বুঝলো।
তাই যেটি দরকার
সেটিই করুন।
মানুষের এনার্জি লিমিটেড,
তাই সেটির সঠিক খরচ করুন।
-
|| টাইটানিক ও টাইটান ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Titanic o Titan
টাইটানিকের মতো টাইটানও ধ্বংস হলো
দু হাজার তেইশে।
কʼদিন আগে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ
দেখতে গেল পাঁচজন।
তারা যে সাবমেরিনে করে দেখতে গেল
তার নাম টাইটান।
উনিশশো বারো সালে
টাইটানিক ধ্বংস হয়।
আর দু হাজার তেইশে, তাকে দেখতে গিয়ে
টাইটানও শেষ হয়ে যায়।
টাইটান সাবমেরিন বিস্ফোরণে
চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।
বিস্ফোরণের কারণ
জানা যাবে পরে।
টাইটানের পথ-প্রদর্শক জাহাজ
বিচ্ছিন্ন হয় শুরুর পোঁনে দু ঘন্টা পরে।
এটা সম্ভবত প্রধান কারণ
হলেও হতে পারে।
টাইটানিকের ধ্বংসে
এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছিল।
টাইটানেও আরেক দম্পতি, পাইলট এবং
তার স্ত্রীর মৃত্যু হলো।
টাইটানিকের মৃত দম্পতির গ্রেট গ্রেট গ্র্যানচাইল্ড,
টাইটানের পাইলটের স্ত্রী ছিল।
তাই অভিশপ্ত টাইটানিকের
যে দম্পতির মৃত্যু হয়,
সেই পরিবারেরই একশো এগারো বছর পর
আরেক দম্পতির মৃত্যু হলো।