• || জম্বি অ্যাটাক ||
    Poetry

    || জম্বি অ্যাটাক ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Zombie Attack

    নামকরা এক স্কুল থেকে

                ফোন আসে পুলিশ স্টেশনে।

    ʼআমাদের বড় বিপদ, বাঁচান আমাদেরʼ

             ʼনইলে আমরা সবাই মরতে পারি প্রাণেʼ।

    ছাত্র, শিক্ষক সবাই জানায়

                            তাদের বিপদের কথা।

    পুলিশেরা ভাবে মজা করছে

                         নাটক-বাজী এটা।

    শেষমেশ এক বিরাট পুলিশ বাহিনী

                                   আসে স্কুলের কাছে।

    দেখে, সত্যিই সব বন্দুকবাজেরা

                                    স্কুলটা ঘিরে আছে।

    তারা কালো মাস্ক পরে আছে

                      আর কালো জামা-প্যান্ট।

    চোখ দুটো শুধু বেরিয়ে আছে

                           মনে হয় ওরা ব্লান্ট।

    গুলি করছে এদিক ওদিক

                          মুখে কোনোও কথা নেই।

    পুলিশের মাইকের ঘোষনায়

                      ওদের কোনোও গ্রাহ্য নেই।

    পুলিশ যখন করলো গুলি

                           মরলো না তো কেউ।

    একটু আধটু সরে গেল

                            হোলো কিছু হৈ চৈ।

    পুলিশ বোঝে এবাবে হবে না

                              ভাবতে হবে অন্য কিছু ।

    প্ল্যান করে তারা, কি করা যায়

                              লাগতে হলে ওদের পিছু।

    হেলি-কপ্টার থেকে কʼজন পুলিশ

                             জাম্প দিল ওই স্কুলের ছাতে।

    দেখল  ওরা ছাতের মধ্যেও

                              লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে।

    এগিয়ে এসে কামড়াচ্ছে ওরা,

                               পুলিশ পড়ছে ঢলে।

    আজব ব্যাপার, পুলিশেরা কামড় খেয়ে

                               যাচ্ছে ওদের দলে।

    মানুষ নয় ওরা, দানব মনে হয়

                            কেউ কেউ আবার জম্বি বলে।

    মানুষের মতো দেখতে ওরা

                            আবার খেতেও যায় মানুষ পেলে।

    পুলিশদের মিটিং হয়

                           বড়কর্তাদের সাথে।

    এটা শহরের বিপদ

                বাঁচাতে হবে স্কুলের সবাইকে।

    স্কুলের মধ্যে সবাই আটকে

                             দরজা জানালা বন্ধ।

    দিনের বেলাতেও আলো জ্বলছে

                             মুখে সবার আতঙ্ক।

    বোম্বিং স্কোয়ার্ড চলে আসে এখানে

                      চারিদিকে বোম্বিং করে।

    লোহার বর্মে পুরো ঢেকে

                 কিছু পুলিশ ঢোকে ভেতরে।

    দেব-দেবী ছবি দেখিয়ে

                            ওরা কিছুটা ঘায়েল হয়।

    এরপর পুলিশের বাইরের অ্যাটাকে

                            ওরা সবাই মারা যায়।

    এভাবে বাঁচে একটা স্কুল

                                আর শহরের সম্মান।

    পুলিশের বুদ্ধিতে বাঁচল সবাই,

                            আর  কত মানুষের প্রাণ।

    বিঃ দ্রঃ – এটি একটি দক্ষিন কোরিয়ার বিখ্যাত ওযেব সিরিজ ʼঅল অফ আস আর ডেডʼ অবলম্বনে।

  • || পৃথিবীর আকাশে এক উজ্বল জ্যোতিষ্ক ||
    Poetry

    || পৃথিবীর আকাশে এক উজ্বল জ্যোতিষ্ক ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    A Brightest Star in the Sky

    বিনেপয়সার স্কুলে ভর্তি হয়

                    এক গরীব ঘরের ছেলে।

    পেটের টানে দুবছরেই

                 শেষ হয়, তার পাঠ স্কুলে।

    মা লিলি রিফু করে প্রতিবেশীদের জামায়

        ছেলে চার্লি নাচ করে এক ভিখিরির গানের তালে।

    এমনি করে খাবার জোটায়

                  মা আর দুই ছেলে।

    ভিখিরি দেখে গান সে গায়

                 কিন্‌তু পয়সা চার্লি পায়।

    তাই সে কাজ থেকে

               চার্লির বিদায় হয়ে যায়।

    অভাব থেকে

        চার্লি ভাবে কি করবে এখন?

