-
নাইটের বিজয়
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view the Video)
নাইট রাইডার্সের খেলা দিয়ে
আই পি এল শুরু বিরতির পরে।
সবাই উন্মুখ বিরাট কেমন আছে জানতে
টেস্টে রিটায়ারমেন্ট করে।
ছোটো নাইট রাইডার্স ছোটো তুমি
সব চিন্তা দূরে রেখে।
চারটে ম্যাচ জিততে হবে
তোমার ইচ্ছা পূর্ন করতে।
প্রথম ম্যাচে অপনেন্ট
রয়াল চ্যালেন্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
বিরাট কোহলি আছে আবার
এই টিমটার মাথার ওপর।
কিং কোহলিকে আউট করতে
থোঁজো সব ফন্দি ফিকির।
তারপরে আউট করো
বাকী সব টিমমেটদের।
সাইরাইসার্স দলের সঙ্গে
পরের ম্যাচ আছে দিল্লিতে।
ট্র্যাভিস হেড ও ক্যাপ্টেন কামিংন্স
ফিরছে দলের সঙ্গে যোগ দিতে।
বিজয়িদের কোয়লিফাই করতে
তাদের ভাগ্যের সাহা্য্য থাকবে।
ভগবানও য়ে হাতটি ধরেন
সাহসিদের সুয়োগ দিতে।
তারপরে আছে দুটি খেলা
কোয়ালিফায়ার-টু আর ফাইনালের গেরো।
এগিয়ে চলো, কাপটাই দেখো
অর্জুনের লক্ষ্যভেদ করো।
চতুর্থবার কাপটি জিতে
দেখাও সব মানুষকে।
নাইট রাইডার্সকে সবাই দেখুক
তাদের মনের জোর আর বিক্রমকে।
-
আই পি এলে নাইটের ভরাডুবি
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita (to view the Video)
Audio File:
কোলকাতা নাইট রাইডার্সের
পাজ্ঞাবের কাছে ভরাডুবি হলো।
ওভার কনফিডেন্সের জেরেই
একশো এগারো রান আটকে গেল।
দলটা এমনিতে ব্যালানস্ড, ও তারা
পারস্পরিক বোঝাপড়ায় জিততে পারে।
যদিও খুব কম সাংবাদিকই বলছে
এই দলটি কিছু করতে পারে।
ক্যাপ্টেন আউট হলো
রিভিউ না দেখার বোকামিতে।
বাকি প্লেয়াররা আউট হলো
ক্যাপ্টেনের রিপ্লে দেখার পর থেকে।
আঠারো বছর পরে
নাইট ইতিহাস করলো।
একশো এগারো রান
না করতে পারা তারা দেখালো।
তার আগে ভাল বল করে নাইট
পাজ্ঞাবকে পনেরো ওভারে আউট করলো।
পাজ্ঞাবের হয়ে ভারতের বাতিল স্পিনার
আঠাশ রানে চার উইকেট নিলো।
হায়দ্রাবাদ ও পাজ্ঞাব খেলার শিক্ষা নিয়ে
নাইটরা চাঙ্গা হোক আবার।
কোচ ও ক্যাপ্টেন স্কিলটি শেখাক
সোজা ব্যাটে সিঙ্গেল নেওয়ার।
পেস বোলিং একটু ভালো করে
সোজা ব্যাটে খেলা প্র্যাকটিস করো।
সেদিন অপ্রতিরোধ্য নাইট
যে কোনও ম্যাচ জেতায় ঝাপিয়ে পরো।
ইডেন উইকেট সম্ভবতঃ
এক নম্বর ভিলেন আছে।
আরও অনেক ভিলেনরা
আসবে অন্যান্য সব ম্যাচে।
এগিয়ে যাও পরপর ম্যাচ জিতে
হারিয়ে সব ভিলেনদের।
দেখবে আই পি এল কাপও
এসে পড়বে ফাইনালে তোমাদের।
-
স্বপ্নের রূপকথা
Audio File:
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
রূপকথা হয় রাজা, রানি
আর দৈত্যের গল্প দিয়ে।
এটি যে এক সত্যি কাহিনি
এক বাঙ্গালীর জীবন নিয়ে।
একটি শিশু বড় হয়
তার মধ্যবিত্ত জীবনে।
স্বপ্নে দেখে নানান ছবি
সে তার ছোট্ট ভুবনে।
সবাই বলে, পড়াশুনা করে বড় হয়ে
ভাল চাকরি পেতে হবে।
তবেই হবে সার্থক জীবন
ভাল রোজগার করতে হবে।
ছোট্ট শিশু বড় হয়
পৌঁছোয় সে কৈশোরে।
পড়াশুনা, থেলাধুলা আর
তার স্বপ্ন লালান করে।
বড়রা বলে- পড়াশুনা করো, বড় হও
