Poetry on hot topics

These are all my poetries on the recent or hot topics.

  • || আ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম ||
    Poetry,  Poetry on hot topics

    || আ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Alice in Wonderland Syndrome

    বিখ্যাত গল্প আ্যালিস ইন ওযান্ডারল্যান্ড

    গল্পে আ্যালিসের আকার

             বদলে যেত খাবার পরে।

    একটি রোগ আছে

        যা সবসময় এই গল্পের পথ ধরে।

    নʼবছরের অস্ট্রেলিয়ার মেয়ে মাকে বলে,

       রাস্তার সব বাড়ীগুলো সব বড় হয়ে যাচ্ছে।

    তার আবার স্কুলে মনে হয়

                    টিচারের মাথাটা বড় দেখাচ্ছে।

    ইংল্যান্ডের আটচল্লিশ বছরের একজনের

              ছোটোবেলা থেকেই নিজের হাত দুটোকে বড় মনে হতো,

    আর আশেপাশের বাড়ীগুলোকে

                               খুব ছোটো মনে হতো।

    ওপরের দুটি ক্ষেত্রে

                   দুটি মানুষেরই   আ্যালিস রোগ হয়েছে।

    এই রোগ দৃষ্টি, শ্রবণ ও স্পর্শ ইন্দ্রিয়ের

                               প্রবলেম থেকে শুরু হয়।

    আবার কখনোও কখনোও দেখা বা শোনা

               এসবের ইলিউশনেও এ রোগের সৃষ্টি হয়।

    এটি কোনোও

                       মানসিক প্রবলেম নয়।

    বরং নিউরোলজিক্যাল বা

                        নার্ভের প্রবলেম থেকে হয়।

    আমাদের ব্রেনে ইলেকট্রিক্যাল আ্যাকটিভিটি

                           যখন অস্বাভাবিক হয়ে পরে

    তখনই এই রোগের

                           জন্ম হয়।

    মস্তিস্কের যে অঞ্চলে

                           দৃষ্টি ব বাহ্যিক সেন্স থাকে,

    সেখানে রক্তপ্রবাহ কম হলে

                         এই অসুখের সৃষ্টি হতে থাকে।

    কারো কারো ক্ষেত্রে, কোবিডের পরেই

                           এই রোগের সূত্রপাত হয়।

    স্ট্রোক, ব্রেন টিউমার, মৃগী, মাইগ্রেন

             এ সব থেকেও আ্যালিস শুরু হয়।

    স্কিৎসোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন ও বিভিন্ন

                 ভাইরাস থেকেও এটি হতে পারে।

    তাই এর চিকিৎসা পদ্ধতি

                 বিভিন্ন রকম ভাবে করতে হতে পারে।

  • || পৃথিবী – দুই ||
    Poetry,  Poetry on hot topics

    || পৃথিবী – দুই ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Earth – Two point Zero