    মায়ের গয়না বিক্রি হয়ে যায়,

             চেয়ার টেবিলও চলে যায়।

    দাদা সিডনি গান গায়,

         আর চার্লি নাচ করে রাস্তায় রাস্তায়।

    তখন মজার মজার কান্ড ঘটিয়ে

                  চার্লি পয়সা পায়।

    চার্লি বোঝে, রোজগারের জন্য

               হাস্য-কৌতুকেই পয়সা।

    তার মনে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর

       গাছপালা, মেঘ, নদী আর ভালবাসা।

    সিডনি করে গান,

        আর চার্লি নাচ করে একটি ব্যান্ডে।

    এক শিক্ষক চার্লিকে পছন্দ করেন

                  তার এক নাটকে।

    নাটকে কুকুরের গন্ধ শোঁকা, নেকড়ের কাজকর্ম

               চার্লি হয় খুব জনপ্রিয় এসবে।

    এক সাহেব নিয়ে যায় তাকে

                  তার কমেডি শোতে।

    পরে চার্লি বোঝে, নাটকে অভিনয়ের জন্য

         গান ও ফিটনেস খুব জরুরী বিষয়।

    তাই এই দুই বিষয়ে মন দেয়

               নিজেকে পারদর্শী করায়।

    তারপর অভিনয়ের জন্য

                তিনি যান আমেরিকায়।

    সেখানে তাঁর হাতেখড়ি

                সিনেমার পরিচালনায়।

    এরপর পুরোটাই – এক ইতিহাস

               লেখা আছে স্বর্ণাক্ষরে।

    নির্বাক চলচিত্রের অভিনয় আর পরিচালনায়

           চার্লি চ্যাপলিন পৌঁছান শিখরে।

  • || কঠিন কাজ ||
    Poetry

    || কঠিন কাজ ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Kathin Kaaj

    ʼবন্ধ করো তোমার কাজʼ, গৌরী বলে।

    ʼগোটা পাহাড়টাই তো ভেঙে ফেললেʼ।

    রামরতন কাঠফাটা রোদ্দুরে

                                   পাহাড় ভেঙে যাচ্ছে।

    ওর স্থির বিশ্বাস,  এই গাহাড়ের

                                   নিচে জল আছে।

    রাজস্থানে একটা ছোট্ট ঘরে

                                  রামরতন আর গৌরী থাকে।

    রামরতন শেষ কয়েক মাস ধরে

                                          পাথড় ভাঙ্গছে।

    রামরতনের ঘরের সামনে

                                 একটা ছোট্ট পাহাড় আছে।

    সেই পাহাড়ে কেউ আসে না

                                   ওটা পরিত্যাক্ত হয়ে পরে আছে।

    গৌরী বোঝে না,

                        রামরতনের কান্ড কারখানা।

    পাহাড় ভেঙ্গে জল কি করে আসবে

                              তা গৌরীর অজানা।

    আশেপাশের মানুষজন জানে

                                    রামরতনের মাথার ঠিক নেই।

    কিন্‌তু রামরতনের বদ্ধমূল ধারনা

                                  সে পাহাড়ের নীচে জল পাবেই।

    সেদিনও রোদের মধ্যে

                         হাম্বল দিয়ে সে পাহাড় ভাঙ্গছে।

    গৌরী দূরে ঘরে

                       ব্যস্ত নানান কাজে।

