• || ঝড় ||
    Poetry

    || ঝড় ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Jhar

    এই কালবৈশাখীর ঝড়ে

    উড়িয়ে নিয়ে যাক সব কলুষতা।

    যত শুকনো ডালপালা আছে

    শেষ হোক সব মলিনতা।

    ঝড়ের শেষে-

    বৃষ্টি নামুক অঝোরে।

    শুকনো ডালে দেখা দিক

    সবুজের প্রাণস্পন্দন।

    ঝলমলিয়ে উঠুক পৃথিবী,

    সর্বত্র হোক দৃষ্টিনন্দন।

    মানুষ প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিক,

    থাকুক মুখে তার হাসি।

    রঙিন এই পৃথিবীর ছবি,

    আমরা সবাই ভালবাসি।

  • || আলো ||
    Poetry

    || আলো ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Alo

    এত অন্ধকার কেন?

    মানুষে মানুষে এত হানাহানি,

    এত বিদ্রুপ, এত কানাকানি?

    সিংহাসনের দিকে ল্যলুপ দৃষ্টি,

    এরাই কি বিধাতার সৃষ্টি?

    সূর্য্যের তো এত আলো…

    পৃথিবীতে সেটা কোথায় গেল?

    তবুও এত অন্ধকার কেন?

    মানুষ নিজের হাত, নিজেই দেখতে পাচ্ছে না.

    এ পৃথিবী নিঃচিহ্ন হবে যেন।

    কবে আসবে সেই আলোর দিশারী?

    কবে পৌঁছুবে সেই আলো?

    প্রতিটা প্রাণে তাঁর পদধ্বনি অনুরণিত হবে.

    ঘুচবে পৃথিবীর যত কালো।

    পৃথিবী উদ্ভাসিত হবে সেই আলোতে,

    মানুষের নতুন প্রাণ জন্ম নেবে।

    সবুজের সুঘ্রাণে চারিদিক ম ম করবে,

    মানুষ বাঁচবে।

  • || সুপার-মুন ও ব্লু-মুন ||
    Poetry

    || সুপার-মুন ও ব্লু-মুন ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Super-moon o Blue-moon

    আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে

             অনেকেরই ভাল লাগে।

    সেই সব মানুষের জন্য সুখবর জানাই

             একটু আগে ভাগে।

    পৃথিবীর চারদিকে চাঁদ ঘুরছে

               উপবৃত্তাকার পথে।

    তাই খুব কাছাকাছি চলে আসে

            কখনও ঘুরতে ঘুরতে।

    সেই চাঁদ অনেক বড়

              অন্যদিনের থেকে।

    সুপার-মুন হয় তখন

               বিজ্ঞানীদের মতে।

    কোনও কোনও মাসে

          পূর্ণিমা হয় একবার নয় দুবার।

    ব্লু-মুন তাকেই বলে

              রঙটা একই থাকে সে বার।

    তিন জুলাই, দুই আগস্ট আর

              উনত্রিশে সেপ্টেম্বরে,

    সুপার-মুন হবে এবার

         বিজ্ঞানিরা মনে করে।

    দুই আর একত্রিশ আগস্টে

            পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যাবে।

    ঐ দিনে ব্লু-মুন

             সবাই দেখতে পাবে।

  • || শানু পড়তে বোস  ||
    Poetry

    || শানু পড়তে বোস  ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Shanu Porte Bos

