• || ঝড় ||
    Poetry

    || ঝড় ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Jhar

    এই কালবৈশাখীর ঝড়ে

    উড়িয়ে নিয়ে যাক সব কলুষতা।

    যত শুকনো ডালপালা আছে

    শেষ হোক সব মলিনতা।

    ঝড়ের শেষে-

    বৃষ্টি নামুক অঝোরে।

    শুকনো ডালে দেখা দিক

    সবুজের প্রাণস্পন্দন।

    ঝলমলিয়ে উঠুক পৃথিবী,

    সর্বত্র হোক দৃষ্টিনন্দন।

    মানুষ প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিক,

    থাকুক মুখে তার হাসি।

    রঙিন এই পৃথিবীর ছবি,

    আমরা সবাই ভালবাসি।

  • || পথের পাঁচালী – এক ||
    Poetry

    || পথের পাঁচালী – এক ||

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Pather Panchali one

    দু-এক দিনে

          ঘনীভূত বর্ষা শুরু হয়।

    পূবের হু-হু করা হাওয়া পশ্চিমে চলে।

             খানা ডোবা সব জলে থৈ-থৈ করে।

    বাঁশ বনে ঝড়ের তান্ডবে

                বাঁশের মাথা সব লুটিয়ে পড়ে।

    আকাশের কোথাও ফাঁক নেই

                     অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।

    মেঘের রাশ উড়ে চলে

                  পূব থেকে পশ্চিমে।

    দূর আকাশের কোথায় যেন

                  চলে দেবাসুরের মহাসংগ্রাম।

    কোনোও এক বিরাট দৈত্য সৈন্য
                জলস্থল-আকাশ ছেয়ে ফেলে।

    অক্ষৌহিণীর পর অক্ষৌহিণী অদৃশ্য

        রথী মহারথীদের চালনায় ঝড় এগিয়ে আসে।

    দেববজ্র আগুন উড়িয়ে নিমেযে বিশাল মেঘকে ছিঁড়ে ফুঁড়ে

                   ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়।

    আবার কোত্থেকে রক্তবীজের বংশের দাপটে

            করাল কৃষ্ণছায়ায় পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়।

    এই মহাঝড়ে দিন রাত শুধু সোঁ সোঁ শব্দ,

          নদীর জল বেড়ে কত জায়গায় ঘর পড়ে যায়।

    নদী-নালা জলে ভেসে গিয়ে গরু-বাছুর সব দাঁড়িয়ে ভেজে

               ছাচতলায়, বাঁশবনে বা গাছের তলায়।

    পাখীদের শব্দ থাকেনা

                  এই সময় কোনোও দিকে।

    চার পাঁচদিন একই ভাবে কাটে

       কেবল ঝড়ের শব্দ আর অবিশ্রান্ত বৃষ্টি থাকে।

    বিঃ দ্রঃ – এটি শ্রী বিভূতিভুষন বন্দ্যোপাধ্যয়ের পথের পাঁচালী

            অনুসৃত।