    পৃথিবীর মতো আরেকটি গ্রহ

                  আবিস্কার হয়েছে।

    দু হাজার পʼনের সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

                  এটির খোঁজ পেয়েছে।

    এটির বৈজ্ঞানিক নাম

                কেপলার-চারশো বাহান্ন-বি।

    আরেকটি নাম পৃথিবী-দুই বা

                    আর্থ-টু পয়েন্ট জিরো।

    এর পরিবেশ অনেকটাই

                  পৃথিবীর মতো।

    তাই একে বলে

              পৃথিবীর বোন-খুড়তুতো।

    পৃথিবীর মতোই পৃথিবী -দুই-এর

                     সমুদ্র আছে।

    তাই গাছপালা থাকার সম্ভাবনা

                     তার কাছে।

    পৃথিবী-দুই পৃথিবীর থেকে

                  প্রায় পাঁচগুণ বড়।

    এর ব্যাসার্ধ সে কারণে

                 প্রায় দ্বিগুণ বড়।

    পৃথিবী-দুই গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায়

          আঠারোশো লাইট ইয়ার দূরে।

    এটি যে তারার গ্রহ, তার চারিদিকে

         সে তিনশো পঁচাশি দিনে একপাক ঘোরে।

    ঐ তারাটির বৈজ্ঞানিক নাম

              কেপলার-চারশো-বাহান্ন।

    এটা সূর্য্যের থেকে

                            বড় অনেকটাই।

    আর সূর্য্যের থেকে কুড়ি পারসেন্ট বেশী

                     এর আলোর রোশনাই।

    পৃথিবী-দুই থেকে কেপলারকে

         দেখতে লাগে সূর্য্যের মতো।

    সূর্য কেপলারের থেকে প্রায়

       দেড় মিলিয়ান ইয়ার ছোটো।

    পৃথিবী-দুই-এর সবথেকে বেশী ও

           কম তাপমাত্রা সহনশীল হওয়ায়,

    এখানে জীবজগতের অস্তিত্ব

                 থাকা সম্ভবনাময়।

    হয়ত কয়েক হাজার বছর পরে

                পৃথিবী-দুই-এ মানুষের পদার্পন ঘটবে।

    তারও অনেক অনেক বছর পরে হয়তবা

                         মানুষের থাকার জায়গা হয়ে উঠবে।     

  • || ডিজিট্যাল ডিটক্সিফিকেসন ||
    Poetry,  Poetry on hot topics

    || ডিজিট্যাল ডিটক্সিফিকেসন ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Digital Detoxification

    খুব ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত

                 মনে হচ্ছে নিজেকে?

    সত্যি সত্যি যদি অনেক বেশী

                 কাজ করে থাকেন,

    তাহলে এটাতো নরম্যাল,

                বিশ্রাম নিতে পারেন।

    যদি সে সব কিছু না হয়ে থাকে

        তাহলে তো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    এ ছাড়াও আজকের দিনে

                 আরও একটা প্রবলেম আছে।

    যেটাতে আমরা সত্যি সত্যিই

                  পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ছি।

    আমাদের আজকের দিনে

       কম্পিউটার, মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি,

    আরও কতকি হতে পারে

                 আজকের ডিজিট্যাল দুনিয়ায়।

    এগুলো দেখতে দেখতে

                  আমাদের চোখ হচ্ছে ক্লান্ত।

    আর আমরা হয়ে পরছি

                   পুরোপুরি শ্রান্ত।

    এর থেকে বাঁচার উপায়

                  ডিজিট্যাল ডিটক্সিফিকেসন।

    সপ্তাহে একদিন বা দিনে কয়েক ঘন্টা

             ডিজিট্যাল দুনিয়া থেকে দূরে থাকুন।

    বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে

             জানিয়ে দেবেন আপনার সিডিউল।

    ঐ সব সময়ে, নিজের সব দরকারী কাজ করুন

                শুধু দূরে রাখুন মোবাইল।

    নিজের স্ট্রেস কমালে

               আপনি হয়ে উঠবেন তরতাজা।

    মনে হবে পাখীর মতো

               আপনিও আকাশে উড়তে পারেন।

  • || এ আই গার্লফ্রেন্ড ||
    Poetry,  Poetry on hot topics

    || এ আই গার্লফ্রেন্ড ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    AI Girlfriend

    এসে গেল এ আই গার্লফ্রেন্ড

             আপনার মোবাইল আ্যাপে।

    আপনার পছন্দ মতো

              আপনিই বানাবেন তাকে।

    খেমন দেখতে, সে কোন কোন

                বিষয়ে কথা বলবে,

    সবই আপমাকে

            ঠিক করে দিতে হবে।

    অমেরিকার তেইশ বছরের একটি মেয়ে

                এটি বানিয়েছে।

    গার্লফ্রেন্ডের নাম কারিন মার্জো

       সে এখানে ভার্চুয়াল ইমেজ হয়ে থাকবে।

    তার সঙ্গে চ্যাট করে

            কথাও বলতে পারেন।

    তবে সেক্ষেত্রে চার্জ হবে

             প্রতি মিনিটে এক ডলার।

    এটি করতে সবথেকে আগে

           তৈরী করতে হবে এক ʼঅবতারʼ।

    এই অবতারের সুবিধা হলো

                          সে কোনোও গিফ্ট চাইবে না। 

    মন ভোলাতে আপনাকে

              গানও  গাইতে হবে না।

    যে সমস্ত মানুষ নিঃসঙ্গতায় ভোগেন

            তাদের জন্যই এগুলো করা হয়েছে।

    আরো কয়েকটি এ আই গার্লফ্রেন্ড হলো-

     পিকসো, ইয়ান্ডার, কাপ্‌লএআই জুলি, ইভা ও রেপ্লিকা।

    কিছ আ্যাপে গার্লফ্রেন্ডের জায়গায়

                   হতে পারে বয়ফ্রেন্ড।  

  • ||করমন্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা ||
    Poetry,  Poetry on hot topics

    ||করমন্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Accident of Coromandel Express