    ʼএই শানু পড়তে বোসʼ,

              শান্তির মা রমা বলে।

    ক্লাস ফাইভে পড়ে শান্তি

                সে ঘুম থেকে উঠে পরে।

    আজকের হোম ওয়ার্কের কাজটা বাকী

                   চটপট সেরে ফেলে কাজটা।

    অন্য সব ক্লাসের পড়াও

                   শেষ করে ফেলে সে সবটা।

    এক ঘন্টায় সব পড়া সেরে

                     চলে যায় সে প্র্যাকটিসে।

    স্কুলে আজ ক্রিকেট ম্যাচ

                    জিততে হবে আজকে।

    তার ক্লাসের ক্যাপটেন সে

                   অনেক দায় তার ওপরে।

    সে ভাল খেললে ক্লাস জেতে

                  হারজিতটা তারই হাত ধরে।

    রমা স্কুলে যায়

                    ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে।

    রমেনের মা প্রীতিও স্কুল থেকে ফিরে যায়

                  ছেলেকে পৌঁছে দিয়ে।

    প্রীতির সঙ্গে রমার 

                    দেখা হয় স্কুলে।

    প্রীতি সব সময় ছেলের

                  পড়াশুনার কথাই সবাইকে বলে।

    ʼরমেনকে আমার পড়ার কথাʼ

                      ʼবলতেই হয় নাʼ।

    ʼবাড়ীতে লোকজন এলেওʼ

                 ʼরমেন বই-খাতা ছাড়ে নাʼ।

    এসব রোজ শুনে শুনে

                           রমা হীনমন্যতায় ভোগে।

    রাত্রে ঘুমের সময়ও নিদ্রাহীন কাটে

                           এই সব কথা সে ভেবে।

    সেদিন ছিল শনিবার সন্ধ্যেবেলা,

       শান্তি পাড়াতে একটা ম্যাচ খেলে খুব ক্লান্ত হয়ে পরে।

    পড়তে বসে কখন চোখটা লেগে যায়

         পিঠে দড়াম করে মার খেয়ে, সে হকচকিয়ে উঠে পরে।

    দেখে রমা বিছানায় শুয়ে

                          উপুর হয়ে কাঁদছে।

    শান্তির বাবা রণেন বলে, ʼএত চিন্তার কিছু নেইʼ,

           ʼশান্তি ঠিকই পড়াশুনা করছেʼ।

    একটু পরে সবাই ডিনার খেয়ে

                        শুয়ে পরে যে যার বিছানাতে।

    একই ঘরে দুটি বিছানা,

           বাঁদিকে রমা-রণেনের আর শান্তির ডানদিকে।

    রণেন রমাকে বলে, ʼআজকাল ইন্ডাস্ট্রিতেʼ

                       ʼফার্স্ট বয়কে কেউ চায় নাʼ,

    ʼচায় অল স্কোয়ার ছেলেমেয়েদেরʼ।

                ʼতাই পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে লাগে নাʼ।

    শান্তি রোজই বিছানায় শুয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পরে,

    আজ হঠাৎ শান্তি মুখ তুলে বলে, ʼমা তুমি কেঁদ নাʼ,

     ʼকাল থেকে আমি রোজ পড়া করবʼ,

    এই বলে সে রোজকার মতো ঘুমিয়ে পরে।

    রণেন পরে রমাকে বলে,

            যে ছেলে মায়ের কান্না দেখে রাত জাগে,

    আর প্রমিশ করে মাকে ভোলাতে,

             সে একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে।

    জীবনে ফার্স্ট হতে

    পুঁথিগত বিদ্যা তত জরুরী নয়.

    কমন সেন্সের

    অনেক বেশী প্রয়োজন হয়।

  • || এক কিশোরের চোখে গ্রাম ||
    Poetry

    || এক কিশোরের চোখে গ্রাম ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Ek Kishorer Chokhe Gram

    শহরের ছেলে বিলু

              গ্রাম দেখেনি বড় একটা।

    হঠাৎ যায় সে বাবার সাথে

            দেখতে বাবার মামার বাড়ীর গ্রামটা।

    শহরের লোক গ্রামে এসেছে

               এতো বিরাট বড় খবর।

    আলাপ করতে আসে অনেক লোক

            সব হোমরা চোমরা তাবড় তাবড়।

    খুব মজা পায় এসব দেখে

            এত খাতির শহরের লোকের?

