-
এটা খাব না ওটা খাব না
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
আরে একটাই তো জীবন
একটাই তো প্রাণ।
সবসময় এটা খাব না, ওটা খাব না
কেন করে যান?
মিস্টি খাওয়া বারন
কারন ওটা খেলে ফ্যাট হবে।
বেগুনি আর তেলেভাজাতে
কোলেস্টরল বাড়বে।
তেঁতো খাওয়া কষ্টের
কিন্তু সুগারের রিগিং কমবে।
ভোরবেলা খালিপেটে
হলুদ, রসুন, মধু খেতে হবে।
সুন্দর শরীর ও স্বাস্হ্য রাখতে
এসব নানান নিয়ম মানতে হবে।
যত কিলো ওজন, রোজ
তত গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।
এমন সব নিয়ম রোজ মানতে মানতে
প্রাণ দুর্বিসহ হবে একদিন।
তখন নিয়ম ভেঙ্গে আনহেল্দি খাবার
খাওয়া যেতে পারে দু-এক দিন।
মানুষ কিন্তু মেসিন নয়
তার মনও আছে একটা।
জিভের ইছে মতো ফর্স্ট ফুডে
পাখনা মেলে উড়বে সেটা।
মানুষের শরীর ঠিক রাখতে
দরকার পরিমিত হেল্দি আহার।
তেমনি জল ও নিয়মিত
ব্যায়াম করাও দরকার।
তাই সুগার পেসেন্টদের
ইচ্ছে হলে একটা রসগোল্লা পরুক পাতে।কয়েক কিলোমিটার হেঁটে নিন
সেটাকে ব্যালেন্স করতে।
তাই ছাড়ুন, এটা খেলে কোলেশ্টরল
ওটা খেলে ফ্যাট।
নোন্তা জিনিস খেও না
শরীরের নানান বিভ্রাট।
সবশেষে বলি, নিয়ম মেনেই চলতে হবে
সুস্বাস্হ্য নিয়ে বাঁচতে।
মাঝে মাঝে শুনুন একটু
জিভের কথা রাখতে।
-
ত্রিদেবের ইচ্ছা
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
তিনটে ছেলে একটা মাঠে
এক নির্জন জাযগায় বসে গল্প করছে।
তাদের দেখে মনে হয়
সবারই বয়েস বছর কুড়ি হয়েছে।
শিব জটা নিয়ে দৃপ্ত ভঙ্গিতে
তাকিয়ে কিছু ভাবছে।
গোপাল চুলের চূড়ায়
একটা ময়ূর লাগিয়ছে।
আর শেষ ছেলেটি ব্রহ্মার হাতে
কমন্ডুলুর মতো একটা পাত্র আছে।
সবাই নিজেদের মতো
কি যেন চিন্তা করছে।
শিব বললো, গৃথিবীতে মানুষ
বরো বেশি হিংস্র হয়ে গেছে।
গোপাল বললো, ইর্ষা, লোভও
মানুষ বড্ড হেশী বাড়িয়েছে।
ব্রহ্মা বললো, এব সঙ্গে
অনাচার সর্বত্র বেড়ে গেছে।
কোনও পুজো বা মাঙ্গলিক কাজেও
যা খুশি তাই করছে।
দেখ আমি তো সত্ব, রজ ও তম গুণ
সব কমবেশী করে পাঠাচ্ছি।
ব্রহ্মার কখা শুনে গোপাল বললো,
সামাজিক পরিবেশে তারা পাল্টাচ্ছে।
তিনজনেরই ইচ্ছা পৃথিবীকে
নতুন করতে হবে।
হিংসা, হানাহানি এসব
অনেক কমাতে হবে।
আমি নেক্সট ছʼমাসের ডেসপ্যাচে
সত্ব আর রজগুণটা একটু বাড়াচ্ছি ।
তমগুনটা যতো গন্ডোগোলের কারন
তাই ওটা খানিকটা কমিয়ে দিচ্ছি।
ব্রহ্মা, ʼশুধু ডেসপ্যাচ ঠিক করলে
তো আগামীটা ভাল হবেʼ।
ʼকিন্তু এখন যারা ঘুরে বেরাচ্ছে
তাদেরও তো ঠিক করতে হবেʼ।
গোপাল ততক্ষণে বাঁশী বাজাতে
শুরু করেছে একমনে।
পৃধিবীর মানুষের রাগ, ইর্ষা
আর হিংসা কমছে এই ধূনে।
এরপর গোপাল যে ধূন শুরু করে
লোভ কমিয়ে তাতেমনের জোর বাড়বে।
গোপালের শেষ ধূনে
মানুষের প্রেম ভালবাসার উন্মেষ হবে।
শিব ততক্ষণে হাত নাড়িয়ে
প্রচন্ড ঝড়ের সৃষ্টি করছে।
ওই ঝড়ে কিছু খারাপ মানুষের
মৃত্যুর ব্যাবস্থা হচ্ছে।
এ এক কল্প কাহিনি
যেখানে ত্রিদেব বড়ই চিন্তিত।
কিন্তু পৃথিরীটা পাল্টে
সত্যিই যদি এমন হতো?
