Miscellaneous

All types of content mixed.

  • কাজী নজরুল ইসলামকে জন্মদিনে প্রণাম
    Miscellaneous

    কাজী নজরুল ইসলামকে জন্মদিনে প্রণাম

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)

    Audio File:

    আজ কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন।

    তাঁর কবিতা বিদ্রোহীর শুরুতে তিনি বলেছেন-

    বল বীর-

    বল উন্নত মম শির

    শির নেহারি আমারি নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রির।

    বল বীর-

    বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি

    চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি

    ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ভেদিয়া

    খোদার আসন আরস ছেদিয়া

    উটিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর।

    মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটিকা দীপ্ত জয়শ্রীর।

    আবার আরেক জায়গায় তিনি বলেছেন,

    মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত

    আমি সেই দিন হব শান্ত,

    যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,

    অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না-

    বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত

    আমি সেই দিন হব শান্ত।

    বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর দুজনেই আমাদের প্রিয়। তাঁদের দুজনের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সাক্ষাৎকার নিয়ে দু-চারটে কখা বলি।

    “বিদ্রোহী কবি” নজরুল, রবীন্দ্রনাথের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন, তাঁকে একজন পরামর্শদাতা এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে দেখেছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মানে প্রশংসাপত্র এবং কবিতাও লিখেছিলেন। তাঁর কবিতার বই সঞ্চিতা উৎসর্গ করেছিলেন – বিশ্বকবিসম্রাট শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীশ্রীচরনারবিন্দেষু লিখে।

    নজরুল যখন “বিদ্রোহী” কবিতার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নতুন ঝড় তুলেছেন, তখনই রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি দেন। রবীন্দ্রনাথ নজরুলের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে চিঠি লিখে প্রশংসা জানান। এই চিঠি নজরুলের জীবনে এক বিশাল প্রেরণার উৎস হয়েছিল।

    ১৯২২ সালে শান্তিনিকেতনে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের প্রথম ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ হয় । এই সময় নজরুল “আনন্দময়ীর আগমনে” ও অন্যান্য বিদ্রোহাত্মক কবিতা লিখে বিপুল আলোচনায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সস্নেহে গ্রহণ করেন।

    রবীন্দ্রমাথ ঠাকুর নজরুলকে আর্শীবাদ করে বলেন—‘তোমার কলম যেন কখনও মরে না।’ সেই আশীর্বাদ নজরুল সারা জীবনের পাথেয় হিসেবে ভেবেছেন।

    আরও কয়েকবার নজরুল শান্তিনিকেতনে যান, যেখানে কবিগুরু তাঁকে সাদরে আপ্যায়ন করেন। তাঁদের সাহিত্যচর্চা, সংগীত এবং রাজনৈতিক চিন্তার বিষয়েও আলোচনা হয়। রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে শান্তিনিকেতনে স্থায়ীভাবে থাকার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, যদিও নজরুল তা গ্রহণ করেননি।

    নজরুল ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভক্ত, আবার রবীন্দ্রনাথও নজরুলের প্রতিভা স্বীকার করেছিলেন। নজরুল যখন সংগীতচর্চা শুরু করেন, তখন রবীন্দ্রনাথ বলেন, “নজরুলের গানের মধ্যে নতুন সুরের হাওয়া আছে।”

    ১৯৪১ সালে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে নজরুল ছিলেন গভীরভাবে মর্মাহত হন। তিনি একটি হৃদয়বিদারক কবিতা লেখেন—“রবিহারা”।

    নজরুলের প্রতিভা এবং অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর “বসন্ত” বইটি নজরুলকে উৎসর্গ করেছিলেন। 

    নজরুলের জীবন শুরু হয় এক সাধারণ পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে।

    একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।

    নজরুল তাঁর সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়।

    বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রনে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয এই বছরেই তিনি বাংলাদেশে মৃত্যুবরণ করেন।

    কবির  একটি গান দিয়ে কবিকে গ্রণাম জানিয়ে শেষ করছি।

  •  বিদ্যাসাগর
    Miscellaneous

     বিদ্যাসাগর

    Audio File:

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    আজ বাংলা সাহিত্যের জনক বিদ্যাসাগরের জন্মদিন। ভারতবর্ষের শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের অবদান অনস্বীকার্ষ। তিনি সবসময় মানুষের পরোপকার করতেন, তাই তাকে মানুষ ʼদয়ার সাগরʼ বলে ডাকতো।  

    গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারে তিনি জন্মেছিলেন।কিন্তু সামাজিক গোঁড়ামি এবং বিভিন্ন কুসংস্কার ছেড়ে তিনি আজীবন সামাজিক কুপ্রথা যেমন বিধবা বিবাহ, মেয়েদের পড়াশুনা শেখানো ইত্যাদি ব্যাপারে চিরদিন সামাজিক প্রথা ভেঙ্গে সেইসব কাজে ব্রতী হয়েছিলেন।

    তিনি সংস্কৃত অনুরাগী ছিলেন। সংস্কৃত অধ্যাপনা ছাড়াও বেশ কিছুদিন তিনি কোলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সংস্কৃত কলেজে প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন। বম্কিমচন্দ্রের মতে, বিদ্যাসাগর মহাশয় সংস্কৃত অনুরাগী হওয়া সত্তেও তার বাংলা ভাষা অতি সুমধুর ও মনোহর ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থাঁর সমন্ধে বলেছেন, যারা অতীতের জড় বাধা লঙ্ঘন করে দেশকে ভবিষতের পরম সার্থকতার দিকে বহন করে নিয়ে যায়, সারথি সরূপ বিদ্যাসাগর মহাশয় সেই মহারথীগনের একজন অগ্রগন্য ছিলেন। আমার মনে এই সত্যটিই সবচেয়ে বড় হয়ে লেগেছে।

    তিনি বাংলা ভাষা শেখার প্রথম ধাপটি বর্ণপরিচয় লিখে সৃষ্টি করেছেন। যুক্তবর্ণ, বাংলা ব্যাকরণের প্রথম পাঠটিও এই বইটিতে লিখেছেন।

    এছাড়া ছোটদের কাছে ভাল এবং খারাপ মানুষ বোঝার জন্য কয়েকটি ছোট ছোট গল্পও বর্ণপরিচয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন।

    মানুষ হিসাবে বাইরে থেকে এক কঠিন মানুষ ছিলেন. কিন্তু অন্তরে তিনি ছিলেন এক কোমল হৃদয়ের মানুষ। অপরের দুঃখ তাকে বিচলিত করতো। তাইতো কারো দুঃখ দেখলে তিনি তা দূর করতে চেষ্টা করে গেছেন আমরন।

    তিনি খুব মাতৃভক্ত ছিলেন। একবার মা তাকে গ্রামের বাড়ীতে আসতে বলেন। কিন্তু সেদিন ছুটি না পাওয়ায় চাকরিতে ইস্থাপা দিয়েই মায়ের কাছে যাত্রা করেন। সেটা ছিল বর্ষাকান। দামোদর নদী পেরিয়ে যেতে হতো গ্রামের বাড়ী।বর্ষার জলে তখন দামোদর নদী ফুঁসছে। পারাপারের কোনও নৌকাও ছিল না। তিনি সাঁতার কেটে সেদিন নদী পেরিয়ে মায়ের কাছে পৌঁছেছিলেন।

    বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চেহাড়া অপেক্ষায় মাথাটি একটু বড় ছিল, তাই ছোটবেলায় অনেকে যশুরে কই মাছের মতো ʼকশুরে জইʼ বলে ডাকতো।

    তিনি কুসংস্কারাচ্চন্ন সমাজের অনেক কুস্ংস্কার মুক্ত করেছেন। সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহ ইত্যাদি। বিধবা বিবাহ প্রতিষ্ঠা করতে তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে এক বালবিধবা কন্যার বিয়ে দেন।

    বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি অনেক অবদান রেখে গেছেন।

    বি: দ্র: – এটি স্বাক্ষরতা প্রকাশনের বিদ্যাসাগর রচনা সংগ্রহ থেকে অনুসৃত।

  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়েকটি কথা
    Miscellaneous

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়েকটি কথা

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে, ইংরাজীর ৭ মে ১৮৬১, সোমবার জন্মগ্ৰহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী।রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতা ও মাতার চতুর্দশ সন্তান।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনী ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতৃপুরুষেরা বাংলাদেশের খুলনা জেলার পিঠাভোগ গ্রামে থাকতেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

    আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার ঐ কবিতাটি “অভিলাষ” প্রকাশিত হয়।

    ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে তাঁর মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা হয়।

    ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

    ১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতৃবিয়োগ ঘটে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে থাকতেন।

    ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে। ১৮৭৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, ১২ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

    এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন। প্রথমে তারা আসেন শান্তিনিকেতনে। এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে যান । তারপরে তারা চলে যান হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে ডালহৌসি শৈলশহরে। এখানকার বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন।

