• আই পি এলে নাইটের ভরাডুবি
    Poetry

    আই পি এলে নাইটের ভরাডুবি

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view the Video)

    Audio File:

    কোলকাতা নাইট রাইডার্সের

            পাজ্ঞাবের কাছে ভরাডুবি হলো।

    ওভার কনফিডেন্সের জেরেই

            একশো এগারো রান আটকে গেল।

    দলটা এমনিতে ব্যালানস্ড, ও তারা

                  পারস্পরিক বোঝাপড়ায় জিততে পারে।

    যদিও খুব কম সাংবাদিকই বলছে

                  এই দলটি কিছু করতে পারে।

    ক্যাপ্টেন আউট হলো

              রিভিউ না দেখার বোকামিতে।

    বাকি প্লেয়াররা আউট হলো

              ক্যাপ্টেনের রিপ্লে দেখার পর থেকে।

    আঠারো বছর পরে

              নাইট ইতিহাস করলো।

    একশো এগারো রান

             না করতে পারা তারা দেখালো।

    তার আগে ভাল বল করে নাইট

            পাজ্ঞাবকে পনেরো ওভারে আউট করলো।

    পাজ্ঞাবের হয়ে ভারতের বাতিল স্পিনার

             আঠাশ রানে চার উইকেট নিলো।

    হায়দ্রাবাদ ও পাজ্ঞাব খেলার শিক্ষা নিয়ে

              নাইটরা চাঙ্গা হোক আবার।

    কোচ ও ক্যাপ্টেন স্কিলটি শেখাক

              সোজা ব্যাটে সিঙ্গেল নেওয়ার।

    পেস বোলিং একটু ভালো করে

              সোজা ব্যাটে খেলা প্র্যাকটিস করো।

    সেদিন অপ্রতিরোধ্য নাইট

              যে কোনও ম্যাচ জেতায় ঝাপিয়ে পরো।

    ইডেন উইকেট সম্ভবতঃ

             এক নম্বর ভিলেন আছে।

    আরও অনেক ভিলেনরা

             আসবে অন্যান্য সব ম্যাচে।

    এগিয়ে যাও পরপর ম্যাচ জিতে

                হারিয়ে সব ভিলেনদের।

    দেখবে আই পি এল কাপও

           এসে পড়বে  ফাইনালে তোমাদের।

  • স্বপ্নের রূপকথা
    Poetry

    স্বপ্নের রূপকথা

    Audio File:

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    রূপকথা হয় রাজা, রানি

           আর দৈত্যের গল্প দিয়ে।

    এটি যে এক সত্যি কাহিনি

          এক বাঙ্গালীর জীবন নিয়ে।

    একটি শিশু বড় হয়

             তার মধ্যবিত্ত জীবনে।

    স্বপ্নে দেখে নানান ছবি

             সে তার ছোট্ট ভুবনে।

    সবাই বলে, পড়াশুনা করে বড় হয়ে

              ভাল চাকরি পেতে হবে।

    তবেই হবে সার্থক জীবন

              ভাল রোজগার করতে হবে।

    ছোট্ট শিশু বড় হয়

             পৌঁছোয় সে কৈশোরে।

    পড়াশুনা, থেলাধুলা আর

           তার স্বপ্ন লালান করে।

    বড়রা বলে- পড়াশুনা করো, বড় হও

          অন্য সবকিছু তোমার অবসরে।

    নইলে যে ভবিষ্যত গন্ডগোল

          ভাল চাকরি আর রোজগার অন্ধকারে।

    ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম তার

            দেখতে সুন্দর, সুঠাম তার সাস্হ্য।

    বাবার চাকরি বি এস এন এল-এ

            মা সংসার সামলাতেই ব্যস্ত।

    ছোটবেলায় দিন কেটেছে

              পশ্চিম বাংলার বাইরে।

    ইডলি-দোসা-উপমা খেয়ে

              সূদুর চেন্নাই শহরে।

    আর সকলের মতোই সে

         খেলতে বেশী ভালবাসে।

    ক্রিকেট খেলতে ব্যাটিং আর

         উইকেট কিপিং করে সে।

    স্বপ্ন দেখে ক্রিকেটে তার

             মহেন্দ্র সিং ধনি হওয়ার।

    সে স্বপ্ন সত্যি হবে কি

             এ চিন্তা সদাই যে তার।

    কʼজনই বা হয় বিরাট কোহলি,

            তেন্ডুলকার বা এডাম গিলখ্রীষ্ট।

    সবাই বলে পড়াশুনা ভাল করে

            হতে হবে তোমায় বেষ্ট।

    মনোযোগী ছাত্রের মতো

            তারও হলো সে রকমই।

    খেলাধূলা ছেড়ে দিয়ে

          মন দিল সে গ্রাজুয়েসনে পড়াতেই।

    ভর্তি হলো সে আর্কিটেকচার নিয়ে

          চেন্নাইয়ের এ আর এম কলেজে।

    দূরে মাঠে খেলা দেখে

         মনটা মাঝে মাঝে ব্যাকুল হয় যে।

    নিয়ম মতো ফিফ্ত ইয়ারে

             থিসিস জমা দিতে হয়।

    তার বিষয়বস্তু দেখে সবাই

              তাজ্জব হয়ে যায়।

    সেটি ছিল একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের

             সব কিছু সুবিধা নিয়ে যত।

    তার মনে যে ক্রিকেট বাসা বেঁধেছে

            বাবুই পাথীর বাসার মতো।

    ছেলে আর্কিটেকচার পাশ করে

            ছোটে না চাকরির খোঁজে।

    বাড়ীতে বসে চিন্তা করে

           কোন কাজে রোজকার করবে সে।

    রোজগারের মাধ্যম হিসেবে

           সে ক্রিকেটকেই পছন্দ করে।

    কিন্তু ক্রিকেট খেলবে কেমন করে

           তার এই বিনা রোজগারে।  

    চেন্নাইয়ের ডি প্লাস ওয়াই আর্কিটেক্টস ইন্টিরিয়রে

         চাকরি নিল সে আর্কিটেক্টেরের।

    মাইনের পয়সা দিয়ে      

            খরচ জুটবে ক্রিকেটের।

    দুʼবছরের চাকরি ছেড়ে যোগ দিল

         সে পুরোপুরি খেলার মাঠে।

    কোচের কথামতো সে তখন

          ব্যাস্ত ফার্স্ট বোলিং করতে।

    একদিন এক ম্যাচে তার

         সাংঘাতিক চোট লাগে হাঁটুতে।

    ফার্স্ট বোলিং-এ আত্মপ্রকাশ

        শেষ হয়ে যায় তার এই চোটেতে।

    তবে কি শেষ হয়ে গেল

           তার ক্রিকেট কেরিয়ার?

    মাথা খুঁরে চিন্তা করে সে উপায়

            ক্রিকেট মাঠে ফেরার।

    শেষে স্পিন বোলিংই হয় উপায়

            ক্রিকেট স্বপ্ন সফল করার।

    ইউটিউবে অনিল কুম্বলের বোলিং দেথে

         চেষ্টা করে সে পারফেক্ট হওয়ার।

    আর্কিটেক্টের সহজ বিদ্যে দিয়ে হাতের কোন,  

          বলের যাওয়ার পথ বুঝতে থাকে।

    এ সব বুঝে আয়ত্ব করে

            প্র্যাকটিস করে কঠোর ভাবে।

    স্পিনের জাদু দেখিয়ে, সিয়াকেম মাদুরাই

               প্যানথার্স তাকে দলে নেয়।

    তার মারাত্বক বোলিংয়ে মাদুরাই দল

               চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।

    ছেলেটির বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়ে

         আই পি এল-এ পান্জাব তাকে নেয়।

    পরের বছর নাইট রাইডার্স

         বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়ে সাকসেস পায়।

    মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ এরমধ্যে

       ভারতের টি টোয়ন্টি খেলে ফেলেছে।

    আগামী দিনে ওয়ান ডে ও টেস্টেও

       ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে।

  • Poetry

    নিউ ইয়র্কের রাস্তায় – টাইম স্কোয়ার

    Audio File:

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    রাত্রি দশটায় আমরা হাঁটছি

