-
|| টয় ট্রেন ||
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Toy Train
শৈল শহর দারজিলিং যেতে
মজার যাওযা টয় ট্রেনে করে।
শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে দারজিলিং
এটা চলাচল করে।
দুরত্ব নয় খুব বেশী
প্রায় চুরাশি কিলোমিটার।
এই দুরত্বে ট্রেনটিকে ওপরে
উঠতে হয় দু হাজার আটান্ন মিটার।
অনেক জায়গায় ট্রেনের পাশাপাশি
গাড়ী চলে রাস্তায়।
দুʼদিকের যাত্রীর একে অন্যকে
হাত নেড়ে অভিনন্দন জানায়।
এটি দু-ফিট ন্যারো গেজ রেললাইনের
ওপর দিয়ে যায়।
বাইশশো আটান্ন মিটার ওপরে এটি
ঘুম স্টেসনে গিয়ে দাঁড়ায়।
ঘুম ভারতের সবচেয়ে উঁচু
রেলওয়ে স্টেশন।
দারজিলিং পৌঁছুতে ট্রেনটি আবার
নামে দুশো মিটারের মতন।
ট্রেনটি সুখনা জঙ্গলের
ভেতর দিয়ে যায়।
জঙ্গলের গাছপালা দেখতে
সবাই আনন্দ পায়।
রাস্তায় যেতে যেতে
আসে বাতাসিয়া লুপ।
সেটি দেখতে সবারই
দৃষ্টি থাকে লোলুপ।
আকাশ পরিষ্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘাও
দেখা যায় ট্রেনে বসে বসে।
হিমালয়ের রানিকে এত সহজে দেখে
সবাই ফোটো নেয় মনের সুখে।
প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে
শিলিগুড়ি থেকে দারজিলিং পৌঁছুতে।
ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট
তকমা দিয়েছে এটিকে।
-
।। টাইগার হিল ।।
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Tiger Hill
টাইগার হিল বললে
সবাই এক ডাকেতেেই চেনে।
অসাধারনণ সৌন্দর্য্য সে এক
একথা কে না জানে?
দারজিলিং পৌঁছনোর দিন
রাস্তা থেকে দেখি।
সূর্য্যাস্তের গোধুলি আভায়
চমকপ্রদ সেকি!
একদিন পরে সকালবেলায়
টাইিগার হিলে যাই।
দিনটা ছিল নভেম্বরের দু তারিখ
দু হাজার বাইশেই।
আমাদের হোটেলটা ছিল
ম্যালের ওপরে।
গাড়ী আসবে না ম্যাালর রাস্তায়
গাাড়ী দাঁড়ালো ম্যালের মোড়ে।
ভোর সাড়ে তিনটেয়
স্টার্ট করলো গাড়ী।
রাস্তায় কি ভীষণ জ্যাম
কি যে আর করি।
শামুকের গতিতে চলে গাড়ী
পৌঁছোই ভোর পাঁচটায়।
তথনও সূর্য্যদেবের দেখা নেই
হননি উদয়।
লাাল সূর্য্যদেব
একটু পরেই দেখা দিলেন।
ভাগ্যক্রমে সেদিন
পরিস্কার আকাশে নেই মেঘ ভিলেন।
একটু পরেই কান্চনজংঘার শৃঙ্গ
উদ্ভাসিত হʼল লাল আলোয়।
ভোরের সেই ঠান্ডা পরিবেশে
সে দৃশ্য অসাধারন মোহময়।
ক্রমে লাল আলো
ফিকে হতে হতে সাদা হয়েছে।
দুধের মন সে রঙ
বরফের ওপর পড়েছে।
প্রতিফলনে সোনার মতো চকচক করছে
কান্চনজংঘার শৃঙ্গগুলো।
অসাধারন সে ছবি,
একের পর এক ছবি তোলো।
আশ মিটিয়ে ছবি তোলার পর
দেখি এক নেপালী মেয়ে কফি খাওয়াাচ্ছে।
কফি খেলাম সবাাই মিলে
তখন চোখ বাারবার এ দৃশ্য দেখছে।
ফেরার মধ্যে নেই
তেমন কোন গল্প।
গাড়ী পৌঁছোলো হোটলে
তখন ক্ষিদে পাচ্ছে অল্প অল্প।