-
ভারতের মেয়েদের ক্রিকেটে বিশ্বজয়
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
দোশরা নভেম্বেরের মধ্যরাতে
আরব সাগরের তীরে বিশ্বজয় হলো।
ভারতের মেয়েরা সাউথ আফরিকাকে হারিয়ে
ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেটে ট্রফি হাতে পেল।
হরমনপ্রীত, স্মৃতি, জেমাইমা
শেফালী, রিচা, দীপ্তি আর সবাই খেললো।
সাউধ আফরিকার বাহিনীর সঙ্গে
প্রাণপাতে ক্রিকেট-যুদ্ধে জয়ী হলো।
মধ্যরাতে বিজয় উৎসবে ভারতে
উদযাপন হলো দিওয়ালি আরেকটি।
দীপ্তির শেষ বলে হরমনপ্রীত যখন ধরলো
ক্লার্কের সেই স্মরণীয় ক্যাচটি।
প্রতিকা রাওয়েলের পা মচকালো
শিকে ছিঁড়লো শেফালী ভার্মার।
ফাইলালে সাতাশি রান আর দু-উইকেট নিয়ে
মালিক হলো সে ম্যান অফ দি ম্যাচ তখমার।
রিচা ঘোষের ঝোডো চৌত্রিশ রান
এলো মাত্র চব্বিশ বলে।
ভারতের মেয়েরা দুশো আটানব্ব্ই
রান করলো সবাই মিলে।
জেতার উদগ্র বাসনা নিয়ে
ভারতের মেয়েরা এলো বল করতে।
এই রান আটকাতে হবে
কুড়ি ওভারে ম্যাচ জিততে।
শেষ দুবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে
দুবারই হয়েছে হারতে।
তাই দল পরিচালনার ফাঁকে বারবারই
দেখা গেল হরমন ব্যস্ত ভগবানকে ডাকতে।
ক্যাপ্টেন উলভার্টের শতরানের পর
দীপ্তের বলে আমনজোৎ ক্যাচ ধরলো।
ম্যাচের ভাগ্য আস্তে আস্তে
ভারতের দিকে এগিয়ে এলো।
সতীর্থদের সাফল্য এলো একেএকে
এক এক করে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে।
এব পর দীপ্তির শেষ বলে
ভগবান হরমনকে দিলেন উনিং ক্যাচ ধরতে।
নবি মুম্বাইয়ে লেখা হলো
ক্রিকেটের নতুন ইতিহাস।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের পর
বিশ্বজয়ী ভারত চতুর্থ দেশ।
আরব সাগরের তীরে মধ্যরাতে
ভারতের মেয়েদের ক্রিকেটের সূর্যোদয়।
আগামী দিনে ক্রিকেটকে পেশা করতেভারতের মেয়েরা হবে অকুতোভয়।
-
নতুন পৃথিবী
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
পৃথিবী কি ধ্বংস হবে
পাঁচশো বছর পরে?
তারপর নতুন পৃথিবী জন্ম নেবে
একটু একটু করে?
