-
দূর্গা পুজো হয়ে গেল?
Audio File Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
নবরাত্রীতে মায়ের পুজো
মা শৈলপুত্রীকে পুজো দিয়ে।
দ্বিতীয়াতে মায়ের পুজো
মা ব্রহ্মচারিণীকে সঙ্গে নিয়ে।
এরপরে মা চন্দ্রঘন্টা
তারপর দিন মা কুষ্মান্ডমাতার পুজো হলো।
তারপরে মা স্কন্দমাতা
তারও পরের দিন মা কাত্যায়নির পুজোয় কাটলো।
সপ্তমীর দিন আমরা মাতি
মা কালরাত্রীর পুজোর সঙ্গে।
মা মহাগৌরীর পুজো হলো
অষ্টমীর দিন মহা আনন্দে।
মা সিদ্ধিদাত্রীর পুজো নবমীতে
অষ্টসিদ্ধির আশা নিয়ে।
নবমীর এই রাত পেরোলেই
মা যাবেন কৈলাশের পথ দিয়ে।
তাই মন খারাপ সকলের
এবারের মতো দূর্গাপুজো শেষ।
এইতো সেদিন শুরু হোলো
এরমধ্যেই সব হয়ে গেল নিঃশেষ।
মাগো তুমি আবার এসো
পরের বছর ঠিক সময়ে।
আমরা সবাই বুক বাঁধি আজ
মনের এই আশা সঙ্গে নিয়ে।
-
দূর্গা পুজো হয়ে গেল?
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
নবরাত্রীতে মায়ের পুজো
মা শৈলপুত্রীকে পুজো দিয়ে।
দ্বিতীয়াতে মায়ের পুজো
মা ব্রহ্মচারিণীকে সঙ্গে নিয়ে।
এরপরে মা চন্দ্রঘন্টা
তারপর দিন মা কুষ্মান্ডমাতার পুজো হলো।
তারপরে মা স্কন্দমাতা
তারও পরের দিন মা কাত্যায়নির পুজোয় কাটলো।
সপ্তমীর দিন আমরা মাতি
মা কালরাত্রীর পুজোর সঙ্গে।
মা মহাগৌরীর পুজো হলো
অষ্টমীর দিন মহা আনন্দে।
মা সিদ্ধিদাত্রীর পুজো নবমীতে
অষ্টসিদ্ধির আশা নিয়ে।
নবমীর এই রাত পেরোলেই
মা যাবেন কৈলাশের পথ দিয়ে।
তাই মন খারাপ সকলের
এবারের মতো দূর্গাপুজো শেষ।
এইতো সেদিন শুরু হোলো
এরমধ্যেই সব হয়ে গেল নিঃশেষ।
মাগো তুমি আবার এসো
পরের বছর ঠিক সময়ে।
আমরা সবাই বুক বাঁধি আজ
মনের এই আশা সঙ্গে নিয়ে।
-
মা কুষ্মাণ্ডা
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
মা কুষ্মাণ্ডা পার্বতীর অবতার
গ্রহ সূর্য
অস্ত্র পদ্ম, চক্র, কমণ্ডলু, তীর, ধনুক, গদা, অক্ষমালা, সুধা ও রুধিরপূর্ণ ঘট
বাহন সিংহ
সঙ্গী শিব
নবদুর্গার চতুর্থ রূপ কুষ্মাণ্ডা। নবরাত্রি উৎসবের চতুর্থ দিনে তার পূজা করা হয়।
দেবীর এইরকম অদ্ভুত নাম কেন? ‘কু’ শব্দের অর্থ কুৎসিত এবং ‘উষ্মা’ শব্দের অর্থ ‘তাপ’; ‘কুষ্মা’ শব্দের অর্থ তাই ত্রিতাপ বা দুঃখ–দেবী জগতের দুঃখ গ্রাস করে নিজের উদরে ধারণ করেন, তাই তার নাম ‘কুষ্মাণ্ডা’
স্বামী অচ্যুতানন্দের ভাষায়, “যেমন মহাদেব সমুদ্রমন্থনের সময় সমস্ত হলাহল পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন, তেমনি জগজ্জননী দুর্গা আদ্যাশক্তি জগতের সর্বপ্রকার জ্বালা-যন্ত্রণার হাত থেকে সন্তানদের সর্বদা রক্ষা করতে করুণায় দ্রবীভূত হয়ে স্বেচ্ছায় সব তাপ নিজের শরীরে গ্রহণ করেন। দূরিতবারিণী–‘ত্রিতাপহারিণী’ মায়ের নাম তাই কুষ্মাণ্ডা।
দেবী কুষ্মাণ্ডা ত্রিনেত্রা অষ্টভুজা –তাঁর ডান দিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে পদ্ম, বাণ, ধনুক ও কমণ্ডলু; এবং বাঁদিকের চার হাতে থাকে যথাক্রমে চক্র, গদা, অমৃতপূর্ণ রুধিরাপ্লুত ঘট ও জপমালা। তাঁর বাহন সিংহ।
নবরাত্রির চতুর্থ দিনে সাধক তাঁর মনকে অনাহত চক্রে রেখে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজা করেন। দেবীর পূজায় রোগশোক দূরীভূত হয়; ভক্ত আয়ু, যশ, বল ও আরোগ্য লাভ করেন। মনে করা হয়, দেবী কুষ্মাণ্ডা অল্প পূজাতেই সন্তুষ্ট হন। তাঁর পূজায় কুষ্মাণ্ড (কুমড়ো) বলি দেওয়ার রীতি আছে।
কাশীতে দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্দির বিখ্যাত। কাশীতে তিনি দুর্গা নামেই সমধিক পরিচিতা। তিনি কাশীর দক্ষিণ দিকের রক্ষয়িত্রী। কাশীখণ্ডে রয়েছে, অসি নদীর সঙ্গমস্থলে কুষ্মাণ্ডার অধিষ্ঠান। দেবীর মন্দিরটি বেশ বড়ো ও বহুচূড়াবিশিষ্ট। লাল পাথরের তৈরি সুদৃশ্য এই মন্দিরের কাছেই কাশীর বিখ্যাত তীর্থ দুর্গাকুণ্ড।
এই মন্দিরে হিন্দুধর্মে অবিশ্বাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবী কুষ্মাণ্ডার পশ্চিমমুখী দুই হাত উঁচু বিগ্রহটি অবস্থিত। কাশীতে একমাত্র এই মন্দিরেই নিয়মিত বলিদান হয় (এছাড়া কালরাত্রি মন্দিরে বছরে একবার বলি হয়)। শারদীয়া ও বাসন্তী নবরাত্রির চতুর্থীর দিন এই মন্দিরে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।