• বিশ্বকর্মা পুজো
    Poetry

    বিশ্বকর্মা পুজো

    Audio File

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    সতেরোই সেপ্টেমম্বর আজ

                              বিশ্বকর্মাদেবের জন্মদিন।

    ব্রহ্মদেবের পুত্র তিনি

                          সবাই মাতে তাঁর পুজোয় এদিন।

    ছেলে, বুড়ো সবাই ওরায়

                           নানান রঙের ঘুড়ি।

    আকাশে তাদের ছুটোচুটি

                          চলে কাটার মারামরি।

    দাদু কাটে নাতির ঘুড়ি

                           কাটতে পেরে হাসি।

    ছোট্ট নাতির চোখে জল দেখে

                           দাদু হয় অপরাধী।

    কলকারখানা বন্ধ যে আজ

                          সবাই করছে বিশ্বকর্মা পুজো।

    পুজোর পরে সবাই ব্যস্ত

                      বিভিন্ন মজা আর চলছে পেট পুজো।

    বিশ্বকর্মাদেবকে সবাই পছন্দ করে

                   তাই দেব-মানুষ সবাই মাতে এ দিন।

    তাঁর অতুলনীয় শিল্পকর্মে সবাই মুগ্ধ

                     পালন করে তাঁর জন্মদিন।

    শ্রীকৃষ্ণের নিরাপত্তার কারনে নতুন রাজধানী

                   তৈরী করেন দ্বারকায় যার চরিদিকে জল।

    মহাভারতে বিতারিত পান্ডবদের জন্য

                  জঙ্গল কেটে সৃষ্টি করেন ইন্দ্রপ্রস্থে রাজমঙল।

    পুরীর জগন্নাথদেবের মুর্তি

                               তাঁরই শিল্প কর্ম।

    কুবেরের ধন সুরক্ষায় বাড়ীটি

                               ওনারই নির্মাণ কর্ম।

    সব কারিগরি বিদ্যায় লাগে

                        বিশ্বকর্মার দয়ার হাত।

    তাই যন্ত্রের দেব বিশ্বকর্মার পুজোতে

                         সবাই পায় তার আশীর্বাদ।

  • || সাধুবাবা ||
    Poetry

    || সাধুবাবা ||

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Sadhubaba

    একটি লোকের সঙ্গে

             এক সাধুর দেখা হʼল।

    সাধু তাকে বললো, ʼভাল মানুষ হও বাবাʼ,

                    বলে চলে গেল।

    অনেকদিন পরে কোনও এক ঘটনাচক্রে

                 লোকটি চুরি করলো ও জেলে গেল।

    হাজতবাসের সময় কাটিয়ে

                  লোকটি জেল থেকে ছাড়া পেল।

    আবার রাস্তায় সেই সাধুবাবার

                                  সঙ্গে লোকটির দেখা হʼল।

    সাধুবাবা আবার বললো, ʼভাল মানুষ হও বাবাʼ,

                              বলে আবার চলে গেল।

    রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে

                                 তার বেশ খিদে পাচ্ছিল।

    তার পকেটে দশ টাকা ছিল

                    তাই দিয়ে সে একটা পাউরুটি কিনল।

    হঠাৎ একটা ভিখিরি

                             তাকে পাউরুটিটা চাইল।

    ভিখিরিটা বললো, ʼসে দুদিন কিছু খায়নিʼ।

          শুনে সে পাউরুটিটা ভিখিরিকে দিয়ে দিল।

    একটু পরে রাস্তায়

                         তার এক বন্ধুর সাথে দেখা হʼল।

    বন্ধু তাকে সঙ্গে করে

                           তার কারখানায় নিয়ে গেল।

    কারখানার মালিক তাকে

                           কারখানাতে একটা কাজ দিল।

    পরে তাকে থাকার জন্য

                           এক যায়গায়ও ব্যবস্থা করে দিল।

    নতুন ঘরে রাত্রে শুয়ে শুয়ে

                          সে সকালবেলার কথা ভাবছিল।

    হঠাৎ সাধুবাবার কথা মনে পরতে

                     তার মনে হʼল, সে কি ভাল মানুষ হলো?