• || চ্যাটার্জীবাবুর একদিন ||
    Poetry

    || চ্যাটার্জীবাবুর একদিন ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Chatterjee Babur Ekdin

    অসিত কুমার চ্যাটার্জী, কোলকাতার

       এক নামী কোম্পানীর সেলস এক্সিকিউটিভ।

    ডিসিপ্লিন মানা ছেলে,

                বিয়ে করেছে ছʼমাস আগে।

    সময়ে অফিস যায়,

                          বাড়ীর সব কাজ করে আগে ভাগে।

    আজ একটা মিটিং আছে দশটায়,

                          কাস্টমারের অফিসে যেতে হবে।

    পনের মিনিটের ড্রাইভ

                          ঠিক সময়ে পৌঁছুতে হবে।

    চান, খাওয়া দাওয়া সেরে

               নিচে গাড়ীর সামনে আসে সাড়ে নʼটায়।

    একি! গাড়ীর চাকা পাম্পচার!

    ʼরতন, তাড়াতাড়ী আয়।ʼ,

                কাজের লোক ছুটে আসে।

    ʼএক্ষুনি স্টেপনির চাকাটা পাল্টে দেʼ

    চাকা লাগানো হয়, চাকায় পাম্প কম,

               কিন্‌তু ঘড়িতে তখন পৌঁনে দশটা।

    অসিত দিব্যকে ফোন করে,

                            ʼতুই করে নে মিটিংটাʼ।

    অসিত চাকায় হাওয়া ভরে অফিসে পৌঁছোয়

                          তখন ঘড়িতে পৌনে এগারটা।

    বস অসিতকে জিজ্ঞেস করলো,

                          ʼপেলে দশ লাখের অর্ডারটা?

    ʼনা স্যার, আমার গাড়ী পাম্পচার হয়েছিল,

                              দিব্য গেছে অর্ডারটা আনতেʼ।

    বস গুম হয়ে চলে যায়।

    একটু পরে দিব্য এল,

                            অসিত গেল কি হোলো জানতে।

    ʼনা স্যার, হলোনা,

                  কাস্টমার আরও ডিসকাউন্ট চায়ʼ।

    বস দিব্যকে ডাকে,

                                     ʼএই দিব্য এদিকে আয়ʼ।

    বস অসিতকে বলে,

                                  ʼএটা দিব্যই হ্যান্ডেল করুক,

    তুমি বরং বড় প্রজেক্টটার মিটিংটা করʼ।

    অসিত বসকে জিজ্ঞেস করে,

                                          ʼমিটিংটা কখনʼ?

    ʼসাড়ে পাঁচটায় বলা আছে,

             তপন,রবীন আর স্বাগতাকে ডেকে নাও এখনʼ।

    সাড়ে পাঁচটায় মিটিং শুরু হয়

                                        শেষ হয় সাতটায়।

    আগে ভাগে বেরিয়ে

               সিনেমা হলে পৌঁছোনোর কথা ছিল সাড়ে ছʼটায়।

    ফোন করে দেয় বৌকে,

            ʼদীপা, আমার যাওয়া হবে না, তুমি একা যেতে পারʼ।

    বঔ বল্ল, ʼএ ভাবে হয় না, তুমি সিনেমা ছাড়ʼ।

    অসিত বাড়ী ফেরে সন্ধ্যে আটটায়।

    বৌয়ের মুখ হাড়ী, বল্ল,

                ʼঅফিস ছাড়া তুমি আর কি পারʼ?

    অসিতের মনটা খারাপ

                              কাস্টমারের মিটিংটা হোলো না।

    জেনুইন অর্ডারটা পাবার কথা

                               সেটা এল না।

    বৌ গেল রেগে

                    সিনেমার টিকিটটাও হলো নষ্ট।

    দিনটা ভাল গেল না

                       মনেও থাকলো একটা কষ্ট।

    তাড়াতাড়ি ডিনার সেড়ে

                                অসিত শুতে গেল ।

    ভাবে, এত নিয়ম মেনেও

                               আজ সব কাজ পন্ড হলো।

    হঠৎ মনে পরে সেই  গীতার বাণী।

    ফলের আশা ত্যাগ করে, কাজ করে যাও

                                 ফল সময়ে পাবে।

    কখন ঘুমিয়ে পরে

                          ভাবে, ফল ঠিক সময়ে নিশ্চয়ই আসবে।