পৃথিবীতে দাবানলের মতো
অবাঞ্ছিত উষ্ণায়ন বাড়ছে।
সেই উষ্ণ বায়ুর প্রকোপে
সৃষ্টির নিয়ম পাল্টাচ্ছে।
সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে
ক্রমে ক্রমেই।
অ্যানটার্কটিকার পাহাড়ে
বরফ গলছে দিনে দিনেই।
সেই নতুন পৃথিবী
কেমন হবে?
সৃষ্টির অমোঘ লীলায়
আবার কি মানুষ জন্মাবে?
আজকে মানুষের হানাহানিতে
সৃষ্টিকর্তাও বোধহয় উদ্বিন্ন।
তাই নতুন মানুষের রূপ হয়ত বা
হবে একেবারেই ভিন্ন।
হিংসা থাকবে না
আজকের মতো।
রবীঠাকুরের তাসের দেশের মতো
নিয়ম মানা হবে মজ্জাগত।
তবে সেখানেও রানীবিবির মতো
কারও মন হতে পারে চঞ্চল।
কোনও এক আগন্তুকের আগমনে
রাজাকে সামলাতে হবে সেই গন্ডোগোল।
রেসারেসি থাকবে না
সেই নতুন পৃথিবীতে।
সবাই চলবে একই রাস্তায়
নিয়মানুবর্তিতায় আর বুদ্ধিতে।
নতুন রাস্তা দেখবে সবাই
কোনও এক আগন্তুকের আগমন দিয়ে।
কিন্তু সে রাস্তাও হবে
মানবিকতাকে বিসর্জন না দিয়ে।
বিঞ্জান সেদিন হবে
শুধু মানুষের উপকারে।
তাকে বিকৃত করে
প্রয়োগ হবে না একেবারে।
থাকবে না উচ্চ-নীচ, ভেদাভেদ
মানুষের মধ্যে।
দুর্বুদ্ধির ব্যাবহার হবে না
সেই পৃথিবীতে।
সবাই করবে তার
নিজের পছন্দের কাজ।
সেই নিয়ে কেউ কিছু বলবে না
যেমন বলছে আজ।
পৃথিবীর সমস্ত সম্পদে
সবার হবে সমান অদিকার।
তাই ঝামেলাও থাকবে না
হবে না আজকের মতো হাহাকার।
সেই পৃথিবীতে বাঁচতে কে না চায়
নিজের মতো করে।
মনে থাকবে সুখ, শান্তি
আর সমৃদ্ধি জীবন ভরে।
-
নাড়ু গোপাল
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
ছোট্ট ছেলে, হাতে নাড়ু
আরেক হাতে বাঁশী।
জগতপালক বাজায় বাঁশী
মুখে মৃদু হাসি।
কেউ ভাবছে এই ছেলেটা
কি আবার করবে?
প্রয়োজনে বাঁশী ছেড়ে,
হাতে সুদর্শনচক্র ধরবে।
মিষ্টি ছেলে নাড়ু গোপাল
সব নারুই তার পছন্দ।
কিন্তু নারু পেয়ে মন ভুলবে না
যদি উদ্দেশ্য হয় মন্দ।
ভক্তরা যখন প্রাণের টানে
মন দিয়ে তাকে ডাকে।
ছুট্টে আসে মিষ্টি গোপাল
তার কষ্ট লাঘব করতে।
পালনহার তো, তাই তো তার
নিয়ম মেনে চলা।
প্রণের টানে তোমার ডাকে
সঙ্গে কথা বলা।
বেচাল কিছু চাইলে কিন্তু
পূরণ সেটি হবে না।
নিজের জমা মার্কস যত
তার বেশী পাবে না।
ফল পাওয়ার সময় যখন
ফলবে তখনই সেটা।
ফলের চিন্তা ছেড়ে তাই
কাজ করো পেতে ওটা।
কংস বধে সেই ছেলেটাই
দমন করে দুষ্ট।
বাঁশীর টানে রাধা আসে
ননি চুরিতে শ্রেষ্ঠ।
সব বাড়িতেই পূজে তোমায়
হাসি মুখটি যে যায় দেখা।
মানুষ হাসে, কাঁদে তোমায় নিয়ে
তোমায় আদরে নেই যে বাধা।
জগতপালকের জন্মদিন আজ
সবাই খুশি তাকে নিয়ে।
