• || ভুঁড়ি কেলেঙ্কারী ||
    Poetry,  Uncategorised

    || ভুঁড়ি কেলেঙ্কারী ||

    Bhunri Kelenkari

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    ইয়াং ছেলেরা বাববার

              নিজের চেহাড়া খেয়াল করে।

    এতটূকুও ভুঁড়ি চলবে না তো

              সে যে হিরোর চেহাড়া নষ্ট করে।

    মেয়েরাও যখন ইয়াং থাকে

           ভুঁড়ির চিন্তা নেই যে তার।

    ফুচকা আর আলুকাবলি

              সবসময়েরই পছন্দের খাবার।

    ভুঁড়ি-টুঁড়ি কেন হবে

               ওসব প্রবলেম ছেলেদের।

    মেয়েদের ওসব ফ্যাট-ট্যাট লাগেনা

               নেই ঝামেলা এই বয়েসের।

    ব্যাপারটা তো অনেকটাই ঠিক

            কিন্তু সবটা সত্যি নয়।

    ছেলেদের ভুঁড়ি সত্যি তাড়াতাড়িই বাড়ে

            মেয়েদের অত তাড়াতাড়ি নয়।

    ভুঁড়ি আসলে সকলেরই হয়

             এক্সারসাইজ না করলে।

    যে খাবার থাই আমরা

             তার ক্যালোরি খরচ না হʼলে।

    ফ্যাট তৈরী হয় ওই

                 না খরচ হওয়া ক্যালোরি থেকে।

    ফ্যাটের পছন্দের জায়গাটাতে

                           জমে গিয়ে ওই পেটে।

    ভুঁড়ির শুরু ওখান থেকেই

             জমে তারপরে সবখানে।

    নোয়াপাতি ভুঁড়ি দেখলে ছেলের

             সমৃদ্ধির কথা জনেজনে।

    ছেলে থুশি হয়ে

        যেই সে ভুঁড়ির যত্ন শুরু করে,

    হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা কিডনির রোগ

               একে একে ঘিরে ধরে।

    এক ছিপছিপে মিষ্টি মেয়ে

           হঠাৎ বিয়ের পরে,

    একটু একটু করে

           মোটা হতে শুরু করে।

    সে আবার যথন

             সন্তান ধারন করে,

    গর্ভস্থ শিশুর বাড়ার জন্য

             শরীর পেটের পেশী শিথিল করে।

    শিশুর জন্মের পরে

       সেই শিথিল পেশী ঠিক করতে হʼলে।

    ডাক্তার তাকে নিয়মিত

                    এক্সারসাইজ করতে বলে।

    এক্সারসাইজ না করলে

          ভুঁড়ি এসে পেটে জমে।

    অনেক কাঠখড় পুড়োনোর পরে

           তখন সেটা কমে।  

    পেটের ভেতরে যে ফ্যাট জমে

         তাকে ভিসেরাল ফ্যাট বলে।

    ত্বকের নীচের ফ্যাটকে

         সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট বলে।

    আর ত্বকের ওপরে যে ফ্যাট জমে

         তাকে স্ট্যাবোর্ন ফ্যাট বলে।

    এই তিনটি ফ্যাটের

        সমন্বয়েই ভুঁড়ির সৃষ্টি হয়।

    স্ট্যাবোর্ন ফ্যাট খুব

          নাছোড়বান্দা স্বভাবের হয়।

    একে তাড়ানো এক

          মহামুশ্কিল কাজ হয়ে যায়।

    ভুঁড়ি একটি লাইফ স্টাইল প্রবলেম

