Poetry
In Poetry category will have various poems will on bengali or bangla. These are based on various issues on the mordern life. This category is only bengali poetry.
-
এপ্রিল ফুল – প্রথম পর্ব
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
বাবা, ছেলে ও ছেলের বৌ
এই নিয়ে ছোট সংসার ।
সুখ, শান্তি আর হাসি আছে
একটু নয়, অপার ।
বাড়ীর সিনিয়র কর্ত্তী আর চলে গেছেন
বছর কয়েক আগে ।
বাবা তাই মনমরা
বড়ীর এক কোনায় পরে থাকে ।
গৃহ-কর্তা ও গৃহ-কর্ত্তীর মনের মিল ছিল
জমাট মিষ্টি দইয়ের মত ।
সে সময়ে গৃহ-কর্তার মনেও ছিল
নানান সপ্ন শত শত ।
সেই প্রাণের মানুষটি যখন চলে যাবার পর
গৃহ-কর্তার জীবনের বাঁচার ইচ্ছাই চলে যায় ।
সেই থেকে মানুষটির মুখের হাসিটাও
কোথায় যেন মিলিয়ে যায় ।
সেই থেকে বাবা মনমরা
কাগজ পড়া, গান শোনা আর টিভিতে খেলা দেখেন ।
সাংসারিক কাজও করতে হয় না
তাই মাঝে মাঝে ছাতে গাছের সেবা করেন ।
সেদিন ছিল পয়লা এপ্রিল
ঝগড়ার আওয়াজ শোনা য়ায় ।
কোনও এক বিষয়ে
ছেলে ও বৌয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ।
বাবার কানে এলেও
তাঁর মন কাগজ পড়ার দিকে ।
একটু পরে ছেলে আসে
বাবার সঙ্গে কথা বলতে ।
ʼবাবা তোমার তো বাড়ীতেʼ
ʼকথা বলার কেউ নেই ʼ।
ʼতাই তোমার মনও ভাল থাকে নাʼ
ʼকারও সঙ্গে কথা বলতে না পেরেইʼ ।
ʼহ্যাঁ, সেটা খানিকটা ঠিকʼ,
ʼতবে এ ব্যাপারে আমার তেমন কষ্ট নেইʼ ।
ʼকাগজ পড়ে, টিভিতে গান আর খেলা দেখে
দিন যাচ্ছে ভালই ʼ।
-
রাজা ও রানীর গল্প – চতুর্থ পর্ব
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
ক্রমে দুজনের মন শান্ত হয়
কারন দুজনেই জেনেছে ট্রান্সফার হতে অন্ততঃ এক বছর |
এদিকে দু-অফিসের কলিগরা জেনেছে
পরস্পরের অনুরাগের খবর |
ক্রমে সেই খবর ছড়িয়ে পরে ওদের বসেদের কাছে
আর তারপর ওদের বাবা-মারাও জানতে পারে |
তাই দুদিকের বসেরা মিলে ঠিক করে
রাজাকে মুম্বাই পাঠাবে প্রোমোট করে |
নতুন এক প্রোজেক্টের কোঅর্ডিনেটর হয়ে
রাজা মুম্বাই অফিসে জয়েন করে |
রানী যে প্রোজেক্টে ছিল
সেখানেই সে কনটিনিউ করে |
ওদের রোজই দেখা হয়
অফিসের কাজের পরে |
সেটা বেশীভাগ দিন একই সময়ে হয় না
তাই একজন অন্যজনের জন্য ওয়েট করে |
দুই কপোত-কপতির প্রেমালাপে
অফিসের কলিগরাও সঙ্গ দেয় |
তাই ডিনারটা রোজই
কোনও একটা হোটেলেই করতে হয় |
কিন্তু ক’দিনের মধ্যেই ওরা বোঝে
এমনি করে রোজ হোটেলে ডিনার চলবে না |
বাইরের স্পাইসি খাবার খাওয়া
আর এত সময় ন্স্ট করা ঠিক হচ্ছে না |
তাই তারা ঠিক করে
মাঝেমাঝে বাইরে খাবে |
অনান্য দিন নিজেদের মেসে
পছন্দের খাবার খাবে |
বেশ কয়েক মাস কাটে
এইভাবে কষ্ট করে |
এবারে ওরা ঠিক করে
একসঙ্গে থাকবে বিয়ে করে |
মাস ছয়েক পরে
ওরা বিয়ের দিন ঠিক করে |
দু-বাড়ীর আত্মীয়রা আসে
বিয়ের বাকী ব্যবস্থা করে |
এরপর ওদের ধুমধাম করে
মুম্বাই তে বিয়ে সম্পন্ন হয় |
আর আমার কথাটি শেষ করে
গল্পের নটে গাছটিও মুড়িয়ে যায় |
-
রাজা ও রানীর গল্প – তৃতীয় পর্ব
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
ফোর্থ ইয়ারের মাঝে
ক্যম্পাস ইন্টারভিউ হয় ।
দুজনেই ইনফোসিসে
সিলেক্টেড হয় ।
তারপরে ফাইনাল ইয়ারের
পরীক্ষাটা আসে ।
দুজনেই ফার্স্ট ক্লাস পায়
পরীক্ষার শেষে ।
পরীক্ষা শেষে
রাজা জয়েনিং ব্যাঙ্গালোর অফিসে ।
আর রানীর অ্যপয়েন্টমেন্ট লেটারে
জয়েনিং আছে মুম্বাইতে ।
এরপর যে যার বাড়ীতে ফিরে যায়
তাদের বাবা-মাকে চাকরির খবর দিতে ।
দুজনেই তখন উন্মনা
একে অপরের খবর নিতে ।
যাবার আগে তাদের চোখের ইশারায়
মনের কথা বলা হয়ে যায় ।
মনে কষ্ট চেপে দুঝনেই
নিজের নিজের বাড়ীতে চলে যায় ।
ছেলে মেয়েকে দেখে
দুই বাড়ীতে খুশির ধুম পরে যায় ।
তারপর চাকরির খবর শুনে
তা আবার আরও দ্বিগুন হয় ।
তখন দুজনেই একে অপরের খবর নিতে