          টাইম স্কোয়ারের দিকে।

    জমাট ভীড়ে হাঁটতে হচ্ছে

         লোকের পিছে পিছে।

    এই সময়ে এত ভীড়

          যেন সবাই অফিস যাত্রী।

    এদিক থেকে ওদিকে যাচ্ছে

            এ এক জনস্রোতের রাত্রী।

    একদিকে নয়, দুদিকেই

              মানুষের সেই বন্যা।

    কাকে দেখতে ছুটছে সবাই

              কে সেই রূপসী কম্যা।

    অবশেষে আমরা এলাম

             নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়ারে।

    চোখ ধাঁধানো আলোর মেলা

             নানান বিজ্ঞাপনের বাহারে।

    বিরাট বিরাট এল ই ডি লাইট

             ও রঙ বাহারি ভিডিও।

    ছবি তোলার কম্পিটিসন

              লেগেছে আমার মেয়েও।

    গাড়ী চলে, রিক্সা চলে

             বাসও চলে রাস্তায়।

    আজব শহর নিউ ইয়র্ক

             সব শহরকে হার মানায়।

    পাশে পাশে মেট্রো রেল

             যেতে হবে মাটির নিচে।

    সঠিক সাবওয়ের পথ ধরে

             চলুন সবার পিছে পিছে।

    রিক্সা চেপে ফিরি আমরা

           দৃশ্য দেখতে দেখতে।

    মিনিট কুড়ি পরেই দেখি

           পৌঁছে গেছি হোটেলেতে।

  • নিউ ইয়র্কের রাস্তায় – হোটেল পৌঁছানো
    Poetry

    নিউ ইয়র্কের রাস্তায় – হোটেল পৌঁছানো

    Audio File:

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    নিউ ইয়র্কে চলেছি

              মেয়ের গাড়ীতে চড়ে।

    বিশাল বিশাল বাড়ীগুলো

              ছোট্ট রাস্তার ধারে।

    হাডসন নদী পেরিয়ে

                এগিয়ে চলে গাড়ী।

    আমি হারব না – গাড়ীর স্পীডে

                চলছে মারামারি।

    এক পাহাড় ছেড়ে, অন্য পাহার ধরে

                    রাস্তা উঁচু নিচু।

    আকাশ ছেড়ে পাতাল প্রবেশ

                   গাড়ীর পিছুপিছু।

    দুপাশে জঙ্গল পাহাড়ী গাছে

               মনোরম সব দৃশ্য।

    এসব জায়গায় দোকান বাজার

             একেবারেই অদৃশ্য।

    জায়গায় জায়গায় পেট্রোল পাম্প

                সঙ্গে ছোট্ট দোকান।

    গাড়ীর পানীয়, মানুয়ের খাবার

                যা ইচ্ছে কিনে খান।

    আমরা যাচ্ছি বুক্ট হোটেলে

                জি পি এস চেনায় রাস্তাটাকে।

    কাছাকাছি আসে হোটেলটা

                আবার হারায় সে পথটা যে।

    রাস্তায় এত যান জট

              একমুখো সব গাড়ী।

    সবাই বলে, আমি আগে যাব

              গাড়ীদের হুরোহুরি।

    একটু পরেই পৌঁছে যাই

               আমাদের হোটেলে।

    নিউ ইয়র্কে পৌঁছে গেলাম

              আমরা সবাই মিলে।

  • মা-ই তো কালী
    Poetry

    মা-ই তো কালী

    Audio File:

