-
নাড়ু গোপাল
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view & listen the Video)
Audio File:
ছোট্ট ছেলে, হাতে নাড়ু
আরেক হাতে বাঁশী।
জগতপালক বাজায় বাঁশী
মুখে মৃদু হাসি।
কেউ ভাবছে এই ছেলেটা
কি আবার করবে?
প্রয়োজনে বাঁশী ছেড়ে,
হাতে সুদর্শনচক্র ধরবে।
মিষ্টি ছেলে নাড়ু গোপাল
সব নারুই তার পছন্দ।
কিন্তু নারু পেয়ে মন ভুলবে না
যদি উদ্দেশ্য হয় মন্দ।
ভক্তরা যখন প্রাণের টানে
মন দিয়ে তাকে ডাকে।
ছুট্টে আসে মিষ্টি গোপাল
তার কষ্ট লাঘব করতে।
পালনহার তো, তাই তো তার
নিয়ম মেনে চলা।
প্রণের টানে তোমার ডাকে
সঙ্গে কথা বলা।
বেচাল কিছু চাইলে কিন্তু
পূরণ সেটি হবে না।
নিজের জমা মার্কস যত
তার বেশী পাবে না।
ফল পাওয়ার সময় যখন
ফলবে তখনই সেটা।
ফলের চিন্তা ছেড়ে তাই
কাজ করো পেতে ওটা।
কংস বধে সেই ছেলেটাই
দমন করে দুষ্ট।
বাঁশীর টানে রাধা আসে
ননি চুরিতে শ্রেষ্ঠ।
সব বাড়িতেই পূজে তোমায়
হাসি মুখটি যে যায় দেখা।
মানুষ হাসে, কাঁদে তোমায় নিয়ে
তোমায় আদরে নেই যে বাধা।
জগতপালকের জন্মদিন আজ
সবাই খুশি তাকে নিয়ে।
প্রাণের ডাকে আসলে পরে
চোখের জল দেবে মুছিয়ে।
-
Shades of Holi – A Celebration of Vibrant Minds
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
In the heart of spring, when nature’s palette blooms,
Comes a festival of joy, dispelling gloom,
Holi, the festival of colors, so bright,
But let us paint with hues that bring delight.
No more the harmful chemicals, we decree,
For the essence of Holi lies in purity,
Let vibrant minds be our canvas, our art,
With colors that uplift and soothe the heart.
Gather ’round, dear friends, with laughter and cheer,
As we celebrate unity, and bonds so dear,
With each splash of color, let love unfurl,
In every heart, let harmony swirl.
Let us drench each other in hues divine,
With natural pigments, let our spirits shine,
For Holi is more than just a festival of play,
It’s a celebration of life, in every way.
From reds of passion to blues of peace,
Let our colors reflect our inner release,
With yellows of sunshine and greens of growth,
Let our souls dance freely, in joy and troth.
No longer shall chemicals mar our mirth,
As we embrace the purity of Holi’s rebirth,
Let kindness be our powder, and empathy our spray,
As we paint the world with love, this Holi day.
So come, let’s revel in this colorful spree,
With hearts full of hope and minds ever free,
For Holi is a reminder, to cherish each other,
And celebrate the beauty in every sister and brother.
Let our colorful minds blend in harmony,
Creating a symphony of unity,
For in the kaleidoscope of life’s grand design,
It’s the vibrant hues of love that truly shine.
