• দামাল হাতীর রসগোল্লা সাবাড় করা
    Poetry

    দামাল হাতীর রসগোল্লা সাবাড় করা

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    এটি একটি

                       সত্যি খবর ।

    হ্যাঁ, খবরটিও

                    দারুন জবর ।

    এক দামাল হাতী

             এক দোকান ভেঙ্গে ঢুকে পরে ।

    তার আগে সে দোকান ঘরটি

                  রাত দুটোয়  ভেঙ্গে চুরমার করে ।

    এটি মাদারিহাটের অশ্বিনীনগরে

                একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকানে হলো ।

    এক বিয়ে বাড়ীর বরাত পেয়ে

                  সেখানে নানান মিষ্টান্ন আইটেম তৈরী ছিল ।

    মিষ্টির দোকানে ঢুকে হাতী দেখতে পায়

                   রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ ও কমলাভোগ ।

    চেটেপুটে সে সাবাড় করে এক একটি পাত্র

                            শুরু করে তার রাত্রের ভোগ ।

    পরদিন সকালে এ সব দেখে

                           মিষ্টি ব্যাবসায়ী তো কেঁদে আকুল ।

    পঞ্চাশ হাজার টাকা চলে গেল

                                 মনটা তার টাকার জন্য হলো ব্যাকুল ।

    ব্যাকুলতা আরও বাড়িয়ে দিল

                         বিয়েবাড়ীর ডেলিভারির চিন্তা ঘিরে ।

    কয়েক ঘন্টায় সব আইটেম

                       নতুন করে হবে কেমন করে ।

    পরে ঐ চোর হাতীর খবর

                             ব্যাবসায়ী জানতে পারে।

    সে ঐ  দিনে ছটি বাড়ী ও তিনটে দোকান ভেঙ্গে

                               তার ডিনারে সে উদরগূর্তি করে।

    ক্ষতিটা তো সত্যিই অনেক বড়

                                 ব্যাবসায়ী পরে বলে ।

    কিন্তু সেই ডেলিভারী দিতে তার হয়েছে

                    নাকের জলে আর চোখের জলে ।

    অসমাপ্ত ক্ষুদা নিবৃত্তিতে

                                   হাতীর ক্ষুদার তাড়ণায় ।

    যাবার আগে সে ভেঙ্গে ফেলে

         সামনের লোহার সার্টারটা রাগের জ্বালায় ।

  • রাজা ও রানীর গল্প – চতুর্থ পর্ব
    Poetry

    রাজা ও রানীর গল্প – চতুর্থ পর্ব

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    ক্রমে দুজনের মন শান্ত হয়

                              কারন দুজনেই জেনেছে ট্রান্সফার হতে অন্ততঃ এক বছর  |

    এদিকে দু-অফিসের কলিগরা জেনেছে

                                         পরস্পরের অনুরাগের খবর |

    ক্রমে সেই খবর ছড়িয়ে পরে ওদের বসেদের কাছে

                                   আর তারপর ওদের বাবা-মারাও জানতে পারে |

    তাই দুদিকের বসেরা মিলে ঠিক করে

                                   রাজাকে মুম্বাই পাঠাবে প্রোমোট করে |

    নতুন এক প্রোজেক্টের কোঅর্ডিনেটর হয়ে

                                         রাজা মুম্বাই অফিসে জয়েন করে |

    রানী যে প্রোজেক্টে ছিল

                                  সেখানেই সে কনটিনিউ করে |

    ওদের রোজই দেখা হয়

                             অফিসের কাজের পরে |

    সেটা বেশীভাগ দিন একই সময়ে হয় না

                           তাই একজন অন্যজনের জন্য ওয়েট করে |

    দুই কপোত-কপতির প্রেমালাপে

                              অফিসের কলিগরাও সঙ্গ দেয় |

    তাই ডিনারটা রোজই

                         কোনও একটা হোটেলেই করতে হয় |

    কিন্তু ক’দিনের মধ্যেই ওরা বোঝে

                            এমনি করে রোজ হোটেলে ডিনার চলবে না |

    বাইরের স্পাইসি খাবার খাওয়া

                                  আর এত সময় ন্স্ট করা ঠিক হচ্ছে না |

    তাই তারা ঠিক করে

                             মাঝেমাঝে বাইরে খাবে |

    অনান্য দিন নিজেদের মেসে

                           পছন্দের খাবার খাবে |

    বেশ কয়েক মাস কাটে

                              এইভাবে কষ্ট করে |

    এবারে ওরা ঠিক করে

                             একসঙ্গে থাকবে বিয়ে করে |

    মাস ছয়েক পরে

                     ওরা বিয়ের দিন ঠিক করে |

    দু-বাড়ীর আত্মীয়রা আসে

                       বিয়ের বাকী ব্যবস্থা করে |

    এরপর ওদের ধুমধাম করে

                                মুম্বাই তে বিয়ে সম্পন্ন হয় |

    আর আমার কথাটি শেষ করে

                                   গল্পের নটে গাছটিও  মুড়িয়ে যায় |

  • ভাল ছেলে – ব্যাচিলর নাম খন্ডন (চতুর্থ ভাগ)
    Poetry

    ভাল ছেলে – ব্যাচিলর নাম খন্ডন (চতুর্থ ভাগ)

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    বিয়ের সানাই বাজলো এবার

            সন্ধ্যা বসবে বিয়ের পিঁড়িতে।

    গ্রামের মানুষ সবাই খুশী

             মাস্টারমশাইয়ের বিয়েতে।

    সবাই বলে হারানকে

              ভোজ কবে খাব ভাই?