প্রাণের ডাকে আসলে পরে
চোখের জল দেবে মুছিয়ে।
-
মহানায়কের শেষ দৃশ্য
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
এ দৃশ্য কোনও নাটকের নয়
নয় কোনও সাধারণ মানুষেরও।
এ যে সত্যি ঘটনা
বাংলার মহানায়কের।
মহানায়ককে টালিগন্জের এক
স্টুডিও থেকে আনা হয়েছে।
তাঁর বুকে ব্যথার জন্য
নাসিং হোমে পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে।
মহানায়ক একদিন বল্লেন,
বশির আহমেদকে, তাঁর মেকআপ ম্যান।
বশির, আমাকে মানুষেরা
সবাই ভুলে যাবে একদিন।
সেই মানুষটিই একটি সিনেমার
সংলাপে বলেছিলেন,
তোমরা আমাকে রাজা সাজতে বলছো,
আমি কিন্তু রাজা সাজতে আসিনি।
বন্ধুরা এতক্ষণে বুঝে গেছেন,
তিনি আজও রাজা আপামর বাঙালীর।
তিনি সত্যজিৎ রায়ের নায়ক, সবার প্রিয়
আমাদের নয়নের মণি উত্তমকুমার।
ওগো বঁধু সুন্দরীর সেট থেকে
তাঁকে বেলভিউতে আনা হয়েছে।
সেটে মুখে সাবানের ফেনা নিয়ে
সিঁড়ি দিয়ে কয়েকবার ওঠানামা করতে হয়েছে।
সেদিন লাইট, ক্যামেরা, সাউন্ড
সবই প্রস্তুত রয়েছে।
কিন্তু সুটিং সেদিনের মতো বন্ধ হলো
কারম মহানায়কের বুকে ব্যথা হচ্ছে।
বাইরে তখন বৃষ্টি হচ্ছে
অঝোর ধারায়।
মহানায়কের কষ্টে, প্রকৃতিও
যেন ভেঙে পরেছে কান্নায়।
জীবনের শেষ অঙ্কে কয়েকটি বছর
উত্তমকুনার ছিলেন অনেকটা চুপচাপ।
নিঃশব্দে জানলার পাশে রসে থাকতেন
হাতে একটি সিগারেট ও চা এক কাপ।
নারসিং হোমে ডাক্তাররা
নানান ওষুধ দিয়ে চলেছেন।
উত্তমকুমার সবাইকে অবাক করে
একটি সিগারেট চাইলেন।
নায়ক তখনও নায়কোচিত
মুখটি করে শুয়ে আছেন।
সিগারেটের ধোঁয়ায়
তিনি রিং বানাতে লাগলেন।
ক্যামেরা ছাড়াই যেন
নায়ক একটি শট দিচ্ছেন।
উপস্থিত সবাই সে দৃশ্যটি
উপভোগ করতে লাগলেন।
তারও কিছুদিন আগে একটিবার
সুচিত্রা সেনকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু মহানায়িকা ভেঙে পরার ভয়েই
হয়তবা আসতে অপারোগ হয়েছিলেন।
বেলভিউতে শুয়ে একটি রাত
তিনি কাটিয়ে ছিলেন।
শেষ রাতে তিনি রবিঠাকুরের
শেষের কবিতা পাঠ করেছিলেন।
তিনি গেয়ছিলেন, এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হতো, তুমি বলোতো।
আবার অন্য ছবিতে গেয়েছেন, সূর্য্য ডোবার পালা
আসে যদি আসুক বেশতো।
কিন্তু জীবনের পথ যে
শেষ হয় এক জায়গায়।
তেমনি নিয়মমতো সূর্য্যদেবও
নির্দিষ্ট উদয় ও অস্ত যায়।
চব্বিশে জুলাই উত্তমকুমার শেষ নিঃশ্বাষ ত্যাগ করলেও
বেঁচে আছেন তিনি মানুষের ভালবাসায়।
তাই তাঁর শেষ যাত্রায় কোলকাতার রাস্তা
মানুষের ভীরে জনসমুদ্রে পরিনত হয়।

