    বাড়ীর একজন দেয় আমাদের

            নানান নাড়ু আর খেজুর।

    বিরাট উঠোন বাড়ীর সামনে

              বিরাট বড় রোয়াকটাও।

    চারিদিকে নানান জিনিষ,

              বুঝতে পারছে না সে কোনোটাও।

    সামনে দেখে গোলাকৃতি

      ছোট্ট একটা ঘর আর ছাউনি খড়ের।

    নাম তার গোলা,

             মজুত হয় সেখানে ধানের।

    দূরে একটা ঘরে দেখে,

            গরুরা খাচ্ছে কিন্‌তু খুঁটিতে বাঁধা।

    সেই ঘরের নাম গোয়াল,

        সেখানে গোবরের পাহাড় কেন, জানেনা সে তা।

    রান্নাঘরে দু-তিনটে মেয়ে

                দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি যেন করছে।

    সামনে বসা আরও দুজন

                 হাত দিয়ে ধান সরাচ্ছে।

    পরে শুনলো এর নাম ঢেঁকি,

             এটা সবই মিলে চালাচ্ছে।

    মেয়েগুলো ভারী ঢেঁকিকে

        একবার ওপরে তুলছে আবার নামাচ্ছে।

    অন্য দুজন বসা মেয়ে

         একটা ছোট্ট গর্তে ধান ভরে দিচ্ছে।

    ঢেঁকির এদিকে একটা কাঠের মুগুর

        ধানের ওপর পড়ে, খোসা ছাড়িয়ে চাল করছে।

    এই ভাবে ঢেঁকি দিয়ে

          ধান থেকে চাল তৈরী হচ্ছে।

    রান্নাঘরের সবকʼটি উনুনই

                              তৈরী মাটি দিয়ে।

    সেখানে রান্না হচ্ছে

                 ঘুঁটে আর পাট-কাঠি পুড়িয়ে।

    তাই সেখানে দাঁড়ানোর উপায় নেই

                             ভীষন চোখ জ্বালা করে।

    রান্নাঘরের এই ধোঁয়ার জন্য

                           দেয়ালেও কালি পরে।

    বাবা হঠাৎ বিলুকে ডাকে,

                    ʼচল বিলু মাছ নিয়ে আসিʼ।

    সামনের পুকুরে মাছ ধরেছে

            সেই মাছের ভাগ আনতে হবে।

    আজব সেই ভাগ,

             মুখে সবাই চার আনা, আট আনা বলে,

    আর মাছগুলো ওজন করে

                                 ভাগ করে যাচ্ছে।

    যে কাকুটা ওজন করছিল,

                                         সে বল্ল,

     ʼবিলুবাবুর জন্য এ মাছটা আলাদাʼ।

              মাছটা বাবার হাতে দিয়ে দিল।

    পরে বাবার কাছে বিলু বুঝেছিল যে

           পুরো পুকুরটাকে যদি এক টাকা ধরা হয়,

    তাহলে, যেহেতু ষোল আনায় এক টাকা,

      আট আনা ভাগ মানে পুকুরের আদ্দেক মালিকানা হয়।

    সেই হিসেবে প্রোপোরসনেটলি

                                মাছেরও ভাগ হয়।

    ফেরার দিনে সকাল থেকে

                            বৃষ্টি হচ্ছে মুষলধারে।

    মেটো রাস্তা, চারিদিকে কাদা

                          তারা যাবে কেমন করে?

    স্টেশনে  যাবার অটো, টোটো

                              সব বন্ধ হয়ে গেছে।

    বাধ্য হয়ে গরুর গাড়ীর

                              ব্যবস্থা হয়েছে।

    বিলুর অনেক দিনের শখ

                            গরুর গাড়ীতে চড়ার।

    তাই সে খুব খুশি

                            নিজের শখ মেটার।

    দুটো গরুর কাঁধে একটা বাঁশ দিয়ে

                   একটা কাঠের গাড়ী বাঁধা রয়েছে।

    ওপরে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে

                    একটা ছাউনি করা হয়েছে।

    কাদা মাটির রাস্তা পেরিয়ে

                    গরুর গাড়ী আমাদের স্টেশনে পৌঁছে দিল।

    বিলুর সে এক মজাদার যাত্রা

          ক্ষেতের পাশ দিয়ে যেতে তার দারুন লাগছিল।

  • || দূর্গা পুজো ||
    Poetry

    || দূর্গা পুজো ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Durga Pujo

    একটি ছোট্ট ছেলে

               এসেছে মামার বাড়ীতে।

    স্কুলের ছুটি এখন

             তাই মেতেছে মজাতে।

    পুজো দালানে

            তখন তৈরী হচ্ছে দূর্গা ঠাকুর।

    খড় দিয়ে কাঠামো বাঁধা দেখে সে ভাবে

          কি ভাবে করবে ওরা সুন্দর ঠাকুর?