-
গোপালজী বনাম গনেশজী
Audio File Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
নমস্কার, স্বর্গের নতুন স্টেডিয়াম ত্রিমূর্তি
থেকে কালিদাস বলছি।
আজকে এক বিরাট কম্পিপটিশন
গোপালজী বনাম গনেশজী।
নতুন এই ত্রিমূর্তি স্টেডিয়ামের
আজই শুভ উদ্বোধন।
উদ্বোধন করবেন সকলের প্রিয়
ব্রহ্মান্ডের পালনহার নারায়ন।
কিছুদিন আগে স্বর্গ স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশনের
চেয়ারম্যান মহাদেব এক আদেশ দেন।
সেই আদেশে-বলে স্বর্গের নন্দনকাননের পূর্বদিকে
ঠিক হয় এক নতুন স্টেডিয়ানের নির্মাণ।
নির্মাণ কার্যের টেন্ডার কমিটি
দুজনকে সর্টলিস্ট করেন।
শেষে বিশ্বকর্মাকে হারিয়ে
গনেশজী এই টেন্ডার জেতেন।
টেন্ডারগুলো ব্রহ্মদেব টেন্ডার কমিটির
সঙ্গে বসে পুংখানুপুংখভাবে চেক করেন।
সবশেষে তাঁর কথামতো
গনেশজী টেন্ডারটি পান।
তারপর দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে
পাঁচ কোটি ইঁদুর এই নির্মাণ কার্য করে।
যদিও বিশ্বকর্মাদেবের হাতীরদল
সিংহ, বাঘ, হাঁস সবাই হেল্প করে।
কিছু ভারী কাজের জন্য
গনেশজীর প্ল্যানমতো অসুরদের দেওয়া হয়।
তারা ইঁদুরদের কথামতো
সব কাজ ঠিকমতো করে দেয়।
এতো গেল স্টেডিয়াম
নির্মাণ কাজের কথা।
এবারে বলি এই খেলার
বিভিন্ন নিয়মের কথা।
প্রথম নিয়ম হোলো
দুই প্রতিদ্বন্দীর বয়েস এক হতে হবে।
ভগবানদের ইচ্ছামতো তাঁরা যে কোনও সময়
যে কোনও বয়েসে রূপান্তরিত হতে পারেন।
দ্বিতীয় নিয়ম হোলো যে খাওয়া নিয়ে
কেউ কিছু বলবে না।
কিন্তু কোনও খাবারই এক কণাও
প্লেটের বাইরে পরতে পারবে না ।
তৃতীয় নিয়ম হলো কেউ নিজেদের
নর্মাল পোষাক পরতে পারবে না।
দুজনকেই হাফ প্যান্ট আর টি সার্ট পরতে হবে
এ ছাড়া আর কিছু পরতে পারবে না।
আর এক মিনিটের মধ্যে
কম্পিটিশন শুরু হবে।
দুজনেরই বয়েস মাত্র
পাঁচ বছর করে হবে।
নারদকে এই কম্পিটিশনের
রেফারী করা হয়েছে।
তাই দেখছি নারদ গেন্জী আর হাফ প্যান্ট পরে
বাঁশী হাতে ঢুকছে।
কমপিটিশন হবে
নানান লাড্ডু খাওয়ায়।
প্রথমে গনেশজী মোদক চেয়েছিলেন
গোপালজীর অবজেকশনে তা বাতিল হয়ে যায়।
সমস্ত থেলাটি হবে
তিন রাউন্ডের।
এক একটি রাউন্ড
পাঁচ মিনিট সময়ের।
প্রথম রাউন্ডের খেলা
শুরু হয়ে গেল।
কিন্তু এ কি হচ্ছে?
ছোট্ট গনেশ জিতে গেল।
খেলার রেসাল্ট
নাড়ুগোপাল পাঁচটা নাড়ু খেলো।
সে জায়গায় ছোট্ট গনেশ
পঁচিশ প্লেট নাড়ু খেলো।
নাড়ুগোপাল আস্তে আস্তে
নাড়ু খাচ্ছিল।
সে জায়গায় ছোট্ট গনেশ
আদ্দেক খেয়ে বাকী আদ্দেক ফেলছিল।
মাটিতে পড়ার আগে
ইঁদুরের দল লুফে গিলে ফেলছিল।
পরের রাউন্ড খেলা
শুরু হয়ে গেল।
এবারে নারুগোপাল
এক কণা খায়।
আর বাকী প্লেটের নাড়ু
অদৃশ্য হয়ে যায়।
সেকেন্ড রাউন্ডের খেলার রেসাল্ট
নাড়ুগোপাল তিরিশ প্লেট নাড়ু খেলো।
সে জায়গায় ছোট্ট গনেশ
আঠাশ প্লেট নাড়ু খেলো।
তৃতীয় রাউন্ডের একই ভাবে
নাড়ুগোপাল জিতে গেল।
পরে জানা গেল শেষ দুরাউন্ডে
অদৃশ্য হওয়ার কারনটি।
পালনহার নিজে একটু খেয়ে বাকী প্রসাদ যাচ্ছিল জগতের সমস্ত
মানুষের কাছে, যা কোটি কোটি।
গনেশজী জ্ঞানী
ও বিচক্ষণ দেবতা।
তিনি বুঝলেন, পালনহার কোটি কোটি প্রানীর
তাই এই কম্পিটিশন ধৃষ্টতা।
-
Whispers of the heart
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
My Gopal, the Gopal of the soil,
Dressed in colors, again stands tall.