         এটির প্রভাবে বিভিন্ন অসুখ হয়।

    হাই ব্লাডপ্রেশার, সুগার ও

         হজমের গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়।

    যত্নের ভুঁড়িটি কমাতে

            খাওয়া কমালেই হয় না।

    নিজের জীবনশৈলীর

             পরিবর্তন করতে হয়।

    কার্বোহাইড্রেট, মিষ্টি ও ভাজাভুজি খাওযাতে

                  ব্রেক লাগাতে হবে।

    কায়িক পরিশ্রম, হাঁটাহাঁটি ও

          ঘাম ঝরানোর কাজ করতে হবে।

    ভুঁড়ি কমানোর প্রচেষ্টায়, দই, শশা ও

        রায়তার মতো খাবার খেতে হবে।

    এগুলি অনেকক্ষণ পেটে থাকে

        তাই পেট ভরা থাকবে।

    রান্নায় তেল খাওয়া

            কমানো দরকার।

    আপেল, পেয়ারা, আঙুর ও ছোলার মতো

        ফাইবার খাওয়া দরকার।

    রাত্রি ছাড়া কিছু খাবার

       তিন-চার ঘন্টা পরপর খেতে হবে।

    অনেকক্ষণ না খেলে, শরীর সঞ্চয়ের জন্য

        যে কোনও খাবার ফ্যাটে রূপান্তরিত হবে।

    ডিনার অল্প পরিমানে

               খাওয়া দরকার।

    খাবারের এক থেকে দুঘন্টা পরে

                উচিত ঘুমোবার।

  • || সাকসেস পেতে  ||
    Poetry

    || সাকসেস পেতে  ||

    Success Pete

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    মনটা ভাল আছে?

         ওকে তো নিতেই হবে।

    তাই খারাপ হলে

         জোর করে হাসতে হবে।

    রাত্রের অন্ধকারের পর

          প্রতিদিন সূর্য্য ওঠে।

    অন্ধকার মেঘে ঢাকা পৃথিবীতেই

          কিছু পরে ঝলমলিয়ে রোদ্দুর ওঠে।

    অন্ধকার মেঘে শান্ত থেকে

           রোদ্দুরে মনও ঝলমলিয়ে উঠবে।

    কালের নিয়মে, সময়ের হাত ধরে

          দুঃখের পর ভাল দিনও আসবে।

    ভাবতে হবে, পৃথিবীতে যা হচ্ছে

            তা ভালোর জন্যই হচ্ছে।

    মানব জীবনে যন্ত্রণা তো থাকবেই

            সেটাকে ভুলতে হবে।

    পরিশ্রম করে নিজের কাজ

            এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    স্বপ্নের মাইলস্টোন এ রাস্তার

               অনেকটা দূরে।

    মাঝে আবার পথটা গেছে

               একটু ঘুরে।

    রাস্তায় যে মাইলস্টোনগুলো দেখা যাচ্ছে,

            সেগুলো পেরোতে হবে আগে।

    ওগুলো পেরিয়েই পৌঁছোনো যাবে

           স্বপ্নের মাইলস্টোনের সীমানায় কাছে।

    পুরোনো হোঁচট খাওয়াটা মনে রেখে

               ওই রাস্তায় হাঁটতে হবে।

    নিজের ওপর ভরসা রেখে

         কাজগুলো এক-এক করে শেষ করতে হবে।

    প্রচেষ্টা ও সাহস দেথে, ভগবানও একটা হাত ধরে

                  এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    থামা চলবে না সেই স্বপ্নের

