Stories
In Stories category will have stories on Krishna and modern life will be narrated. All stories will be Bengali stories.
-
মা কুষ্মাণ্ডা
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
মা কুষ্মাণ্ডা পার্বতীর অবতার
গ্রহ সূর্য
অস্ত্র পদ্ম, চক্র, কমণ্ডলু, তীর, ধনুক, গদা, অক্ষমালা, সুধা ও রুধিরপূর্ণ ঘট
বাহন সিংহ
সঙ্গী শিব
নবদুর্গার চতুর্থ রূপ কুষ্মাণ্ডা। নবরাত্রি উৎসবের চতুর্থ দিনে তার পূজা করা হয়।
দেবীর এইরকম অদ্ভুত নাম কেন? ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই ত্রিতাপ বা দুঃখ–দেবী জগতের দুঃখ গ্রাস করে নিজের উদরে ধারণ করেন, তাই তার নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’
স্বামী অচ্যুতানন্দের ভাষায়, “যেমন মহাদেব সমুদ্রমন্থনের সময় সমস্ত হলাহল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন, তেমনি জগজ্জননী দুর্গা আদ্যাশক্তি জগতের সর্বপ্রকার জ্বালা-যন্ত্রণার হাত থেকে সন্তানদের সর্বদা রক্ষা করতে করুণায় দ্রবীভূত হয়ে স্বেচ্ছায় সব তাপ নিজের শরীরে গ্রহণ করেন। দূরিতবারিণী–‘ত্রিতাপহারিণী’ মায়ের নাম তাই কুষ্মাণ্ডা।
দেবী কুষ্মাণ্ডা ত্রিনেত্রা অষ্টভুজা –তাঁর ডান দিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে পদ্ম, বাণ, ধনুক ও কমণ্ডলু; এবং বাঁদিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে চক্র, গদা, অমৃতপূর্ণ রুধিরাপ্লুত ঘট ও জপমালা। তাঁর বাহন সিংহ।
নবরাত্রির চতুর্থ দিনে সাধক তাঁর মনকে অনাহত চক্রে রেখে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজা করেন। দেবীর পূজায় রোগশোক দূরীভূত হয়; ভক্ত আয়ু, যশ, বল ও আরোগ্য লাভ করেন। মনে করা হয়, দেবী কুষ্মাণ্ডা অল্প পূজাতেই সন্তুষ্ট হন। তাঁর পূজায় কুষ্মাণ্ড (কুমড়ো) বলি দেওয়ার রীতি আছে।
কাশীতে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির বিখ্যাত। কাশীতে তিনি দুর্গা নামেই সমধিক পরিচিতা। তিনি কাশীর দক্ষিণ দিকের রক্ষয়িত্রী। কাশীখণ্ডে রয়েছে, অসি নদীর সঙ্গমস্থলে কুষ্মাণ্ডার অধিষ্ঠান। দেবীর মন্দিরটি বেশ বড়ো ও বহুচূড়াবিশিষ্ট। লাল পাথরের তৈরি সুদৃশ্য এই মন্দিরের কাছেই কাশীর বিখ্যাত তীর্থ দুর্গাকুণ্ড।
এই মন্দিরে হিন্দুধর্মে অবিশ্বাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবী কুষ্মাণ্ডার পশ্চিমমুখী দুই হাত উঁচু বিগ্রহটি অবস্থিত। কাশীতে একমাত্র এই মন্দিরেই নিয়মিত বলিদান হয় (এছাড়া কালরাত্রি মন্দিরে বছরে একবার বলি হয়)। শারদীয়া ও বাসন্তী নবরাত্রির চতুর্থীর দিন এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।
-
মা চন্দ্রঘণ্টা
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
মা চন্দ্রঘণ্টা মহাসরস্বতীর অবতার
আবাস পর্বত, মণিপুর চক্র
গ্রহ চন্দ্র
অস্ত্র ত্রিশূল, পদ্ম, গদা, কমণ্ডলু, খড়্গ, ধনুক, তীর, অক্ষমালা, অভয়মুদ্রা, বরমুদ্রা
বাহন সিংহ
সঙ্গী চন্দ্রচূড়/চন্দ্রশেখর (শিব)
