-
নবরাত্রী
Audio File:
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
মাযের পুজোর দশটি দিন
তাই নয়টা আছে রাত্রী।
এ সময়ে দেবীর নʼটি রূপের পুজো হয়
এ পুজোকে বলে নবরাত্রী।
আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে
প্রতিপদে এই পুজো হয়।
মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদে
দেবীর ঘট প্রতিষ্ঠা হয়।
পুরান মতে, দশদিন নয় রাত্রী
লাগে ছিল দেবীর মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধের।
অবশেষে অষ্টম-নবম দিনের সন্ধিক্ষনে
মহিষাসুরকে বধ করে জয় হয় দেবীর।
ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে
অনেকেই নবরাত্রীর ব্রত পালন করেন।
নিয়ম মতো এই নয়দিন ফলাহারে থেকে
মন দিয়ে দেবীর পুজো করেন।
প্রতিপদে মায়ের শৈল্যপুত্রী রূপের পুজো করা হয়
মায়ের ঘট স্থাপনের মধ্যে দিয়ে।
তিনি পাহাড়ের কন্যা, তাঁর শক্তি
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের সন্মিলিত শক্তি নিয়ে।
দ্বিতীয়াতে মায়ের পুজো হয়
মায়ের ব্রহ্মচারিণী রূপেতে।
দেবী ব্রহ্মচারিণী শ্বেত পোষাক পরিহিতা
আর জপমালা ও কমন্ডলু থাকে দুই হাতে।
নবরাত্রী পুজোয় তৃতীযাতে
মা চন্দ্রঘন্টা পূজিত হন।
বিশাল চন্দ্রসম দেবী একটি ঘন্টা বাজিয়ে
সব দৈত্য বিতারন করেন।
চতুর্থীতে দেবী কুষ্মান্ডার পুজো হয়
ইনি অষ্টভুজা সিংহ বাহনে থাকেন।
কুষ্মা শব্দের অর্থ ত্রিতাপ বা দুঃখ
তিনি ত্রিতাপহারিণী,সন্তানদের রক্ষা করেন।
পঞ্চমীতে দেবী স্কন্দমাতা রূপে পূজিত হন
কার্তিকের অন্য নাম স্কন্দ,স্কন্দ তাঁর কোলে থাকে।
স্কন্দের মাতার চার বাহু, ত্রিনেত্র ও সিংহ বাহনে থাকেন,
তাঁর একটি হাতে অভয় মুদ্রা আরেক হাতে পদ্ম ফুল থাকে।
ষষ্ঠিতে দেবী আসেন মা কাত্যায়নীর রূপ ধরে
মা কাত্যায়নী ঋষি কাত্যায়নের কন্যা।
তিনি মহাশক্তির একটি ভিষণা রূপ
তাঁর গাত্র মা দূর্গার মতো লাল বর্ণা।
সপ্তমীতে দেবীকে পুজো করা হয়
দেবী ভিষণদর্শণা কালরাত্রী রূপে।
তাঁর গায়ের রং অন্ধকারের মতো কালো
তিনি দুষ্টের দমন করেন ভক্তদের থেকে।
অষ্টমীতে দেবীর পুজো হয়
মা মহাগৌরীর রূপেতে।
মা ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ করেন
মহাদেবের ত্রিশুল ও ডমরু তাঁর হাতে থাকে।
নবমীতে মা আসেন
মা সিদ্ধিদাত্রীর রূপেতে।
ভক্তরা মাকে ভক্তিভরে পুজো করেন
অষ্টসিদ্ধির আশাতে।
মা কৈলাশের পথ ধরেন
পুজো শেষে দশমীতে।
ভক্তরা মাকে বিদায় দেয়
পরের বছর মায়ের পুজোর আশা রেখে।
-
মা স্কন্দমাতার কথা
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
বাসস্থান – কৈলাস পর্বত
বাহন – সিংহ
স্বামী – শিব
পুত্র – কার্তিকেয়, গনেশ
স্কন্দমাতা হল মহাদেবীর নবদুর্গার রূপগুলিরমধ্যে পঞ্চম। তার নাম স্কন্দ থেকে এসেছে, স্কন্দ যুদ্ধ দেবতা কার্তিকেয়ের একটি বিকল্প নাম এবং মাতা , যার অর্থ মা। নবদুর্গার একজন হিসেবে স্কন্দমাতার পূজা নবরাত্রির পঞ্চম দিনে হয়।
স্কন্দমাতা চার-বাহু, তিন-চোখযুক্ত এবং সিংহের উপর চড়ে। তার একটি হাত বরাভয় মুদ্রার অবস্থানে রয়েছে এবং অন্যটি তার পুত্র স্কন্দের শিশু রূপকে তার কোলে ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। তার বাকী দুটি হাতে সাধারণত পদ্ম ফুল ধরে থাকতে দেখা যায়। তিনি হালকা রঙের, এবং প্রায়শই তাকে পদ্মের উপর উপবিষ্ট দেখা যায়।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে তিনি ভক্তদের পরিত্রাণ, শক্তি, সমৃদ্ধি এবং ধন দিয়ে পুরস্কৃত করেন। তিনি নিরক্ষরকেও জ্ঞানের সাগর দিতে পারেন যদি সে তার পূজা করে। স্কন্দমাতা যিনি সূর্যের তেজের অধিকারী, তাঁর ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। যে তার প্রতি নিঃস্বার্থভাবে নিবেদিত, সে জীবনের সমস্ত কৃতিত্ব এবং ধন অর্জন করে। স্কন্দমাতার আরাধনা একজন ভক্তের হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে।
তার পূজা করার সময়, ভক্তের তার ইন্দ্রিয় এবং মনের উপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। তার উচিত নিজেকে জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্ত করে একমুখী ভক্তির সাথে তার পূজা করা। যখন ভক্ত তার পূজা করে, তখন তার কোলে থাকা পুত্র ভগবান স্কন্দ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূজা পেয়ে যান। এইভাবে, ভক্ত ভগবান স্কন্দের কৃপা সহ স্কন্দমাতার কৃপা একসঙ্গে পেয়ে যান।
যদি একজন ভক্ত তার স্বার্থহীনতার উপাসনা করেন, মা তাদের শক্তি এবং সমৃদ্ধি দিয়ে আশীর্বাদ করেন। স্কন্দমাতার উপাসনাকারী ভক্তরা ঐশ্বরিক মহিমায় জ্বলজ্বল করেন। তার উপাসনা পরিণামে পরিত্রাণের সহায়ক। তিনি “আগুনের দেবী” নামে পরিচিত।