                মাইলস্টোন না পেরিয়ে।

    গন্তব্যে পৌঁছে পিছনে তাকিয়ে দেখ

                অনেকটা পথ এসেছো ছাড়িয়ে।

  • || পিলুর পজিটিভ মাইন্ড ||
    Poetry

    || পিলুর পজিটিভ মাইন্ড ||

    Audio File

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Pilur Positive Mind

    বারো বছরের ছেলে পিলু

          খবরের কাগজ বিক্রি করে।

    পড়াশুনা তার রাত্রের কাজ

       সে এক মাস্টারমশায়ের বাড়ী গিয়ে পড়ে।

    স্কুলে পড়ার টাকা নেই তার

       সরকারী স্কুল নেয়না তাকে।

    বার্থ সার্টিফিকেট নেই য়ে তার

       জোগার করবে কোত্থেকে সে।

    মাস্টারমশায়ের ফাইফরমাস কাজ করে দেয়

       পড়ার ফিসের বিনিময়ে।

    নেই কোনও তার স্কুলের পরীক্ষা

       তাই ক্লাসও বাড়ে না পরীক্ষা দিয়ে।

    মাস্টার মশাই পড়ান তাকে

          সেইসব ক্লাসের ছাত্রের সাথে,

    পিলুর নলেজ যাদের সমান

          এতদিনে পড়ে তার কাছে।

    বাড়ীতে আছে বিধবা মা

        কয়েক বাড়ীতে কাজ করে সে।

    মা সবসময়ই পিলুকে বলে

        ʼভাল মানুষ হতে হবে যেʼ।

    ʼসত্যি কথা বলবি পিলুʼ

       ʼভাল কাজ করবি তুইʼ।

    ʼজীবনটাতে বাঁচতে হবেʼ

       ʼসঠিক পথে চলবি তুইʼ।

    ʼভগবান তোকে পয়সা দেবেʼ

        ʼকাজ করে যা কষ্ট করেʼ।

    মায়ের এসব কথা পিলু

        বেদ বাক্য মনে করে।

    একদিন তার মাথায় আসে

       দুধ সাপ্লাই করতে হবে।

    হাফ লিটার পাউচ বিক্রি করলে

       দুটাকা তো হাতে আসবে।

    যেমন ভাবা তেমনি কাজ

       সব কাগজ কাস্টমারদের জিজ্ঞেস করে।

    কোন দুধ তারা কতটা নেয়

          সে ব্যাপারে খোঁজ করে।

    এবার শুরু দুধ আর কাগজ

        একসঙ্গে বিলি করা।

    রোজগারটাও ডাবল এবার

       কষ্ট হচ্ছে একলা করা।

    আরেকটি ছেলে জোগার করে

        তার সঙ্গে কাজ করতে।

    কাস্টমারের সঙ্গে তার

       হেল্পিং-হ্যান্ড বাড়তে থাকে।

    এমনি করে বাড়ে তার কাজ

        টাকা পয়সাও জমতে থাকে।

    একদিন এক বাড়ীর দালালের কাছে

        খোঁজ করে কোন বাড়ী আছে।

    ছোট্ট একটা টালির ঘর

          পছন্দ হয় তা দেখে।

    পঁচিশ হাজার এডভ্যান্স দেয়

        ওই ঘরটা বুক করতে।

    এরপরে ব্যাঙ্কে দিতে হবে

         চার হাজার করে প্রতি মাসে।

    পাঁচবছরে তার লোন শোধ হবে

        নিজের বাড়ীর মালিক হবে সে।

    পাঁচবছর পর নিজের বাড়ী

        মা এখন যায় না বাইরে।

    ছেলের সঙ্গে ঘরেই থাকে

        নিজের বাড়ীর কাজকর্ম করে।

    মাস্টারমশায়ের কথামত

         স্কুল-ফাইনালের ফর্ম ফিলাপ করে।

    পড়াশুনা চালিয়ে গেছে সে

         ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করে।

    ডিস্টিবিউটারশিপ নেয় এবারে

         বিজনেসটা আরও মজবুত করে।

    পিলু এখন পিলুবাবু       

           অফিস তার নিজের ঘরে।  

    বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে

          একটা পাকা বাড়ী পিলু কেনে।

    মা বলেছে, বিয়ে করতে হবে

          আগে থেকেই সেটা জেনে।

    টুকটুকে এক বৌ আসে

          পিলুর নতুন বাড়ীতে।

    মোটোর বাইক কিনে ফেলে

       লাগবে সংসারে আর কাজেতে।

    ভাল মানুষ হয়েছে সে আজ

            মায়ের কথা মতো।

    পড়াশুনা চালিয়ে যায সে

        গ্রাজুয়েশন করতে হবে তো।

  • || উত্তমকুমার – এ পজিটিভ থিঙ্কার ||
    Poetry

    || উত্তমকুমার – এ পজিটিভ থিঙ্কার ||

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Uttam Kumar – A Positive Thinker

    উত্তমকুমারের প্রযোজনায়

              শুটিং চলছে হারানো সুর ফিল্মের।

    পরিচালক অজয় কর ও প্রধান ভূমিকায়

            আছেন সুচিত্রা সেন ও উত্তমকুমার।

    সময়টা উনিশশো সাতান্ন সাল

            কলকাতা তখন এখনকার শহরতলীর মতো।

    স্টুডিও পাড়া টালিগন্জ

              প্রায় এক বর্দ্ধিষ্ণু গ্রামের মতো।

    একটাই সরকারী বাস ছʼনম্বর চলতো

                          তাও সন্ধ্যের পরে সেটাও উধাও হতো।

    তাই টেকনিশিয়ানদের পছন্দ ছিল

                             সন্ধ্যের মধ্যে কাজ শেষ করতে।

    নাহলে তাদের দুর্দশা হতো

                             বাড়ী ফেরার গাড়ী পেতে।

    সেদিন একটি মূল্যবান দৃশ্যের শুটিং বাকী

                              গানের সঙ্গে উত্তম-সুচিত্রার শট নিতে হবে।

    পরিচালকের ফরমায়েস

                    দুটি ভাল রজনীগন্ধার মালা যোগাড় করতে হবে।

    মালা আনা হয়নি আগে

                        তাই তখনই মালার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ওই সময়ে টালিগন্জে পাওয়া যাবে না