দেবী চন্দ্রঘণ্টা দেবীমহাসরস্বতীর নবদুর্গা অবতারের তৃতীয় মূর্তি বলে বর্ণিত। দেবী চন্দ্রঘণ্টার পূজা নবরাত্রিক ব্রতের তৃতীয় দিনে শুক্লতৃতীয়াকল্পে সম্পন্ন হয়। মণিপুর চক্রে অবস্থিতা,কোটিসূর্যসঙ্কাশা দশভুজা ত্রিনেত্রা এই দেবী সাধকের সকল দুর্গতি,বিঘ্ন নাশ করেন। তিনি হিমালয়দুহিতা ও শিবের পত্নী।
প্রচলিত লোককাহিনী অনুসারে শিব-পার্বতীর বিবাহের দিনে অনুষ্ঠান পণ্ড করার মানসে তারকাসুর দৈত্যবাহিনী প্রেরণ করলে বিবাহকার্য নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে দেবী পার্বতী ত্রিনেত্রা দশভুজা সিংহবাহিনী রূপে আবির্ভূতা হন ও চন্দ্রসম বিশাল ও শুভ্র ঘণ্টা বাজিয়ে সকল দৈত্য বিতাড়ন করেন। আরেক মতে শিব বিবাহকালে বিকট রূপ পরিগ্রহ করে ভূতপ্রেতাদি অনুচর সহ বিবাহসভায় উপস্থিত হলে তাঁদের দেখে মেনকা মূর্ছিতা হন। দেবী পার্বতী শিবের এই রূপের বিপ্রতীপে চন্দ্রঘণ্টা রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই যোদ্ধৃরূপ দেখে শিব চণ্ড রূপ সংবরণ করেন ও বিবাহের জন্যে অপূর্ব মনোহর চন্দ্রচূড় বা চন্দ্রশেখর রূপ পরিগ্রহ করেন।
-
মা ব্রহ্মচারিণী
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
ব্রহ্মচারিণী মানে একজন নিবেদিতপ্রাণ মহিলা ছাত্রী যিনিতার গুরুর সাথে অন্যান্য ছাত্রদের সাথে আশ্রমে থাকেন। তিনি মহাদেবীর নবদুর্গা রূপের দ্বিতীয় রূপ] এবং নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে পূজা করা হয়। দেবী ব্রহ্মচারিণী পার্বতীর একটি রূপ এবং সাদা পোশাক পরিধান করেন, তার ডান হাতে একটি জপমালা এবং তার বাম হাতে একটি কমন্ডলু ধারণ করেন।
কুমারী পার্বতী শিবকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন । তার বাবা-মা তাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করে, কিন্তু সে অবিচল থাকে এবং প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে তপস্যা করে।
ইতিমধ্যে, দেবতারা কামদেবের কাছে আসেন , প্রেম এবং লালসার হিন্দু দেবতা, এবং তাকে পার্বতীর জন্য শিবের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করতে বলেন।
কামদেব শিবকে কামনার তীর নিক্ষেপ করেন। শিব তার কপালে তৃতীয় চোখ খুলে কামকে পুড়িয়ে ছাই করে দেন।
পার্বতী শিবের উপর জয়লাভ করার জন্য তার আশা বা তার সংকল্প হারান না। তিনি শিবের মতো পাহাড়ে বাস করতে শুরু করেন এবং তিনি যে কাজগুলো করেন, যেমন তপস্যা , যোগ এবং ধ্যানে নিযুক্ত হন ; পার্বতীর এই দিকটিকেই দেবী ব্রহ্মচারিণী বলে মনে করা হয়। তার তপস্বী সাধনা শিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তার আগ্রহ জাগ্রত করে। তিনি ছদ্মবেশে তার সাথে দেখা করেন এবং শিবের দুর্বলতা এবং ব্যক্তিত্বের সমস্যাগুলি গণনা করে তাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করেন।পার্বতী শুনতে অস্বীকার করেন এবং তার সংকল্পে জোর দেন।
এই সময় প্রকণ্ডসুর নামক অসুর তার লক্ষাধিক অসুর নিয়ে পার্বতীকে আক্রমণ করে। পার্বতী তার তাপস শেষ করার শেষ পর্যায়ে, এবং নিজেকে রক্ষা করতে অক্ষম। পার্বতীকে অসহায় দেখে, দেবী লক্ষ্মী এবং সরস্বতী হস্তক্ষেপ করেন কিন্তু রাক্ষসদের দ্বারা সংখ্যায় বেশি। অনেক দিন যুদ্ধের পর পার্বতীর পাশের কমণ্ডলু পড়ে এবং বন্যায় সমস্ত রাক্ষস ভেসে যায়। অবশেষে, পার্বতী তার চোখ খুলে দেয়, আগুন নির্গত করে এবং রাক্ষসকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়।