If only he were a golden Gopal,
How splendid he would enthrall!
But, this isn’t a statue of gold,
Just looks like gold, truth be told.
If you were a golden Gopal, my friend,
What tales you would unfold!
Golden Gopal, a form of beauty pure,
Even a copper Gopal can surely allure.
The face that your heart desires to see,
Fills your heart and sets it free.
Call upon the Gopal of your heart,
Within your mind, a precious art.
Even without offerings or grand displays,
In the realm of the heart, contentment stays.
If you wish to converse with Gopal,
Engage in words with his soul.
Throughout each day, as time flows,
Do good deeds that kindness bestows.
Be good to yourself, my friend,
Be kind to others around the bend.
Don’t engage in actions that cause sorrow,
For the future might hold a bitter tomorrow.
Witness the conversing Gopal, too,
How he listens, so attentive to you.
What you think, that’s what it seems,
Gopal speaks in your heart’s dreams.
-
Gopal’s Enchanting Presence
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Gopal, Gopal, Gopal divine,
In you, the universe does entwine.
In mind and soul, you find your place,
In the sky, the wind, the earthly space.
By your grace, I’m alive and well,
In your grace, my deeds do swell.
I contemplate speaking your name,
Yet words fall short in praise and aim.
Through worlds and realms, your fingers trace,
Guiding all in life’s wondrous race.
The pulse of life, in your touch I see,
Every being, you set their spirits free.
In the cycle of birth, humans emerge,
Journeying through life, purpose to converge.
At the end’s brink, where shadows creep,
Death’s voice whispers, the soul takes a leap.
In the hands of Gopaldada, like a thread,
Rising and falling, as if led.
Like a puppet on destiny’s stage,
Dancing through life, from page to page.
Where will the final day’s journey lead?
Where is the address, where souls are freed?
With a chant of ‘Hari Bol,’ the call we send,
In this truth, all hearts blend.
Gopal, Gopal, eternal and vast,
In your presence, the world is cast.
You are the thread, the essence, the core,
In every heart, forevermore.
-
|| ভক্ত – দ্বিতীয় অংশ ||
Bhakta Part Two
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
একটু পরে নিজেকে সামলে জমিদারবাবু বললেন,
ʼতুমি আজকে থেকেই এখানে আসতে পারʼ।
ʼআমার অন্দরমহলে একটা কাজ আছেʼ
ʼসেটা তুমি চাইলে করতে পারʼ।
ʼকাজটা একটু ঝামেলারʼ
ʼআমার ফাই-ফরমাস খাটতে হবেʼ।
ʼতোমার এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হবেʼ,
ʼআর মাসে তিন হাজার টাকা মাইনে পাবেʼ।
ভক্ত তো এক কথায় রাজী