                তাই একটি ছেলে মোটোর বাইকে রওনা দিল।

    যাবার আগে ছেলেটিকে উত্তমকুমার ডেকে

                                   ফিসফিসিয়ে কিছু একটা বললো।

    মালা এলো, চিত্রায়িত হলো গীতা দত্তের

            সেই বিখ্যাত গান, ʼতুমি যে আমার..ʼ।

    সবাই  খুব খুশি শটটা নিয়ে

                   অসাধারণ এক রোমান্টিক সিন ছবির।

    পরদিন উত্তমকুমার অজয় করকে বল্লেন,

              ঐ মালা দুটি ছিল মৃতদেহের গলায়।

    ছেলেটিকে আমি বলেছিলাম

              মালা না পেলে যাবি কেওড়াতলায়।

    মৃতদেহের গালার মালা আনবি

                               ভাল দেখে খুঁজে ।

    ওতো অন্য কোথাও তো ও পায়নি

                    তাই শ্মশান থেকেই এনেছে।

    সুচিত্রা যেন না জানতে পারে

                   সেটা আগে থেকেই বলা আছে।

    শুনে অজয় করের চক্ষু চড়কগাছ, সে ভাবতেই পারেনা

             উত্তমকুমার জেনে কিভাবে ঐ মালা পরলো।

    ʼশটটাতো নিতে হবেʼ, উত্তমকুমার

             ভুবন ভোলালো হাসি ফুটিয়ে বললো।

  • || কুসংস্কার ||
    Poetry

    || কুসংস্কার ||

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Kusanskar

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    এ আই-এর যুগে মানুষ

                  অনেক দূর এগিয়েছে।

    কিন্তু বিভিন্ন কুসংস্কার

                 মানুষকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

    ধর্মের নামে কুসংস্কার

                  তো বহুকাল ধরে চলছে।

    এছাড়া জাত-পাত ও ছোঁয়া-ছুঁয়িরও

                  অনেক গোঁড়ামি আছে।

    এখনও গ্রামাঞ্চলে ডাইনি সন্দেহে

                  বহু নারীর প্রাণ শেষ হচ্ছে।

    আবার কোনও মৃত আত্মা কারোর শরীরে

       প্রবেশ করেছে বলে তাকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে।

    অশিক্ষার অন্ধকারে মানুষ আজও

                   ওঝার শরণাপন্ন হয়।

    সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা

                   ওঝাকে দিয়ে করানো হয়।

    অনেক যায়গায় দিনের বেলা মৃত কোনও

               আত্মাকে ডেকে মানুষের ভর হয়া

    তখন সেই ভর-হওয়া মানুষটি কাউকে মারতে বললে

                     তাকে পিটিয়ে মারা হয়।

    মানুষ পৃথিবীতে জন্মেছে বাঁচার জন্য

                  তাকে বাঁচতে দিতে হবে।

    আগামী দিনে মানুষকে

            এসব কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে হবে।

  • || বিখ্যাত হোমমেকার ||
    Poetry

    || বিখ্যাত হোমমেকার ||

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Bikhyata Homemaker

    আমেরিকার একটি মেয়েকে

          অফিস কয়েকমাসের ছুটি দিয়েছে।

    ছুটিটা মাতৃত্বের জন্য

          সুস্থ্য শরীরে যেন থাকতে পারে সে।

    মেয়েটির পছন্দ নয় এই ছুটি

       তাই সে এ কʼমাস অন্য চাকরি করতে চায়।

    লিংক্ড ইনে তার রিজুউমে বানিয়ে

                                সেটা সে পোষ্ট করে দেয়।

    এক্সপিরিয়েন্সে সে লেখে

                                তের বছর হোমমেকার।

    এটি চোখে পড়ে যায় যাঁর

                        তিনি একজন মার্কেটিং-এর কর্ণধার।

    উনি খবরটি পোষ্ট করেন

                            কোনও এক সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    কয়েক হাজার কমেন্টস আসে

                            সবাই মেয়েটিকে অভিনন্দন জানায়।

    হোমমেকারের কাজকে

                             সবাই স্যালুট জানায়।

    বাচ্ছা মানুষ করা থেকে

                           সে যে সমস্ত ঘর সামলায়।

    বাড়ীর সবাইকে ভাল রাখতে

                              সে মুখ বুজে সব পরিশ্রম করে।

    শক্ত কোনও কাজ হʼলে

                              সেখানে তার বুদ্ধি প্রয়োগ করে।

    বাড়ীর সব সমস্যায়

                           সে হালটি ধরে থাকে।

    তাই সংসার সমুদ্রে পরিবার জাহজটি

                            নির্বিঘ্নে চলতে থাকে।