    ১৮৭৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে যান রবীন্দ্রনাথ। প্রথমে তিনি একটি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু সাহিত্যচর্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন শেকসপিয়র ও অন্যান্য ইংরেজ সাহিত্যিকদের রচনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় ঘটে।

    অবশেষে ১৮৮০ সালে প্রায় দেড় বছর ইংল্যান্ডে কাটিয়ে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে এবং ব্যারিস্টারি পড়া শুরু না করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।

    ১৯১০ সালে তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদ দেখে সুইডিশ অ্যাকাডেমি রবীন্দ্রনাথকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে।

    জীবনের শেষ চার বছর ছিল তার ধারাবাহিক শারীরিক অসুস্থতার সময়। এই সময়ের মধ্যে দুবার অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী থাকতে হয়েছিল তাকে। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়ে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে। মৃত্যুর সাত দিন আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন।

    দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে ৭ই আগষ্ট জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

  • রবীন্দ্রসংগীত – তোমার পূজার ছলে Rabindra Sangeet : Tomar Pujar Chwale
    Miscellaneous

    রবীন্দ্রসংগীত – তোমার পূজার ছলে Rabindra Sangeet : Tomar Pujar Chwale

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Audio File

  • গৌতম বুদ্ধের জীবন ও শিক্ষা
    Miscellaneous

    গৌতম বুদ্ধের জীবন ও শিক্ষা

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধধর্মের ২৮ তম বুদ্ধ। যাঁর তত্ব অনুসারে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। তিনি খ্রীষ্টপূর্ব ৬২৫ সালে প্রাচীন ভারতের পূর্বাঞ্চলে জীবিত ছিলেন। মগধ সাম্রাজ্যের শাসক বিম্বিসারের রাজত্বকালে তিনি শিক্ষাদান করেছিলেন। তাঁর প্রধান দুই শিষ্য ছিল সারিপুত্র ও মৌদগল্যায়ন।

    গৌতম বুদ্ধ ভোগবাসনা ছেড়ে কঠোর তপস্যার শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি মিথ্যাচার, অজ্ঞানতা,জীবনের নানানল কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করে পরম সুখ নির্বানের পথ দেখিয়েছিলেন।

    তাঁর প্রথম জীবনে স্ত্রী ছিলেন যশোধরা ও পুত্র ছিল রাহুল। থাংর পিতা ছিলেন রাজা শুদ্ধোধন ও মাত ছিলেন মায়াদেবী। পরবর্তীকালে তিনি গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হন ও ক্রমে বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত করেন।

    তাঁর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নাম ছিল। যেমন ভারতবর্ষে তিনি সিদ্ধার্থ, গৌতম, শাক্যমুনি বুদ্ধ, শাক্যসিংহ ইত্যাদি নামে পরিচিত।

    চীনদেশে তাঁর নাম দেখান। থাইল্যান্ডে তাঁর নাম থাই. কোরিয়াতে তাঁর নাম হাঙ্গুল বা দেখান। তাঁর জাপানী নাম কান্জি, হিরাগানা বা দেখান।বাংলায় ওনার নাম গৌতম বুদ্ধ। ওনার বংশিয় নামের অর্থ গোতমার বংশধর। এই গোতমার অর্থ যার কাছে সবচেয়ে বেশী আলো আছে।

    গৌতম বুদ্ধের কিছু আধ্যাত্বিক গুণাবলী আছে, তার কয়েকটি হলো –

    ১) সম্সম বুদ্ধ অর্থাৎ পুরোপুরি স্ব-জাগ্রত।

    ২) ভিজ্জা কারনা সম্পন্ন অর্থাৎ উচ্চতর জ্ঞান ও আদর্শ আচরন সমৃদ্ধ।

    ৩) সুগত অর্থাৎ ভাল গেছে বা ভাল কথা বলা।

    ৪) লোকভিদু অর্থাৎ বহু জগতের জ্ঞানী।

    ৫) অনুত্তরো পুরীসা দক্ষ সারথি অর্থাৎ অপ্রশিক্ষিত লোকেদের দক্ষ প্রশিক্ষক।

    ৬) সত্থদেব মনুসানা অর্থাৎ দেবতা বা মানুষের শিক্ষক।

    ৭) ভাগবতো অর্থাৎ ধন্য এক।

    ৮) অরহং অর্থাৎ শ্রদ্ধার যোগ্য।

    ৯) জিনা ল অর্থাৎ বিজয়ী।

    প্রথম জীবনে সিদ্ধার্থের মা মায়াদেবী স্বামীর সঙ্গে পিতৃগৃহে যাবার সময় নেপালের তরাই অঞ্চলে মধ্যে অবস্থিত একটি গ্রাম লুম্বিনীতে এক শালগাছের তলায় এক পুত্রের জন্ম দেন। ঐ জন্মের সাতদিন পরে মায়াদেবীর মৃত্যু হয়।

    শুদ্ধোধন আটজন ব্রাহ্মণকে আমন্ত্রণ করেন ছেলের নামকরনের জন্য। তাদের দেওয়া নাম হয় সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থ কথার অর্থ যিনি সিদ্ধিলাভ করেছেন।

    সিদ্ধার্থের সংসারের প্রতি কোনও টান ছিল না। সংসারে মনোযোগী করার জন্য ষোলবছর বয়েসে পিতা এক সুন্দরী কন্যার সাথে বিবাহ দেন। কিছুদিন পরে তাদের রাহুল নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সিদ্ধার্থ তার উনত্রিশ বয়েস পর্যন্ত রাজপুত্রের জীবন ধারন করেন। তারপর তাঁর মনে হয়, ভোগ বিলাসিতা, ঐশ্বর্য্য জীবনের লক্ষ হতে পারে না।

    তিনি প্রাসাদ থেকে বাইরে বেড়িয়ে মানুষের জীবনের সমন্ধে সম্যক ধারনা করেন। তিনি বোঝেন যে কোনও মানুষ ক্রমশঃ শক্তিহীন হয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় পৌঁছবে ও একদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। তিনি জরা, ব্যাধি ও মৃতুকে জয় করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি এই চিন্তায় ডুবে যান।

    শেষপর্যন্ত তিনি গৃহত্যাগ করে সন্নাসীর জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নেন। তাই একদিন গভীর রাত্রে তিনি পিতা, স্ত্রী ও পুত্রকে ফেলে গৃহত্যাগ করেন। তিনি রাজবস্ত্র, গহনা এমনকি তাঁর লম্বা চুল কেটে মুন্ডিতমস্তক হন।

    প্রথমে তিনি যান আলার কালাম নামে এক সন্ন্যাসীর কাছে যোগশিক্ষার জন্য। পরে তিনি উদ্দক বামপুত্র নামে আরেক সন্ন্যাসীর কাছে যোগশিক্ষা করেন। কিন্তু উভয়কেই তিনি জরা, ব্যাধি ও মৃত্যুর কবল থেকে মুক্তির পথ জানতে চেয়ে কোনও সদুত্তর পাননি। তাই ওদের ছেড়ে নিজেই সেই পথের অন্বেসনে বুদ্ধগয়ার উরুবিল্ব নামে এক সুন্দর স্থানে যান।

    শরীরকে অপরিসীম কষ্ট প্রদানেই সেই কাঙ্খিত পথ পাওয়া যায় – এই বিশ্বাসে তিনি কঠোর সাধনায় মনোনিবেশ করেন। দীর্ঘকাল ্নশন ও শারীরিক নিপীরনে থাঁর শরীর অস্থিমজ্জাসার ঙয়ে পড়ে। থখন তিনি অনুভব করেন যে এইভাবে দূর্বল শরীরে বোধিলাভ সম্ভব নয়। তাই তিনি স্থানীয় এক কন্যার কাছ থেকে পরমান্ন গ্রহন করেন। তারপর তিনি বোধিলাভ না হওয়া অবধি সেই স্থান পরিত্যাগ করবেন না – এই প্রতিজ্ঞা করেন ও উনপঞ্চাশদিন ধ্যান করার পরে তিনি বোধিপ্রাপ্ত হন।

    বুদ্ধের আটটি শিক্ষা মার্গ হলো –

    সঠিক বোঝাপড়া

    সঠিক চিন্তা

    সঠিক বক্তিৃতা

    সঠিক কর্ম

    সঠিক জীবিকা

    সঠিক প্রচেষ্টা

    সঠিক মননশীলতা

    সঠিক একাগ্রতা

    বৌদ্ধধর্মের চূরান্ত লক্ষ হলো আলোকিত হওয়া ও নির্বাণে পৌঁছানো|
    নির্বাণ মৃত্যু ও পুনঃজন্ম চক্রের পরিসমাপ্তি নির্দেশ করে|

    বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি|

    ধম্মম শরণং গচ্ছামি|

    সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি|

    বুদ্ধদেবকে প্রণাম জানাই|