    এটি একটি সত্যি ঘটনা

    গত তিন জুনে এই এক্সিডেন্টে মারা গেছেন

              প্রায় তিনশো জন।

    আহত হয়েছেন

              প্রায় নʼশো জন।

    বালেশ্বরের কাছে

                  বাহানাগা বাজার স্টেশনে

    গাড়ীটি না দাঁড়িয়ে

                   দ্রুতবেগে চলে যাওয়ার কথা।

    ট্রেনটি ঘন্টায় একশো ছাব্বিশ কিলোমিটার

                                           বেগে দৌড়চ্ছিল।

    ট্রেনটির সিগনাল প্রথমে

                                    মেন লাইনে ছিল।

    পরে সেটি পালটে

                         লুপ লাইন করা হয়।

    সেখানে কিছু আগে

                         একটি মালগাড়ীকে পাঠানো হয়।

    মালগাড়ীর সঙ্গে ধাক্কায়, করমন্ডলের কামরার ওজন

              ও গাড়ীর গতিবেগ মিলিয়ে এত বেশী ভরবেগ হয়,

    যে ইন্জিন সহ কুড়িটি কামরা

                        দেশলাই-এর বাক্সের মতো ডিগবাজী খায়,

    এবং পাশের লাইনে ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের

                                                  ওপরে আছড়ে পড়ে।

    দুটি ট্রেনের বহু মানুষ

                                     সঙ্গে সঙ্গে মারা যান।

    লাইনের পয়েন্টের বিভ্রাটে লুপ লাইনে

                   ঢোকাটাই এক্সিডেন্টের প্রধান কারন।

    কিছু আগে মালগাড়ীটি ঢোকে লুপ লাইনে

                     তারপর রেলের ট্র্যাকের পয়েন্টিকে

     মেন লাইনে চেঞ্জ না করার জন্যই

                                          এক্সিডেন্টি ঘটে। 

    উনিশশো সাতাত্তরের পরে করমন্ডল এক্সপ্রেসে

                            এই প্রথম এতবড় দুর্ঘটনা হয়েছে।

    নিহত মানুষের পরিবার  যেমন শেষ হয়েছে

                              আহতরা এখনও তেমন  ট্রমায় রয়েছে।।

  • || ছায়াহীন শহর   ||
    Poetry,  Poetry on hot topics

    || ছায়াহীন শহর   ||

    Audio File

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Shadowless City

    সূর্য্য ওঠার পরে দেখি

                ছায়া সবথেকে বড়।

    ছায়ার দৈর্ঘ্য কমতে থাকে

                বেলা যত হয় বড়।

    পশ্চিম দিকে সূর্য্য ঢললে

                ছায়া হয় আবার বড়।

    এই ভাবে ছায়ার খেলা চলে

                    দিনের পর দিন।

    কোনোও কোনোও শহর

             ছায়াহীন হয় বছরে দুʼদিন।

    ইকোয়েটরের সাড়ে তেইশ ডিগ্রী নর্থে

                                  ট্রপিক অফ ক্যান্সার।

    ইকোয়েটরের সাড়ে তেইশ ডিগ্রী সাউথে

                             ট্রপিক অফ ক্যাপ্রিকন।

    এই দুই অক্ষাংশের মধ্যে

                            যে শহরগুলি পড়ে,

    তারাই বছরে দুʼদিন

                         ছায়াহীন হয়ে পড়ে।

    ভারতের আটটা স্টেটের সব শহর

                          পায় এমন শ্যাডোলেস ডে ।

    দু হাজার তেইশে পাঁচই জুন আর সাতই জুলাই

                          কোলকাতার শ্যাডোলেস ডে ।