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    সত্যি কথা বলতে গেলে

            মা-ই তো কালী।

    কেন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে

            একটি ঘটনা বলি।

    সেটা সতেরো শো বিরাশি

            সালের একটি সময়।

    বর্গীরা লুটপাট চালাতে বাঁকুরায়

            সোনামুখি গ্রামে হাজির হয়।

    সেই গ্রামের জঙ্গলে

           পাতার ছাউনিতে এক মন্দির।

    সেই মন্দিরের পূজ্যা দেবী

           করাল বদনা মা কালীর।

    একদিন সন্ধ্যায় এক বৃদ্ধ

          সেই মন্দিরে আসেন।

    হাতের প্রদীপটি জ্বলিয়ে

           মাকে প্রণাম করেন।

    হঠাৎ সেই জায়গায়

            বর্গীর দল হাজির হয়।

    সামনে মায়ের হাঁড়িকাঠে

           তাদের সর্দার বৃদ্ধকে বলি দিতে যায়।

    সর্দার খাঁড়াটি মাথার ওপর তুলে

            কোপ মারতে উদ্যোগি হয়।

    কিন্তু মায়ের আশীর্বাদে

            খাঁড়াটি ওপরেই আটকে যায়।

    সর্দারের মনে হয়

        কেউ যেন পিছন থেকে,

    তার শক্তিমান হাতটিকে

         অদৃশ্যভাবে ধরে রেখেছে।

    মুহুর্তের মধ্যে সর্দার

           অন্ধ হয়ে যায়।

    কিংকর্তব্যবিমুঢ়় হয়ে সর্দার

          বৃদ্ধের কাছে ক্ষমা চায়।

    বৃদ্ধ বুঝতে পারে,

             এসবই মা কালীর খেলা।

    সে ভাবে, এ যেন তার পুনর্জন্ম

            প্রত্যক্ষ করে মায়ের লীলা।

    মায়ের কৃপায় বিগলিত হয়ে

       বৃদ্ধও কাঁদতে থাকে অঝোরে।

    বর্গী সর্দারও সব বুঝে

         বৃদ্ধের পা জড়িয়ে ধরে।

    সর্দার বৃদ্ধকে বলে,

        ক্ষমা করে দাও আমারে।

    চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দাও

          আমায় দয়া করে।

    হতচকিত বৃদ্ধ মায়ের

         সামনে রাখা ঘটের থেকে,

    একটু জল নিয়ে

         ছিটিয়ে দেয় সর্দারের চোখে।

    মায়ের অমোঘ লীলায়

          সর্দার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়।

    সর্দার বৃদ্ধকে তার লুটের

          সব ধন সম্পত্তি দিয়ে দেয়।

    বৃদ্ধ তাদের লুটের ধন

           নিতে অস্বীকার করে।

    কোন দেবতার পূজা হয়

           সর্দার জিজ্ঞেস করে।

    বৃদ্ধ তাকে বলে,

           এখানে আছেন মা কালী।

    সর্দার বলে, তাই তো ইনি মায়ের মতো

             সত্যিই মা-ই তো কালী।  

    এটি শ্রী দূর্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের লেখা থেকে সংকলিত।   

  • মা দূর্গার সন্ধীপূজো
    Poetry

    মা দূর্গার সন্ধীপূজো

    Audio File:

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    মা দূর্গার ‘সন্ধীপুজো’ কথাটি

       অসুরের সঙ্গে সন্ধী করার সম্পর্কিত নয়।

    মা অসুরের সঙ্গে ন’দিন যুদ্ধ করে

         তাকে পরাস্ত করেই যুদ্ধ শেষ হয়।

    আসলে এ নামটি এসেছে

           দুটি তিথির সংযোগ সময়ে।

    মহাষ্টমীর শেষ চব্বিশ মিনিট

        আর মহানবমীর প্রথম চব্বিশ মিনিট নিয়ে।

    এই আটচল্লিশ মিনিট

               মায়ের সন্ধীপুজোর ক্ষণ।

    বিশেষ  এই সময়ে

               মায়ের হাতে অসুর বধ হন।

    এই সল্প সময়ে পুরোহিত মশাইকে

            ষোড়শোপচারে পুজো করতে হয়।

    এছাড়া মায়ের  বলিদান ও

            একশো আটটি দীপমালায় আরতি হয়।

    এই ষোড়শ উপাচারে পুজোতে

           মাকে প্রথমে আহ্বান করা হয়।

    পা ধোয়ার জল,

        হাত মুখ ধোওয়ার জল দেওয়া হয়।

    ঘরেতে আসন দেওয়া হয়

              মাকে বসতে।

    মায়ের স্নানের পরে

        বসন ও আভরণ দেওয়া হয় মাকে।

    এই প্রচারে মধু, সুগন্ধি

         ধূপ, দীপ ও চন্দন লাগে।

    এছাড়া বিভিন্ন নৈবেদ্য

           উৎসর্গ করা হয় মাকে।

    সন্ধীপুজোতে চামুন্ডা রূপে

             আহ্বান করা হয় মাকে।

    মায়ের এই নামটি এসেছে

        মায়ের চন্ড ও মুন্ডকে বধ করা থেকে।

    দেবী দূর্গা তাঁর তৃতীয় নয়ন থেকে

           মা কালী ব চন্ডিকাকে সৃষ্টি করেন।

    সেই মা চন্ডিকাই

           অসুরকে দলন করেন।

    মা প্রথম বধ করে ছিলেন

              চন্ড ও মুন্ডকে।

    তারপরে মা বধ করেন

           শুম্ভ ও নিশুম্ভকে।

    পুরানের অন্য মতে, দেবী

           বধ করেন মহিশাষুরকে।

    অকাল বোধনে দেবীর কৃপায়

         রামচন্দ্র বধ করেন রাবণকে।

    ষোড়শ পূজার শেষে

          মায়ের বলিদান হয়।

    বলিদানে নিজের সম্পদ বা পোষ্যকে

           মাকে অর্পণ করা হয়।

    এরপর মায়ের আরতি হয়

        একশো আটটি দীপে ও কর্পুর দীপে।

    জলশঙ্খ, পদ্মফুল, কাপড়

        ও চামড় লাগে আরতিতে।

    পূজা শেষে ভক্তরা

           মাকে পুস্পা্জলী দেয়।

    প্রর্থনা করে, শক্তি, শান্তি

       দীর্ঘায়ু ও দেহের আরোগ্য কামনায়।