অন্য সবকিছু তোমার অবসরে।
নইলে যে ভবিষ্যত গন্ডগোল
ভাল চাকরি আর রোজগার অন্ধকারে।
ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম তার
দেখতে সুন্দর, সুঠাম তার সাস্হ্য।
বাবার চাকরি বি এস এন এল-এ
মা সংসার সামলাতেই ব্যস্ত।
ছোটবেলায় দিন কেটেছে
পশ্চিম বাংলার বাইরে।
ইডলি-দোসা-উপমা খেয়ে
সূদুর চেন্নাই শহরে।
আর সকলের মতোই সে
খেলতে বেশী ভালবাসে।
ক্রিকেট খেলতে ব্যাটিং আর
উইকেট কিপিং করে সে।
স্বপ্ন দেখে ক্রিকেটে তার
মহেন্দ্র সিং ধনি হওয়ার।
সে স্বপ্ন সত্যি হবে কি
এ চিন্তা সদাই যে তার।
কʼজনই বা হয় বিরাট কোহলি,
তেন্ডুলকার বা এডাম গিলখ্রীষ্ট।
সবাই বলে পড়াশুনা ভাল করে
হতে হবে তোমায় বেষ্ট।
মনোযোগী ছাত্রের মতো
তারও হলো সে রকমই।
খেলাধূলা ছেড়ে দিয়ে
মন দিল সে গ্রাজুয়েসনে পড়াতেই।
ভর্তি হলো সে আর্কিটেকচার নিয়ে
চেন্নাইয়ের এ আর এম কলেজে।
দূরে মাঠে খেলা দেখে
মনটা মাঝে মাঝে ব্যাকুল হয় যে।
নিয়ম মতো ফিফ্ত ইয়ারে
থিসিস জমা দিতে হয়।
তার বিষয়বস্তু দেখে সবাই
তাজ্জব হয়ে যায়।
সেটি ছিল একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
সব কিছু সুবিধা নিয়ে যত।
তার মনে যে ক্রিকেট বাসা বেঁধেছে
বাবুই পাথীর বাসার মতো।
ছেলে আর্কিটেকচার পাশ করে
ছোটে না চাকরির খোঁজে।
বাড়ীতে বসে চিন্তা করে
কোন কাজে রোজকার করবে সে।
রোজগারের মাধ্যম হিসেবে
সে ক্রিকেটকেই পছন্দ করে।
কিন্তু ক্রিকেট খেলবে কেমন করে
তার এই বিনা রোজগারে।
চেন্নাইয়ের ডি প্লাস ওয়াই আর্কিটেক্টস ইন্টিরিয়রে
চাকরি নিল সে আর্কিটেক্টেরের।
মাইনের পয়সা দিয়ে
খরচ জুটবে ক্রিকেটের।
দুʼবছরের চাকরি ছেড়ে যোগ দিল
সে পুরোপুরি খেলার মাঠে।
কোচের কথামতো সে তখন
ব্যাস্ত ফার্স্ট বোলিং করতে।
একদিন এক ম্যাচে তার
সাংঘাতিক চোট লাগে হাঁটুতে।
ফার্স্ট বোলিং-এ আত্মপ্রকাশ
শেষ হয়ে যায় তার এই চোটেতে।
তবে কি শেষ হয়ে গেল
তার ক্রিকেট কেরিয়ার?
মাথা খুঁরে চিন্তা করে সে উপায়
ক্রিকেট মাঠে ফেরার।
শেষে স্পিন বোলিংই হয় উপায়
ক্রিকেট স্বপ্ন সফল করার।
ইউটিউবে অনিল কুম্বলের বোলিং দেথে
চেষ্টা করে সে পারফেক্ট হওয়ার।
আর্কিটেক্টের সহজ বিদ্যে দিয়ে হাতের কোন,
বলের যাওয়ার পথ বুঝতে থাকে।
এ সব বুঝে আয়ত্ব করে
প্র্যাকটিস করে কঠোর ভাবে।
স্পিনের জাদু দেখিয়ে, সিয়াকেম মাদুরাই
প্যানথার্স তাকে দলে নেয়।
তার মারাত্বক বোলিংয়ে মাদুরাই দল
চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
ছেলেটির বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়ে
আই পি এল-এ পান্জাব তাকে নেয়।
পরের বছর নাইট রাইডার্স
বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়ে সাকসেস পায়।
মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ এরমধ্যে
ভারতের টি টোয়ন্টি খেলে ফেলেছে।
আগামী দিনে ওয়ান ডে ও টেস্টেও
ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে।