• || উত্তমকুমারের জীবনের কিছু অজানা কথা ||
    Poetry

    || উত্তমকুমারের জীবনের কিছু অজানা কথা ||

    Audio File

    Some Untold Story of Uttam Kumar

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    উত্তমকুমারের অনেক কথা

           এগুলো অনেকেরই নয় জানা।

    কিছু কথা বলেছেন ওনার এক কো-অ্যাকটার

          তার নামটা থাক না অজানা।

    অভিনয়ের প্রথম প্রবলেম

             যা সবারই হয়ে থাকে।

    হাতটা কোঘায় রাথব আমি

         এ চিন্তা মনে ঘুরপাক করতে থাকে।

    নতুন নায়িকা এটি বলায়

         উত্তমকুমার তাকে উদ্ধার করে।

    কখনও চুল, কখনও শাড়ী কিম্বা গলার হার

        এসবে হাত দিয়ে সে এটা ম্যানেজ করে।

    এবারে সেই শেষ শটের ঘটনা

       উত্তমকুমার সিঁরি দিয়ে নিচে নামছেন।

    অকেকবার শটটি নেওয়া হয়েছে

          কিন্তু উনি বারবার রিটেক করছেন।

    কিছুতেই ওনার পছন্দ হচ্ছে না,

       ওনার মনে হচ্ছে অভিনয়টা হচ্ছে না ভালো।

    শেষে পরিচালকের কথামতো একটা শটের

       পর সেটে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলো।

    এভাবেই শেষ হলো ওনার অভিনয়

             জীবনের শেষ শটের সময়।

    খুঁতখুঁতে মানুষটির মন ভরে নি সেদিন

       পারফেক্টশনিস্টের কাজ পাচফেক্ট না হওয়ায়।

    একটি ফিল্মে একটি চুম্বন দৃশ্য ছিল

      যে অভিনেত্রীর সঙ্গে এটি করার কথা আছে,

    তার তো দুঃশ্চিন্তায় হাত-পা ঠান্ডা

      শুনে উত্তমকুমার বললেল, ʼম্যানেজ হয়ে যাবেʼ।

    তারপর সেটি পিছন দিক থেকে

                 শুট করা হয়।

    পরে সেটি এডিট করে

                 ব্যাপারটি শেষ হয়।

    উত্তমকুমারের ভুতের ভয় নিয়ে

               একটি ঘটনা আছে।

    পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে

             উত্তমকুমার বেরাতে গেছেন।

    সেখানে প্ল্যানমতো সবাই মিলে

             একটা বাড়ীতে উঠেছেন।

    পরে উত্তমকুমার শোনেন যে

         এ বাড়ীতে একজন আত্মহত্যা করেছেন।

    তখন তাঁর মনের শান্তি উবে যায়

         ভুতের ভয়ে তিনি বাড়ী ছেড়ে চলে যান।

    উত্তমকুমারের খুব সাপে ভয় ছিল,

      বিহারে বেরাতে গেছেন সবার সাথে।

    মাঝরাত্রে উঠে হঠাৎ তার চোখে পরে

      উঠোনে একটা চিতি সাপ ঘুরছে।

    এ দেখে তিনি বাড়ী ছেড়ে বেরিয়ে যান

            রাত্রী কাটান সামনের মাঠে।

    উত্তমকুমার ভলিবল, ফুটবল, ক্রিকেট

                 খেলতে ভালবাসতেন।

    এছাড়া সাঁতার, লাঠিখেলা, কুস্তিও

                  প্র্যাকটিস করতেন।

    তিনি সময় করে

             হিন্দি ও উর্দুও শিখতেন।

    আবার তিনি অবসরে

            গানেরও তালিম নিতেন।

  • || বিখ্যাত অভিনেত্রী মীনাকুমারী কে জানেন? ||
    Poetry

    || বিখ্যাত অভিনেত্রী মীনাকুমারী কে জানেন? ||

    Do You Know the Origin of Renowned Film Star Minakumari

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    বিখ্যাত অভিনেত্রী মীনাকুমারী