    এরপর দেখে

          কালো মাটি লেপচে খড়ের ওপরে।

    তারপর সাদা রঙ

           আরও নানান রঙ দেয় তারপরে।

    ক্রমে মাতৃপ্রতিমা দেখতে পায়

                  সেই খড়ের মূর্তিতে।

    মনটা আনন্দে ভরে ওঠে

                  দূর্গা মূর্তি নির্মান দেখে।

    এবারে আসে সেই

          বহু প্রতীক্ষিত দূর্গা পুজোর দিন।

    পুকুর থেকে ঘট আনা,

           কলা বৌ প্রতিষ্ঠা, আরও কত কিছু।

    ছেলেটি সব কাজেই সামিল হয়,

               জিজ্ঞাসু চোখ নিয়ে দেখে সব কিছু।

    সময় পেলেই সে নানান প্রশ্ন করে

                     পুরোহিত মামাকে।

    পুজোর নানান কাজগুলোর ব্যাখ্যায়

                  ঘাড় নাড়াতে থাকে।

    ছেলেটির পাঁঠা বলি দেখে

                  মনটা খারাপ হয়ে যায়।

    ছোট্ট একটা ছাগল ছানাকে

                   সত্যিই কি মারার দরকার ছিল?

    ওই ভাবে ওকে বেঁধে

                গলাটা কেটে ফেললো?

    যদিও গলাটা কাটার সময়

             ও চোখটা বন্ধ করে ফেলেছিল।

    মা দূর্গাকে সে মনে মনে প্রশ্ন করে,

             তুমি কেন এটা করতে দিলে।

    ওরা সবাই মিলে

             ছাগল ছানাকে মেরে ফেললে।

    সপ্তমীর পুজো শেষ হয়             

               আসে অষ্টমীর দিন।

    সবার সাথে পুরোহিত মামার মন্ত্র শুনে

              মাকে অঞ্জলি দেয়।

    তারপর সন্ধিপুজো

        একশো আটটা প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো হয়।

    সে এক দারুন দৃশ্য-

           মা যেন জেগে উঠেছেন, এই মনে হয়।

    নবমী পুজোর পরে আসে

               পুজোর শেষ দিন দশমী।

    মা চলে যাবে এই চিন্তায়

          ছেলেটির মনটা দুঃখে ভারী হয়ে ওঠে।

    দশমী পুজো শেষ হলে

            তিনটি বেল পাতায়,

    সবাই লেখে-  

            শ্রীশ্রী দূর্গা মাতা সহায়।

    পরে ওই বেল পাতাগুলো

              মায়ের পায়ে দেয়।

    এবার বিসর্জনের ঢাক বাজে-

     ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন।

    ছেলেটির মনে হয়, এত সুন্দর মূর্তি

                 কেন হবে বিসর্জন?

    অনেকগুলো বাঁশকে পাশাপাশি রেখে

       মায়ের প্রতিমা তার ওপরে বাঁধা হয়।

    অনেকগুলো লোক সেই বাঁশ তুলে

            কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে যায়।

    ওই লোকগুলোর মধ্যে একজন

              লক্ষ্মী মামা পাশের পাড়ার।

    ছেলেটির বায়না লক্ষ্মী মামার কাছে-

        মায়ের মুকুটের চূড়ার ডাকের-সাজ চাই তার।

    কথা মতো ডাকের সাজ

                পেয়ে তার খুব আনন্দ।

    কিন্‌তু মনের মধ্যে ঘুরছে- ʼবাড়ী ফিরতে হবেʼ,

                            এই চিন্তায় সে নিরানন্দ।