-
ভাল ছেলে – ব্যাচিলর নাম খন্ডন (চতুর্থ ভাগ)
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
বিয়ের সানাই বাজলো এবার
সন্ধ্যা বসবে বিয়ের পিঁড়িতে।
গ্রামের মানুষ সবাই খুশী
মাস্টারমশাইয়ের বিয়েতে।
সবাই বলে হারানকে
ভোজ কবে খাব ভাই?
মিস্টি খাব যত খুশি
ব্যবস্থা করা চাই।
বিয়ের দিনটা ঠিক করতে
পুরোহিত মশাই আসে।
গ্রামের সবাই এগিয়ে আসে
বিয়ের ব্যবস্থা করতে।
সন্ধ্যার বাবা সন্ধ্যাকে বলে
বাড়ী থেকে না বেরুতে।
বিয়ের আগে হবু বরের সঙ্গে দেখা হওয়া
ঠিক নয় বলে পরশিতে।
সন্ধ্যার মনে হারানকে দেখার আগ্রহ
তার মনকে ব্যাতিব্যস্ত করে।
ওদিকে হারানও সেই একই বেদনা
মনে মনে অনুভব করে।
বিয়ের দিনে হইচই
সবাই ব্যস্ত লালাল কাজে।
তারাই আবার নিমত্রিত অতিথি, তাই কাজ চলে
উপহার আর ভোজ খাওয়ার মাঝে।
সবার মুখে হাসির ছʼটা
সব্বাই খুশি এই বিয়েতে।
ষীশু আর বন্যাও
নতুন মাকে নিয়ে আনন্দে মাতে।
খন্ডন হলো ব্যচিলার নামটা
পরিপূর্ণ হলো প্রেমের পথে যাওয়া।
নর-নাারীর এই প্রেম খেলাতে
বিয়ে হলো জেতার ফলক পাওয়া।
হারান ভালো কাজের সঙ্গ দিয়ে
সার্থক করলো তার জীবন।
অনাথ ছেলেমেয়েরা মাকে পেয়ে
তাদের জীবনে হলো শূন্যস্থান পূরন।
পজিটিভিটির সুঘ্রাণে তৃপ্ত হয়
গ্রামের নানুষজন।
দেবতা এসে ভরিয়ে ধন
সেই সব মানুষের জীবন।
-
ভাল ছেলে – ব্যাচিলর বাবার প্রেম কাহিনী (তৃতীয় পর্ব)
Audio File Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
পাড়ার মেয়ে সন্ধ্যা
সেও ভক্ত হারানের।
চোখের ঝিলিক মুগ্ধ করে হারানকে
দেখা হলে য্গলের।
হারান শেখায় কৃষকদের
জমী তৈরী করতে।
বীজতলাটাও কেমন হবে
কোন কোন সার লাগবে তাতে।
চাষের মাস্টারী করতে গিয়ে
নাম হয়েছে মাস্টারমশাই।
গ্রামের মানুষের উপকার করতে
হারান থাকে ব্যগ্র সদাই।
উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশক দেওয়া
সময়মতো খুবই জরুরী।
সারের প্রয়োগ কেমনভাবে
শিখিয়ে দেয় তার মাস্টারী।
স্বনির্ভর হʼতে সন্ধ্যাও শেখে
চাষের নানান কথা।
তার মুচকি হাসির ঝলকানিতে
হারানের খুশির ব্যাকুলতা।
খুশির ছোঁয়ায় কখন যেন
পরস্পর টান অনুভব করে।
প্রেমের জন্ম কখন থেকে
কে বলতে পারে?
মদন-শরে বিদ্ধ যুগল
হাবুডুবু প্রেম জ্বরে।
প্রেমের দেবতা মুচকি হাসেন
স্বার্থকতার পরে।
পাড়ার পিসিমা-মাসীমার চোখে পরে
সন্ধ্যা, হারানের এই প্রেম কাহিনি।
বলে, চারহাত মিলিয়ে দেওয়া
দরকার যে এখনি।
সন্ধ্যার বাবাকে জানায় তারা
বিয়ের ব্যবস্থা করো তাড়াতাড়ি।
ভাল ছেলে হারানকে
পছন্দ তো সবারই।
সন্ধ্যা আবার পছন্দের পিসি
যীশু আর বন্যার।
সন্ধ্যাও ভলবাসে তাদের
যেন নিজের ছেলেমেয়ে তার।
-
ভাল ছেলে – ব্যাচিলর বাবা (প্রথম পর্ব)
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
গ্রামের মানুষ হারান
তার ছোট্ট একটি ঘর।
বাবা-মা তার মারা যায মহামারীতে
যখন তার বয়েস পনেরো বছর.
এখন বয়েস তার তিরিশের কোটায়
রাশি রাশি স্বপ্ন তার মনে।
পাড়ার সকলে ভালবাসে তাকে
ভাল ছেলে বলে জানে।
সকাল থেকে ছুটে ছুটে করে সে
তার নানান কাজ।
ক্ষেতের সবজি, গোলার ধান
মজুত আছে তার আজ।
তার সঙ্গে থাকে দুটি প্রাণী
নʼবছরের ষীশু আর পাঁচ বছরের বন্যা।
ব্যচিলর বাবার দুই সন্তান
একটি পুত্র আর অন্যটি কন্যা।
গ্রামের সাধুবাবার আশ্রমে
এই যীশু ও বন্যার ছিল আশ্রয়।
অনাথ দুই ছেলে মেয়ে
ছিল সাধুবাবার খুব প্রিয়।
সাধুবাবা মৃত্যুসজ্জায় এদের
তুলে দেন হারানের হাতে।
সেই থেকে এরা দুজন
হারানের বাড়ীতেই থাকে।
নিজেই করে সে রান্না-বান্না
তিন মানুষের সংসার।
ষীশু আর বন্যা আনন্দেই থাকে
নতুন ব্যাচিলর বাবাব়।
-
|| সিঙ্গেল হওয়ার জ্বালা ||
Audio File Single howar Jwala
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
ʼঅফিসে চলে এসʼ
ʼকালকে সকালেʼ।
রোহিতের বস
রোহিতকে বলে।
ʼস্যার কালকে আমার একটাʼ
ʼইমপর্ট্যান্ট কাজ আছেʼ।
ʼআপনি বরং পূর্ণিমাদিকে বলুনʼ,
ʼসকালে চলে আসতেʼ।
ʼনা ওর ছোট বাচ্ছা আছেʼ,
ʼএত দেরী করে বলা যায় না ওকেʼ।
ʼতুমি ব্যাচেলর ছেলেʼ,
ʼতোমাকে যখন তখন বলতে পারিʼ।
ʼস্যার, আমি ব্যাচেলর বলে আমাকে আসতে হবেʼ?,
ʼআমার কাজটাও তো খুব দরকারীʼ।
এরপরে রোহিতের সঙ্গে
বসের অনেকক্ষণের কথা কাটাকাটি।
যার সমাপ্তিতে শেষ হʼল
ব্যাচেলর ছেলেটির চাকরীটি।