সবসময় উন্মখ হয়ে পরে ।
আনমনা ছেলেমেয়েদের দেখে
বাড়ীতে বড়রা অনেক প্রশ্ন করে ।
এক সপ্তাহ পরে
দুজনেই পৌঁছে যায় যে যার অফিসে ।
দুজনেরই চিন্তা একে অপরকে নিয়ে
পরস্পরের সুখের রাস্তা দেখাতে।
-
।। রাজা-রানির গল্প – দুই ।।
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
রাজার থাকার জায়গা হলো
বয়েস একনম্বর হোস্টেলে ।
রানীর থাকার জায়গা হলো
গার্লস একনম্বর হোস্টেলে ।
সবটাই যেন ফর্মুলা
বা কোনও শিল্পির এক সিমেট্রিক ছবি ।
কিন্তু এটা পালটে গেল
দু হোস্টেলেই কয়েক দিন পরে ।
রাগিং শুরু হয়
দুই হোস্টেলের নানান রকমারী ।
মেয়েদের তেমন বেশী কিছু নয়
কিন্তু ছেলেদের হʼতে থাকে বাড়াবাড়ী ।
দুজনের দেখা হয়
ক্লাসে ব্রেকের পরে ।
রাজা বলে, আমি চলে যাব বাড়ীতে
কলেজ ছেড়ে ।
রানীর কথায়
রাজা কেঁদে ফেলে ।
আমি কেমন করে থাকব
যদি এরকম রাগিং চলে ।
তারপর রানী রাজাকে বোঝায়
কেমন করে রাগিং হ্যান্ডেল করবে ।
রাজা বোঝে, সে কলেজ ছেড়ে গেলে
জীবন যুদ্ধে হেরে যাবে ।
ক্রমে রাগিংয়ের দিন শেষ হয়
আসে ফ্রেসার্স ওয়েলকামের দিন ।
সিরিয়াস পড়াশুনা শুরু হয়
আসে ফার্স্ট সেমেস্টারের পরীক্ষার দিন ।
হঠাৎ রাজা জানতে পারে
রানী পরীক্ষায় বসছে না ।
পরে সে জানতে পারে, ফিস জমা না দেওয়ায়
সে কোয়লিফাই করছে না ।
রাজা টাকা যোগার করে
রানীর হয়ে টাকা জমা দেয় ।
রানীর নাম পরীক্ষার লিস্টে ওঠে
দুজনেই একসঙ্গে বসে পরিক্ষায় ।
এমনি করে দিন যায়
মাসও পেরোয়, বছরও পেরিয়ে যায় ।
ফার্স্ট ইয়ার থেকে সেকেন্ড ইয়ার
তারপর থার্ড ইয়ারের পরীক্ষাও শেষ হয় ।
-
The disaster of Tornado in Mainaguri
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
In Mainaguri’s gentle embrace,
Where life meanders with tranquil grace,
A tempest came, unbidden, wild,
In fleeting moments, hearts beguiled.
The winds arose with furious might,
A dance of chaos in the light,
They tore through homes with ruthless ire,
Leaving behind a funeral pyre.
Amidst the storm, a tragic tale,
Of lives cut short, like ships set sail,
Five souls departed, their journey done,
Their stories etched ‘neath setting sun.
Yet in the aftermath, amidst the gloom,
Humanity’s light begins to loom,
Rescue teams rush, hearts beating strong,
To heal the wounds of nature’s song.
Chief Minister’s voice, a beacon bright,
Guiding through the darkest night,
With hands united, we shall mend,
And from this tragedy, strength ascend.
For though the tempest’s fury roars,
We’ll rise again, on distant shores,
In Mainaguri’s resilient embrace,
We’ll rebuild with steadfast grace.
-
।। রাজা-রানির গল্প – এক ।।
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
ছেলেটির নাম রাজা
মেয়েটির নাম রানী।
সবাই বলবে নাম শুনেই
ছেঁদো গল্প জানি।
দুজনেই এবার হায়ার সেকেন্ডারী
পাশ করেছে।
ইন্জিনিয়ারিং পড়তে দুজনেই
জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়েছে।
দুজনেই এসেছে দূর্গাপুর ইন্জিনিয়ারিং
কলেজে ভর্তি হতে।
একজনের পিছনে অন্যজন দাঁড়িয়ে
তাই কথা বলতে থাকে।
দাদা, এটা তো বাংলা সিরিয়ালের
ফরমূলা নাম্বার ওয়ান।
ওই তো জি বাংলার
ʼসপ্নের রানীʼতে ছিলো।
আরে বাবা —
সবটাতো শুনুন আগে ।
এতো কথা বলবেন না
আগে ভাগে ।
ফরমূলা নাম্বার ওয়ান
নাকি জানিনা ।
তবে নামেতেই রাজার পছন্দ রানী
আর রানীর পছন্দ রাজাতে ।
তাই কে যেন প্রেমের অঙ্কুর পুঁতলো
তাদের দুই আনকোরা হৃদয়েতে ।
রাজা কোলকাতার ছেলে
আদি বাড়ী পুরুলিয়ায়।
রানীর জন্ম আর
পড়াশুনা সিমলায় ।
দুজনেরই পছন্দ
কমপিউটার সায়েন্সে পড়ার ।
দুটি হোস্টেলে থাকার জায়গা
হয় দুজনের ।