শিব ছাড়া দেবী পার্বতীর দ্বারা সম্পাদিত তাপস্যা দ্বারা মহাবিশ্বের সকলেই মুগ্ধ। শিব শেষ পর্যন্ত ভ্রমচারীর ছদ্মবেশে পার্বতীকে দেখতে যান। তারপর তিনি পার্বতীকে তার ধাঁধা দিয়ে পরীক্ষা করেন, যার উত্তর তিনি সঠিকভাবে দেন। পার্বতীকে তার মস্তিষ্ক এবং সৌন্দর্যের জন্য প্রশংসা করার পর, ব্রহ্মচারী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পার্বতী উপলব্ধি করেন যে তিনি শিব এবং গ্রহণ করেন। শিব তার আসল রূপে আবির্ভূত হন এবং অবশেষে তাকে গ্রহণ করেন।
-
মা শৈলপুত্রীর কথা ও পূজা বিধি
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
গিরিরাজ হিমালয় বা হিমবত -এর কন্যা
আবাস কৈলাস
অস্ত্র ত্রিশূল ও গবাদী পশুর লাঠি
বাহন বৃষ
হিমবত (পিতা)
মৈনাবতী (মাতা)
সঙ্গী শিব
শৈলপুত্রী পর্বতরাজ হিমাবতের কন্যা এবং মহাদেবীর একটি রূপ। তিনি দেবী পার্বতীর বিশুদ্ধ রূপ হিসেবে পরিচিত। তিনি নবরাত্রি উৎসবে পূজিত নবদুর্গার প্রথম রূপ এবং উৎসবের প্রথম দিনে তার পূজা করা হয়। তিনি দেবী সতীর পুনর্জন্ম।
দেবী শৈলপুত্রীর (পার্বতী) দুই হস্ত এবং তার কপালে অর্ধচন্দ্র বিরাজমান। তিনি ডান হস্তে ত্রিশূল এবং বাম হস্তে পদ্মফুল ধারণ করেন। তিনি নন্দীর পৃষ্ঠে বিরাজ করেন।
শৈলপুত্রী হলেন দেবী আদি পরাশক্তি, যিনি পর্বত রাজ হিমালয়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শৈলপুত্রী কথার আক্ষরিক অর্থ হল পর্বতের কন্যা (শৈল)। এছাড়াও তিনি সতী, ভবানী, পার্বতী ইত্যাদি নামে পরিচিত। পর্বতরাজ হিমবত -এর পুত্রী হিসাবে তাকে হেমাবতী নামেও সম্বোধিত করা হয়।
শৈলপুত্রী ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিবের শক্তির প্রতীক। তিনি তার বাহন ষাঁড়ের উপর বিরাজমান থাকেন এবং তার দুই হস্তে একটি ত্রিশূল এবং একটি পদ্ম থাকে। শিব পুরাণ এবং দেবীভাগবত পুরাণ -এর মতো কিছু ধর্মগ্রন্থে দেবী মাতার কাহিনীর বর্ননা আছে। পূর্বজন্মে তিনি ছিলেন দক্ষরাজের কন্যা সতী। পিতার অমতে তিনি শিবকে বিবাহ করেছিলেন। একবার দক্ষ এক বড় যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে তিনি শিবকে আমন্ত্রণ জানাননি। কিন্তু সতী বিনা আমন্ত্রনে সেখানে পৌঁছে যান। তার সম্মুখে দক্ষ শিবকে অপমান করেন এবং সতী স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে যজ্ঞের আগুনে নিজেকে ভস্মীভুত করে প্রাণত্যাগ করেন। পরজন্মে, তিনি পার্বতী নামে হিমালয়ের কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং শিবকে পুনরায় বিবাহ করেন। উপনিষদ অনুসারে তিনি ইন্দ্র প্রভৃতি দেবতাদের অহংকার খন্ডন করেছিলেন এবং লজ্জিত দেবতারা দেবীর কাছে মাথা নত করে প্রার্থনা করেন এবং স্বীকার করেন, “আসলে তুমিই শক্তি, আমরা সবাই – ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব তোমার শক্তিতেই শক্তিমান”।