    রামরতন ছুটে এসে গৌরীকে বল্ল,

                                 ʼগৌরী জলের আওয়াজ পাচ্ছিʼ।

    গৌরী কিছুই বুঝলো না,

                                    ভাবলো মাথার ব্যামোটা বেড়েছে।

    রামরতন আবার ফিরে গেল

                                       পাথড় ভাঙ্গার কাজে।

    তারপর পাঁচদিন ধরে চলে

                                   ওই পাথড় ভাঙ্গার কাজ।

    হঠাৎ জল বেরিয়ে আসে

                                    ফোয়ারার মতো।

    রামরতন চিৎকার করে বলে,

                                 ʼগৌরী জল দেখʼ।

    ততক্ষনে আশেপাশের সবাই

                                      ছুটে আসে সেখানে।

    জল দেখে সবাই উল্লসিত

                      কেউ কেউ জলের পাত্র নিয়ে আসে সেখানে।

    কঠিন কাজ রামরতন করে গেছে

                                           অবিশ্রান্ত ভাবে।

    কয়েক মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে

                                      আজ সে ফল পেয়েছে।

    মানুষ যখন কোনোও কাজ

                              তার বুদ্ধি ও মন দিয়ে করে যায়,

    ভগবানও বোধহয়

                           তার হাত ধরে তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

  • || মিউজিয়াম অফ ফেলিওর ||
    Poetry

    || মিউজিয়াম অফ ফেলিওর ||

    Audio File

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Museum of Failure

    নিউইয়র্কে এই নামে

               একটি মিউজিয়াম আছে।

    এখানে অনেক ব্যর্থতার

                প্রদর্শন করা আছে।

    পৃথিবীতে বিভিন্ন বিষয়ে

              যত রিসার্চ হয়,

    তার বেশীরভাগ শেষ হয়

               সেই ব্যর্থতায়।

    কিন্‌তু ওই সব ব্যর্থতার সোপান দিয়েই

              মানুষ সাকসেসে পৌঁছায়।

    তাই যে মনস্তত্ববিধ এই মিউজিয়ামের সৃষ্টিকর্তা

              তাঁর মন ছিল অন্য চিন্তায়।

    কোনোও কোনোও মানুষ ব্যর্থতার সারনী দেখে

                 মনে করবে চেষ্টা আর চেষ্টা।

    এটাই মূলমন্ত্র কোনও জন্ম দেবে

                 এক  সার্থক প্রচেষ্টার।

    বিভিন্ন কোম্পানীর ব্যর্থতার কাজ

               এখানে দেখানো হয়েছে।

    এই মিউজিয়ামের স্রষ্টা দাঁড়িয়েছেন

                   ব্যর্থতার পাশে।

    এই মিউজিয়ামে সব ভিসিটররা

          তাদের ব্যর্থতার কাহিনি লিখে যান।

    এই মনস্তত্ববিধ বিশ্বাস করেন যে একদিন

    কোনোও ইন্সপায়ার্ড ভিসিটর সার্থকতার কাহিনি লিখবেন।

  • || নিজের শরীরের – সব জানেন? ||
    Poetry

    || নিজের শরীরের – সব জানেন? ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Do you know your body fully?