বললো, ʼআমি কৃপাকে বলে আসছিʼ।
ʼএকটু পরেই আমি গোপালজীকে ʼ
ʼসঙ্গে নিয়ে এখানে চলে আসছিʼ।
একটু পরেই ভক্ত জমিদার বাড়ীতে
এসে হাজির হলো।
একটা বিরাট ঘরে
তার থাকার ব্যবস্থা হলো।
এত বড় ঘর সে দেখেনি আগে
মনে মনে গোপালজীকে বারবার ধন্যবাদ দিল।
ভাবলো গোপাজীর কৃপায়
জমিদার বাড়ীতে তার ঠাঁই হলো।
ছোট্ট একটা টেবিল যোগার করে
সে গোপালজীর আসন পাতলো সেখানে।
গোপালজীর খাট তো সে নিয়ে আসেনি বাড়ী থেকে
তাই টাকা পেলে সে গোপালজীর একটা খাট আনবে কিনে।
ভক্ত মন দিয়ে কাজ করে,
আর গোপালজীর সেবা করে দু বেলা।
জমিদারবাবুও খুব খুশি তার কাজে
সে একটুও করে না কোনও কাজে অবহেলা।
মাঝে মাঝে কৃপা আসে
তার সঙ্গে দেখা করতে।
সেও গেছিল কৃপার জন্মদিনে
ছুটি নিয়ে কৃপার বাড়ীতে।
সে কৃপার কাছে গল্প শুনেছে
জমিদার বাড়ীতে দূর্গা পুজো হয় মহা ধুমধাম করে।
তখন একটা মজার ব্যাপার হয়।
দশমীর দিন জমিদারবাবু প্রজাদের সঙ্গে বসে খান পুজোর পরে।
এক প্রকান্ড মাঠে আসন পেতে বসে
মা দূর্গার ভোগ সবাই একসঙ্গে খায়।
তবে এটা শুধু এ গ্রামের প্রজারা ও তাদের বাড়ীর লোক
এই ভোগ খাবার নিমন্ত্রণ পায়।
প্রসাদ প্রতিজনে একবার করেই পায়।
আর সেটা মাঠের বাইরে নিয়ে যাওযা মানা।
তাই বাইরের কেউ
এ প্রসাদ খেতে পায় না।
কিছুদিন বাদে, দূর্গা পুজোর দিন চলে আসে।
মহাসমারোহে জমিদার বাড়ীতে দূর্গা পুজো শুরু হয়।
ভক্তের এসময়ে কাজের আর শেষ নেই
সে মন দিয়ে সব কাজ করে যায়।
ভক্ত সামনে থেকে দূর্গা পুজো দেখেনি আগে
তাই তার খুব ভাল লাগে পুজোর সব কাজ।
সপ্তমী, অষ্টমী আর নবমী কেটে যায় ভালোলাগার ঘোরে
মায়ের দশমী পুজো আজ।
মায়ের ঘট বিসর্জন হয়ে গেছে
সকলেরই মন খারাপ আজ।
আবার মা আসবেন আবার এক বছর পরে
বিকেলে প্রতিমা নিরন্জনে ভক্তের অনেক কাজ।
দুপরে সেই বহু প্রতিক্ষিত
মাঠে বসে প্রসাদ খাওয়ার সময় এসে গেছে।
ভক্ত সব কাজ সেরে
অনেকের সাথে মাঠের দিকে যাচ্ছে।
হঠাৎ এক বুড়ো ভিখিরি
রাস্তায় তার জামা ধরে ডাকলো।
সে সবাইকে এগিয়ে যেতে বলে
ভিখিরির কাছে এগিয়ে গেল।
ʼআমাকে একটু প্রসাদ দেবে গোʼ
ʼজানি প্রসাদ দেওযা বাইরে মানাʼ।
ʼতুমি তো জমিদারবাবুর খাস লোকʼ
ʼতাই তুমি এটা পারবে, এটা আমার জানাʼ।
ʼআচ্ছা আমি দেখছিʼ,
ʼতুমি এখানেই বসোʼ।
ʼআমি তোমার জন্যেʼ
ʼএখানেই প্রসাদ আনবʼ।
কিন্তু ভেতরে সে একটার বেশী
প্রসাদ পেল না।
তাই নিজের প্রসাদটাই
ভিখিরিকে দিয়ে ঘরে চলে গেল।
সে না খেয়েই
বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভারছে।
জমিদারবাবুর কথা অমান্য করে
সে বাইরের মানুষকে খাইয়েছে।
হয়ত তার চাকরিটাই চলে যাবে
এই অমান্য করা কাজে।
ক্লান্ত শরীরে কখন
চোখটা বন্ধ হয়ে গেছে।
ঘুম ভেঙ্গে দেখে
জমিদারবাবু তাকে ড়াকছে।
জমিদারবাবু তার হাতে
প্রসাদের থালা দিয়ে বললো,
আমি সব শুনেছি
তোমার কান্ড কারখানা।
তুমি আমার চোখ খুলে দিয়েছ
পরেরবার থেকে সবাই প্রসাদ পাবে।
যে আসবে, সেই মাঠে বসে
আমার সঙ্গে খাবে।
ভক্ত সব কথা শুনে
খুশিতে তার চোখে জল এসে গেল।
জমিদারবাবু খুশি হয়ে
আরও দায়িত্বপূর্ণ কাজ ভক্তকে দিল।
