তিনি মূলচক্র বা মুলধার চক্রের দেবী হিসাবে পরিচিত। নবরাত্রি পূজায় প্রথম দিন যাতে যোগীরা তাদের মনকে মুলধারায় নিবদ্ধ রাখতে পারেন, তাই সেদিন দেবী শৈলপুত্রীর উপাসনা করা হয়। এটি তাদের আধ্যাত্মিক অনুশাসনের সূচনা বিন্দু। এখান থেকেই তাদের যোগসাধনা শুরু হয়। শৈলপুত্রী হল মূলাধার শক্তি যা নিজের মধ্যে উপলব্ধি করা যায় এবং এর মাধ্যমে যোগ ও ধ্যানে উচ্চতর গভীরতা লাভের জন্য আত্মানুসন্ধান শুরু হয়। এটি আধ্যাত্মিক অবস্থানের প্রতীক। সমগ্র বিশ্ব ও পূর্ণ প্রকৃতি দেবী দুর্গার শৈলপুত্রী রূপ থেকেই শক্তি পায়।
যোগিক দৃষ্টিকোণ থেকে নবরাত্রি প্রথম দিবস অত্যন্ত শুভ দিন বলে বিবেচনা করা হয়। এই দিন থেকে মা দুর্গার সাধনায় রত যোগীদের সাধনপথে ব্রতী হওয়ার সূচনা হয়। যারা শক্তি মন্ত্রে যে কোন প্রকার দীক্ষা নিতে চান তারা সাধারনত শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ তিথিতে দীক্ষা নেন।
পূজাবিধি
ঘট স্থাপনের মাধ্যমে পূজা শুরু হয়। এটি একটি আচার যা নারী শক্তির প্রতীক।[৬] ঘট স্থাপন পূজায় যেসকল পূজা সামগ্রী ব্যবহার করা হয় তা পবিত্র এবং প্রতীকী বলে বিবেচিত হয়। মাটির তৈরি একটি পাত্র ভিত্তি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সেই পাত্রের উপর তিন স্তরে কাদামাটি এবং সপ্ত নবধান্য বীজ রাখা হয়। এরপর অল্প অল্প জল ছিটিয়ে দিতে হয় যাতে বীজ পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পায়। তারপর একটি কলশ গঙ্গা জলে পূর্ণ করা হয়। সুপারি, কয়েকটি ধাতব মুদ্রা, হলুদ গুঁড়ো মেশানো কাঁচা চাল এবং দূর্বা ঘাস জলে রাখা হয়। এরপর আম গাছের পাঁচটি পাতা (পঞ্চপল্লব) কলশের মুখে রেখে তার উপর ডাব স্থাপন করা হয়।
-
|| আমাজন মিরাকেল ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Amazon Miracle
এটি একটি সত্যি ঘটনা
আমাজনের গভীর জঙ্গলে প্লেন এক্সিডেন্টে
প্লেনটা ভেঙ্গে পরে।
বেঁচে যায় চারটি শিশু
আর সবাই প্রায় মারা যায়।
সেনাদল পৌঁছায় সেখানে
খুঁজতে জীবিত মানুষদের সন্ধান।
কুকুর ছোটে এদিক ওদিক
খুঁজতে কোথায় আছে প্রাণ।
একটি কুকুর এসে পরে
ওই শিশুজের কাছে।
কিন্তু সে ফেরার রাস্তা ভুলে গিয়ে
থাকে ওদেরই পাশে।
শিশুদের মাঝে একজন নʼবছুরে কিশোর
আর একজন তের বছুরে কিশোরী।
অন্য দুজন ছোটো হলেও
খেলাতে বেশ সমজদারী।
ঘন আমাজনের জঙ্গলে দিনের বেলাতেও
অনেক জায়গায় আলো পৌঁছায় না সেখানে।
চারিদিকে হিংস্র জন্তু-জানোয়ার
আর কীট-পতঙ্গের বাস যেখানে।
শিশুরা যেটুকু খাবার আশপাশ থেকে যোগার করেছিল
তা তাদের কয়েকদিনেই শেষ হয়ে গেল।
তারপর ওদের গাছের ফল, পাতা আর শিকরই
একমাত্র খাবারের সংস্থান হʼল।
শিশুরা জঙ্গলের আশেপাশেই বড় হয়েছে, তাই ওরা গাছের
ফুল, ফল, পাতা, শিকরের সঙ্গে পরিচিত।
ওরা মায়ের কাছে গল্প শুনেছে যে জঙ্গলে একা ঘুরতে নেই,
আর বিপদে পরলে ভগবানকে ডাকতে, ভগবানই বাঁচাবেন।
ওরা যা পেত তাই খেত আর
ভগবানকে সবসময় ডাকতো।
এই ভাবে চল্লিশ দিন কাটানোর পরে
সেনাদলের রেসকিউ টিম ওদের উদ্ধার করে।
শিশুদের বাঁচানোর পরে
ওদের বাবার কাছে টিম পৌঁছে দেয়,
বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে
ছেলেটি ছলছল চোখে বাবাকে বলে,
ʼবাবা মা আর নেই, মা মারা গেছে ʼ।