    আমরা সত্যই সম্ভবতঃ জানিনা

         ভগবান আমাদের কতটা ʼইউনিকʼ বানিয়েছেন।

    বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন উপায়ে কষ্ট করে

                নিজের কাজের ʼইউ এস পিʼ দেখাতে চান।

    আমরা জন্ম থেকেই যে কতটা ʼইউনিকʼ

                                সেটা আমরা খেয়াল করি না।

    আমাদের শরীরের অনেকগুলি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ

            অন্যদের থেকে যে আলাদা, তা হয়ত জানি না।

    একজনের কান

                      অন্য একজনের থেকে আলাদা।

    কানের বাইরের দিকে পাতায় অজস্র উঁচু নিচু আছে,

          যা একজনকে অন্যজনের থেকে আলাদা করে।

    চোখের ʼআইরিসʼ বা চোখের তারার রঙ

                                          আলাদা আলাদা।

    দুই যমজ ভাই-বোনেদেরও

                      একজনের থেকে অন্যজন আলাদা।

    মানুষের  হাঁটা এক এক জনের

                                       এক এক রকম হয়।

    কোনোও মানুষের হাঁটা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে

          সে যতই মেক-আপ করুক, তাকে চিনে নেওযা যায়।

    দুটি মানুষের জিভ

                       কখনওই এক রকম হয় না।

    জীভের সাইজ আলাদা আলাদা হয়

             জীভের ভেতরে লক্ষ লক্ষ উঁচু নিচু আছে, যা আলাদা।

    গলার স্বর দুটি মানুষের

                                 একে বারে এক হয় না।

    যা কাছাকাছি মনে হলেও

                                 এক বলা যায় না।

    আমাদের যে দু-পাটি দাঁত আছে

                                         তা সত্যিই আলাদা।

    দাঁতের শেপ, সাইজ, বিন্যাস

                                          সবই আলাদা।

    চোখের রেটিনা তো

                            পাশওয়ার্ডের কজ করে।

    তাই এটি একটি মানুষকে

                         অপরের থেকে আলাদা করে।

    ফিংগারপ্রিন্ট যে ইউনিক

                                   সেটি সর্বজনবিদিত ।

    তাই এটি একজনের থেকে

                     অন্যজনকে আলাদা করে।

  • || আমাজন মিরাকেল ||
    Poetry,  Stories

    || আমাজন মিরাকেল ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Amazon Miracle

    এটি একটি সত্যি ঘটনা

    আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্লেন এক্সিডেন্টে

                     প্লেনটা ভেঙ্গে পরে।

    বেঁচে যায় চারটি শিশু

                আর সবাই প্রায় মারা যায়।

    সেনাদল পৌঁছায় সেখানে

              খুঁজতে জীবিত মানুষদের সন্ধান।

    কুকুর ছোটে এদিক ওদিক

              খুঁজতে কোথায় আছে প্রাণ।

    একটি কুকুর এসে পরে

                  ওই শিশুজের কাছে।

    কিন্‌তু সে ফেরার রাস্তা ভুলে গিয়ে

                  থাকে ওদেরই পাশে।

    শিশুদের মাঝে একজন নʼবছুরে কিশোর

                       আর একজন তের বছুরে কিশোরী।

    অন্য দুজন ছোটো হলেও

                      খেলাতে বেশ সমজদারী।

    ঘন আমাজনের জঙ্গলে দিনের বেলাতেও

                       অনেক জায়গায় আলো পৌঁছায় না সেখানে।

    চারিদিকে হিংস্র জন্তু-জানোয়ার

                                আর কীট-পতঙ্গের বাস যেখানে।

    শিশুরা যেটুকু খাবার আশপাশ থেকে যোগার করেছিল

                         তা তাদের কয়েকদিনেই শেষ হয়ে গেল।

    তারপর ওদের গাছের ফল, পাতা আর শিকরই

                                      একমাত্র খাবারের সংস্থান হʼল।

    শিশুরা জঙ্গলের আশেপাশেই বড় হয়েছে, তাই ওরা গাছের

                                  ফুল, ফল, পাতা, শিকরের সঙ্গে পরিচিত।

    ওরা মায়ের কাছে গল্প শুনেছে যে জঙ্গলে একা ঘুরতে নেই,

         আর বিপদে পরলে ভগবানকে ডাকতে, ভগবানই বাঁচাবেন।

    ওরা যা পেত তাই খেত আর

                                       ভগবানকে সবসময় ডাকতো।

    এই ভাবে চল্লিশ দিন কাটানোর পরে

                      সেনাদলের রেসকিউ টিম ওদের উদ্ধার করে।

    শিশুদের বাঁচানোর পরে

             ওদের বাবার কাছে টিম পৌঁছে দেয়,

    বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে

              ছেলেটি  ছলছল চোখে বাবাকে বলে,               

      ʼবাবা মা আর নেই, মা মারা গেছে ʼ।