           উনিশশো বাহাত্তরে পাকিজা করেন।

    তার আগে সাহেব বিবি অউর গুলাম,

      পরিনীতা ও বৈজুবাওরা ছবিতে অভিনয় করেন।

    নায়িকা হয়ে প্রথম সিনেমা উনিশশো উনপঞ্চাশে

        বীরঘাতক ছবিতে অভিনয় করেন।

    তবে ছʼবছর বয়েসে উনিশশো উনচল্লিশে

                     বেবী মীনা নামে অভিনয় শুরু করেন।

    তার আসল নাম মেহজবীন বানু

           জন্ম হয় উনিশশো তেত্রিশে মুম্বইতে।

    মায়ের নাম  ইকবাল বানু

          যার আগের নাম ছিল প্রভাবতী বিয়ের আগে।

    মা  সুকন্ঠী ও নৃত্য-পটিয়সি ছিলেন

                 তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে নিকা করেন,

    হারমোনিয়াম বাদক ও সংগীত শিক্ষক

                          মুম্বাইয়ের আলি বক্সের সাথে।

    ইকবাল বানুর প্রথম একটি

                        কন্যা সন্তান হয়।

    তারপর দ্বিতীয় সন্তানও

                       আরেক কন্যা হয়।

    আলি বক্স দ্বিতীয় সন্তানটিকে

          একটি আশ্রমের বারান্দায় রেখে,

    যখন ফিরে যাচ্ছেন

            কন্যাটি হঠাৎ কেঁদে ওঠে।

    মেয়ের কান্না শুনে তিনি

           মেয়েকে তুলে নেন কোলে।

    তার সেই  দ্বিতীয় মেয়েকেই চেনে সবাই

        মেহজবীন বানু  বা মীনাকুমারী বলে।

    মীনাকুমারীর দিদিমা হেমসুন্দরী

      বাল্যবিবাহের হাত থেকে মুক্তি পেতে,

    খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ করেন আর

       চলে আসেন বাংলা থেকে মীরাটে।

    হেমসুন্দরী মীরাটে এসে

               বিয়ে করেন পেয়ারীলালকে,

    যাকে ওখানে সবাই

        গল্পকার ও সাংবাদিক হিসেবে চেনে।

    ঐ হেমসুন্দরী ঠাকুর পরিবারের,

         রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতুষ্পুত্রী।

    তাই মীনাকুমারী আসলে

          রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রী।

  • || মান্না দের বুকে ব্যথা কেন?||
    Poetry

    || মান্না দের বুকে ব্যথা কেন?||

    Audio File

    Manna Deyer Buke Byatha keno?

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    মান্না দে রোজকার মতো গানের রেওয়াজ

              করছিলেন ব্যাঙ্গালোরের বাড়ীতে।

    হঠাৎ গান বন্ধ করতে হলো

                 তার বুকে অসম্ভব ব্যথাতে।

    দেবী শেঠিকে ফোন করা হলো

            তিনি বললেন পরীক্ষা করতে হবে।

    তাই ওনার সাজেসন, ইমেডিয়েটলি

            হসপিটালে অ্যাডমিট করতে হবে।

    মান্না দে তাই চললেন

             দেবী শেঠির হসপিটালের পথে।

    মান্না দের সঙ্গে তার

             এক আত্মিয়ও যাচ্ছেন তার সাথে।

    হসপিটালালের গেটের মুখে

              বেশ ভালো ভীড় আছে জমে।

    সামনে একটু এগিয়ে

           বোঝা গেল আসল ব্যাপারটি ক্রমে।

    বাইরের কেউ নয়, হসপিটালের

         কর্মচারীরাই দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে।

    ডঃ শেঠির কাছে খবর পেয়ে

         সবাই ফুল জোগার করে এনেছে।

    মান্না দে যখন গেটের

               সামনে পৌঁছুলেন,

    সবাই তার হাতে ফুল দিয়ে

           তাড়াতাড়ি আরগ্য কামনা করলেন।

    মান্না দে খুবই

               অপ্রস্তুত হলেন।

    এই সতঃস্ফুর্ত অভিবাদনে

               আপ্লুত হয়ে পরলেন।

    মানুষের এমন ভালবাসা পেয়ে

         তার মনটা খুশিতে ভরে গেল।

    তার চোখ থেকে কখন যেন

          আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়লো।

    তাকে হসপিটালে তাড়াতাড়ি

              এ্যাডমিট করানো হলো।

    একটু বাদে তার

              চিকিৎসাও শুরু হলো।

    ডঃ শেটি মান্না দে কে

             পরীক্ষা করলেন।

    আর কিছু টেস্ট করানোর

            তখনই ব্যবস্থা করলেন।

    বললেন, ʼদেখুন আপনাকে ওই টেস্টগুলোরʼ

                           ʼজন্য অপেক্ষা করতে হবেʼ।

    ʼসম্ভবতঃ তেমন ক্রিটিকাল কিছু হয় নিʼ

           ʼতবে টেস্টের রেজাল্টে তা কনফার্ম হবে।ʼ

    টেস্টের রেজাল্টগুলো

                         মোটামুটি ভালই এলা

    খুব তাড়াতাড়ি

                  মান্না দের শরীর সুস্হও হয়ে গেল।

    মান্না দেকে দেবী শেঠি বললেন,

                    ʼআপনি এখন সম্পূর্ণ সুস্হ হয়ে গেছেনʼ।

    ʼআপনাকে আজই ছেড়ে দেবʼ,

                 ʼতবে ওষুধগুলো দুমাস খেয়ে যাবেনʼ।

    মান্না দে খুশি হয়ে বললেন,

                        ʼথ্যাঙ্ক ইউ ডক্টর, আমি এখন একদম ভালʼ।

    আমার বিলটা পাঠিয়ে দিন প্লিজ

                 আর রিলিজ সার্টিফিকেটটা লিখে দিন।

    একটু পরে লম্বা একটা বিল এল

                                            মান্না দের হাতে।

    কিন্তু এ কি!, বিলে সব আইটেমই আছে,

                         কিন্তু শূন্য বসানো চার্জের সব জায়গাটাতে।

    মান্না দে দেবী শেঠিকে ডাকলেন,

               ʼডাক্তারবাবু এ কি করে হয়ʼ?

    ʼবিলের টোটাল চার্জ জিরো ʼ?

                 ʼভুল হয়েছে বোধহয়ʼ।

    ʼস্যার, আপনার গান শুনেʼ

                  ʼছোটোবেলা থেকে বড় হয়েছিʼ।

    ʼতখন ঐ সব গানেʼ

                  ʼখুশিতে আপ্লুত হয়েছিʼ।

    ʼআর আপনার বেদনার গানেʼ

                  ʼমনে দুঃখ অনুভব করেছিʼ।

    ʼতাই সেই মানুষটাকে সেবা করতে পেরেʼ

                  ʼমনে একটু আনন্দ পেয়েছিʼ।

    মান্না দে জড়িয়ে ধরলেন

                              ডঃ দেবী শেঠিকে।

    কোনও কথা বেরলো না

                               তাঁর মুখ থেকে।

    মনে মনে ভাবলেন, মানুষের এত

                              ভালবাসা আমার গানে।

    এক অসীম পরিতৃপ্তি পেলেন

                                নিজের প্রাণে।