-
ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কথিত গল্প
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
ভক্তবৃন্দের সঙ্গে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ
পরমহংসদেব বসে আছেন।
ভক্তগনের আগ্রহে তিনি
একটি গল্প বললেন।
এক নাপিত এক ভদ্রলোকের
ক্ষৌরকর্ম করছিল।
দাড়ি কামাতে কামাতে
ভদ্রলোকের একটু কেটে গেল।
ভদ্রলোক চিৎকার করে বলে উঠলেন ʼড্যামʼ,
কেমন করে এটা হয়?
দাড়ি কাটতে বলেছি
গাল কাটতে নয়।
নাপিতও খুব রগচটা মানুষ
সে ক্ষুর ছেড়ে জামার আস্তিন গুটিয়ে ফেলে।
কাজ করতে করতে এমনটা হয়
ʼড্যামʼ মানেটা কি, সে বলে।
ভদ্রলোক নিজের ভুলটা বুছতে পেরে
ঠান্ডা গলায় বলেন, তেমন কিছু না।
তুই সাবধানে কাজটা শেষ কর,
আর যেন কাটে না।
নাপিতও ছাড়ার পাত্র নয়
সে বলে, ড্যাম মানে ভাল হʼলে আমি ড্যাম।
আমার বাবা ড্যাম
আমার চোদ্দ পুরুষ ড্যাম।
আর ড্যাম মানে খারাপ হʼলে
তুমি ড্যাম।
তোমার বাবা ড্যাম,
তোমার চোদ্দ পুরুষ ড্যাম।
এটা শুনে ভক্তবৃন্দের সবাই
হাসতে শুরু করলেন।
ঠাকুরও তাদের সঙ্গে
হাসতে লাগলেন।
এ গল্পটি নগেন্দ্র প্রজ্ঞাম্নদিরের ʼছোটদের কখামৃত থেকে অনুসৃত।
-
এপ্রিল ফুল – দ্বিতীয় পর্ব
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
দেখ, তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাব
সেখানে তোমার ভাল লাগবেই ।
তোমার বৌমা তোমা সুটকেশ গোছাচ্ছে
আমরা বেরোব একটু পরেই।
বাবা ভাবলো, ছেলে বোধহয়
আমাকে এপ্রিল ফুল করছে ।
পয়লা এপ্রিলে আমাকে
বোকা বানাবে ভেবেছে।
বাবা মনে মনে ব্যাপারটা বুঝে
ছেলের কথা মতো তৈরী হয়ে নিল ।
একটু পরে ছেলের সঙ্গে
গাড়ীতেও গিয়ে বসলো ।
ছেলে গাড়ী চালিয়ে
অনেক দূরে চলে এল ।
জায়গাটা বারাসাতের কাছে
একটা গ্রামে গাড়ী এসে পৌঁছোল ।
একটু পরে গাড়ী থামলো
আর ছেলে বাবাকে নামতে বললো ।
এখানে আমার সব ঠিক করা আছে
ছেলে বাবার ব্যাগটা নামিয়ে দিল ।
একটু দাঁড়াও, দারোয়ান এসে
তোমাক নিয়ে যাবে ।
সময় নেই বাবা, আমাকে এখান থেকে
অফিস যেতে হবে ।
আমি মাঝে মাঝে আসব
তোমার কাছে দেখা করতে।
তুমি এখানেই থাকবে
অনেক বন্ধুদের সাথে ।
বাবা তখনও ভাবছে
ছেলে বোধহয় এপ্রিল ফুল করছে।
একটু পরে আমাকে নিয়ে
বাড়ীর পথে রওনা দেবে ।
ছেলে গাড়ীতে উঠে গাড়ী স্টার্ট দিল
আর কয়েক সেকেন্ডে গাড়ীও চলে গেল ।
রাস্তার ধুলো বাবাকে ভরিয়ে দিয়ে
ছেলে অফিস চলে গেল ।
বাবা পিছন ফিরে দেখে
এক মাঝ বয়িসি লোক তার ব্যাগ তুলে দাঁড়িয়ে ।
বাবার অজান্তে কখন যেন
চোখ থেকে এক ফোটা জল পরলো গড়িয়ে ।
-
।। রেসের ঘোড়া ।।
Race er Ghora
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
রেসের ঘোড়া এগিয়ে চলে
যেমন জকি লাগাম টানে।
ঘোড়ার কাছে অজানা যে
ছুটছে কেন, কিসের পানে।
জকি জানে জিতলে রেসে
আসবে অনেক টাকা।
ঘোড়াও পাবে ভাল খাবার
আর আদরটা তো পাকা।
আমরাও তো ছুটছি সবাই
জানিনা কোন পথে।
অসত জকি চালায় যখন
কষ্ট এসে জোটে।
লোভি প্রানের ইচ্ছা যখন
লোভের দিকে ধায়।
দুঃখ তার যে ফলস্রুতি
দুঃখই সে পায়।
মহত কাজে প্রাণ যখন
কষ্ট নিয়ে ফেরে।
জগত সংসারের জকি তখন
হাতটি এসে ধরে।
-
গোপাল দাদা Gopal Dada
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
গোপাল, গোপাল, গোপাল
সবকিছু যে তুমি।
মনে আছ, প্রাণে আছ
আকাশ, বাতাস, ভূমি।
তোমার কৃপায় বেঁচে আছি
তোমার কৃপায় করছি কাজ।
তোমার কথা বলব ভাবি
কিনতু কি কথা যে বলি আজ।
জগত সংসার যে চলে
তোমার অঙুলি হেলনে।
জীব জগতের প্রাণ ভোমরা তুমি
আছ সবার প্রাণে।
মানুষ জন্মায়, মানুষ বড় হয়
নানান কাজ সে করে।
প্রাণের কলসের শেষ ফোঁটাতে
মৃত্যুবাণ এসে পড়ে।
গোপালদাদার হাতে সুতো
যেমন ওঠে পড়ে।
কাজ করে সে কলের পুতুল
তেমন করে নড়ে।
শেষের দিনে কোথায় যাবে
কোথায় তার ঠিকানা।
ʼহরিবোলʼ বলে ডাকতে হয় যে
এ তো সবার জানা।
-
।। কেমন ছেলে ।। Kemon Chele
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
জন্মে শিশু বড় হয় যে
সব্বাই চায় বড় হোক।
ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার
নিদেন পক্ষে অধ্যাপক।
পড়াশুনায় ভাল হবে
সব সময়েই পজিটিভ।
বাড়ী হবে, গাড়ী হবে
নাম হবে তার দিকবিদিক।
দেখতে হবে সুন্দর সে
সবাই দেখবে তাকে।
তোমার ছেলের নেই কো জুড়ি
বলবে বাবা-মাকে।
স্কুল কলেজে ফার্স্টবয় সে
চাকরির রেজাল্টেও ফার্স্ট।
সব ভাল যে হতেই হবে
ভালর চূড়ায় মাস্ট।
পড়াশুনা চাকরির মতো
মানবে সে তার ধর্ম।
চিনিয়ে দেবে সংসারে তাকে
এমনই তার কর্ম।
ব্যবহারে সে কোমল স্বভাব
মাথা নিচু গুনিজনে।
একবার যে দেখবে তাকে
থাকবে তাহার মনে।
শিশু যখন ছোট্ট থাকে
ভাবে বাবা-মা।
সত্যি সত্যি এমন ছেলে
কেন যে হয় না।
AUDIO FILE