• || চড়কের মেলা ||
    Poetry

    || চড়কের মেলা ||

    Audio File

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Charaker Mela

    চৈত্র্য সংক্রান্তিতে চড়কের মেলা

              একটা বড় মাঠে বসেছে।

    মাঝখানে বিরাট গাছের খুঁটি করে

          ওপরে লম্বা বাঁশ বাঁধা আছে।

    একটু পরে সন্যাসীরা ওই

               বাঁশে নিজেদের বেঁধে ঘুড়়বে।

    চারিদিকে কত মানুষ তাদের

               বিভিন্ন পসরা নিয়ে এসেছে।

    ওখানে গরম গরম জিলিপি সবাই

                ভীড় করে খাচ্ছে।

    পাশে পাপড়ের দোকানে বড়রা পাপড় কিনে

           ছেলেমেয়ের হাতে একটা করে ধরিয়ে দিচ্ছে।

    তার পাশেই একটা মাটির পুতুলের

                     দোকান হয়েছে।

    বিভিন্ন দেব-দেবীর অনেক মূর্তি আর

           ছোট ছোট সুন্দর পুতুল আছে।

    একটা বাচ্ছা মেয়ে অনেকক্ষণ ধরে

               একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে।

    কত ছেলেমেয়েরা বড়দের সঙ্গে এসে

         কোনোও পুতুল বা মূর্তি কিমে নিয়ে যাচ্ছে।

    সেই বাচ্ছা মেয়েটি সব দেখছে

              দূর থেকে তাকিয়ে তাকিয়ে।

    কিন্‌তু তার সাহস হচ্ছে না দোকানদারের

            সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে গিয়ে।

    দোকানদার দেখতে পেয়েছে

                 দাঁড়িয়ে থাকা বাচ্ছা মেয়েটাকে।

    মেয়েটির মায়াবী মুখ দেখে

                 সে তাকে হাত নেড়ে ডাকে।

    ʼতুমি কিছু কিনবেʼ?

                       ʼদেখছো দাঁড়িয়ে অনেকক্ষন ধরে ʼ।

    ʼআমার কাছে তো বেশী পয়সা নেইʼ,

                         ʼতাই কিনবো কেমন করেʼ?

    ʼতোমার কি পছন্দ বলোʼ

                     ʼআমি তোমায় কম দামে দেবʼ।

    ʼদেখ আমার ভিক্ষা করে পাঁচ টাকা হয়েছেʼ

                           ʼতাতে মুড়ি কিনে খাবʼ।

    ʼআর তো পয়সা নেইʼ,

                       ʼতাই কিনবো কেমন করেʼ?

    দোকানদারের খুব মায়া হয়

                                মেয়েটার ওপরে।

    সে বল্ল, ʼতোমার কি পছন্দ বলোʼ,

                   ʼআমি এমনিই দেব তোমাকেʼ।

    ʼআমার ওই নাড়ু গোপাল চাইʼ,

                          ʼদেবে আমাকেʼ?

    ʼকি করবে  তুমি নাড়ু গোপালেরʼ

                                           ʼমূর্তি নিয়েʼ।

    ʼআমি পুজো করবো গোʼ

                      ʼওই বাগানের ফুল দিয়েʼ।

    দোকানদার তাকে

                   নাড়ু গোপালের মূর্তিটা দিয়ে দেয়।

    ʼএকটু দাঁড়াও, আমি আসছিʼ, বলে পাশের দোকান থেকে

                     মেয়েটিকে পাউরুটি আর ঘুঘনি এনে দেয়।

    মেয়েটি খাবার পেয়ে

                           গোগ্রাসে খেয়ে তা শেষ করে দেয়।

    তারপর পাশের দোকান থেকে হাত ধুয়ে

                           নাড়ু গোপাল হাতে নিয়ে চলে যায়।

    দোকানদার মনে মনে ভাবে

           এই সওদাতে হʼল না কোনোও রোজগার।

    কিন্‌তু মনে হচ্ছে

                      লাভ হʼল দেদার।