• || শ্যামল, রাধিকা ও স্বপ্নার গল্প – এক ||
    Poetry

    || শ্যামল, রাধিকা ও স্বপ্নার গল্প – এক ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    A story of Shyamal, Radhika and Swapna -1

    ( পুরো গল্পটি কয়েকটি কবিতায় সম্পন্ন হবে। আজ প্রথম পর্ব। )

    দুটো মেয়ে, একটা ছেলে

                  এ তো ত্রিভূজ হয়ে গেল।

    ত্রিভূজ প্রেমের ছেঁদো গল্প

                  এবার শুরু হোল?

    এক চতুর্ভূজ – শ্যামলের কথা

    শ্যামলের বাড়ীর খবর

                  বলি এবার।

    চারটি প্রাণী থাকে এখানে

                  সুখি পরিবার।

    শ্যামলের বাড়ীতে শ্যামল ছাড়া

               আছে ছোটোবোন শ্যামলী।

    এছাড়া থাকে বাবা-মা

                শান্তির গৃহস্থালী।

    বাবা রিটায়ার্ড ব্যাঙ্ক অফিসার

                   মা হোম মেকার।

    বাড়ীর সব কাজ মায়ের হাতে

                   বাবার শুধু বাজার।

    ছোটোবোন কলেজে পড়ে

                  তার এখন থার্ড ইয়ার।

    শ্যামল একটা ছোট প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করে

                  সেলস-এ কাজ তার।

    শ্যামল, শ্যামলী বেরিয়ে গেলে

                 বাবা-মা থাকে ঘরে।

    ছেলে মেয়েটার বিয়ে দিতে হবে

                 আর নানান চিন্তা করে।

    পড়াশুনাতে কখনোই ভাল ছিল না শ্যামল

                 তাই তার গ্রাজুয়েসনই হয়েছে।

    পাশ করে সে চাকরী খোঁজে

                  সেল্সের চাকরী পেয়েছে।

    চেহাড়াতে সে সুদর্শন,

                   বাইক চালায় রাস্তা ঘাটে।

    অনেক মেয়েই দেখে তাকে

                   বন্ধু হʼতে সবাই মাতে।

    ঘুম কাতুরে শ্যামল বড়,

                 লেট রাইজিং তার স্বভাব।

    এর জন্য নানান কথা শুনেছে সে

               এখন এটাই হয়ে গেছে তার অভ্যাস।

    সেদিন একটা কাস্টমার মিটিং

                      অফিসে সাড়ে নʼটায়।

    যথারীতি দেরী হলো

                           অফিসে পৌঁছোলো এগারটায়।

    অনেকবারই বসের ওয়ার্নিং

                                     সে হজম করেছে।

    আজকে সে প্ল্যান করেছিল

                                     সময়ে পৌঁছোবে সে।

    গতকালের বিরিয়ানি আর চিকেন কষা

                                           বাধায় গন্ডগোল।

    লুজ-মোশন শুরু হয় আজ

                                        দেড় ঘন্টা ভন্ডুল।

    অফিসে আজ ঢুকছে যখন

                                   বসের ডাক আসে।

    বস বলে, ʼসবই যদি আমি সামলাবʼ,

                           ʼতবে তুমি আছ কিসেʼ?

    ʼআজ থেকে আর দরকার নেইʼ

                            ʼতোমার ফাইনাল হিসেব বোঝোʼ।

    ʼকাল খেকে আবার রাস্তায় নামোʼ

                                   ʼনতুন চাকরি খোঁজোʼ।

    চাকরি গেল এক লহমায়

                            কিছু  বলার আগে।

    দুঃখ হয় তার মনে মনে

                            পায়না কিছু ভেবে।   

    বাড়ীতে তো বলা যাবে না

                             কিছু পাওযার আগে।

    বাবার অনেক চিন্তা হবে

                             আমার কথা ভেবে।

    পরদিন থেকে অফিস টাইমে

                             খেয়ে দেয়ে বেরোয় সে।

    দূরে একটা পার্কে আসে

                             একটা বেঞ্চে এসে বসে সে।