    মিস্টি খাব যত খুশি

              ব্যবস্থা করা চাই।

    বিয়ের দিনটা ঠিক করতে

                পুরোহিত মশাই আসে।

    গ্রামের সবাই এগিয়ে আসে

                বিয়ের ব্যবস্থা করতে।

    সন্ধ্যার বাবা সন্ধ্যাকে বলে

                 বাড়ী থেকে না বেরুতে।

    বিয়ের আগে হবু বরের সঙ্গে দেখা হওয়া

             ঠিক নয় বলে পরশিতে।

    সন্ধ্যার মনে হারানকে দেখার আগ্রহ

             তার মনকে ব্যাতিব্যস্ত করে।

    ওদিকে হারানও সেই একই বেদনা

              মনে মনে অনুভব করে।

    বিয়ের দিনে হইচই

            সবাই ব্যস্ত লালাল কাজে।

    তারাই আবার নিমত্রিত অতিথি, তাই কাজ চলে

             উপহার আর ভোজ খাওয়ার মাঝে।

    সবার মুখে হাসির ছʼটা

                          সব্বাই খুশি এই বিয়েতে।

    ষীশু আর বন্যাও

                  নতুন মাকে নিয়ে আনন্দে মাতে।

    খন্ডন হলো ব্যচিলার নামটা

                 পরিপূর্ণ হলো প্রেমের পথে যাওয়া।

    নর-নাারীর  এই প্রেম খেলাতে

                  বিয়ে হলো জেতার ফলক পাওয়া।

    হারান ভালো কাজের সঙ্গ দিয়ে

                        সার্থক করলো তার জীবন।

    অনাথ ছেলেমেয়েরা মাকে পেয়ে

               তাদের জীবনে হলো শূন্যস্থান পূরন।

    পজিটিভিটির সুঘ্রাণে তৃপ্ত হয়

                               গ্রামের নানুষজন।

    দেবতা এসে ভরিয়ে ধন

                           সেই সব মানুষের জীবন।

  • || বাড়ী, বিয়ে, সন্তান ও গাড়ী থেকে দূরে থাকুন  ||
    Poetry

    || বাড়ী, বিয়ে, সন্তান ও গাড়ী থেকে দূরে থাকুন ||

    Audio File

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Bari, Biye, Santan, o Gari theke Dure Thakun

    একটি দেশে বয়েস পঁয়ত্রিশ হলে

             চাকরী চলে যেতেই পারে।

    ষাট বছরের রিটায়ারমেন্ট এজ

             কমে পঁয়ত্রিশ হতেই পারে।

    তাই বিয়ে, সন্তান

              গাড়ী, বাড়ী এসব নয় এখন।

    চাকরী বাঁচাতে পারলে আবার

              তারা ভেবে দেখবে তখন।

    এসব নিয়ে হচ্ছে এখন

              নানান দেশে আন্দোলন।

    পরে কি হবে, বলা যায় না

              মন্তব্য নিস্প্রোয়োজন।

  • || ফলের আশা || 
    Poetry

    || ফলের আশা || 

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Faler Aasha

    মহাভারতে অর্জুনকে শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ –

    ফলের কোনোও অধিকার তোমার নেই

               তোমার অধিকার কর্মে – তুমি সেটি করে যাও।

    ফলটি দেবার অধিকার যাঁর, তিনিই দেবেন

                তুমি সময় হʼলে ফলটি পাও।

    মানুষ সব সময়ই ফলের জন্য ভাবে এবং

                                   মনটা ভারাক্রান্ত করে।

    কবে তার কাজের ফলটি পাবে

                                   সেটা ভেবেই সে মাথা খোঁড়ে।

    জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ –

                   এ সবগুলোই মানুষের হাতের বাইরে।

    মানুষ কখনও কখনও ভাবে যে

                   এগুলো সে কন্ট্রোল করতে পারে।

    মানুষ চেষ্টাও করে এ তিনটিকে

                            তার হাতের মধ্যে আনতে।

    কাজ করে সে এটা নিয়ে

                            ভাবে, এসব আমার সামর্থ্যে।

    আমরা দেখি

                   দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ জন্মায়।

    আবার কোনও এক গরীব ঘরে

                   বিশ্ববিখ্যাত বৈজ্ঞানিকের জন্ম হয়।

    মহাভারতে ভীষ্মের ইচ্ছামৃত্যু

                                      দেখা যায়।

    কিন্তু সাধারণ ভাবে সত্যিই কি কারো

                                     ইচ্ছামৃত্যু হয়?

    যদিও কিছু কিছু মণীষির মৃত্যু শোনা যায়

                             যে তাঁদের ইচ্ছামৃত্যু হয়েছে।

    সেসব নিয়ে প্রামাণ্য তেমন কিছু নেই

                              তাই সেসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

    তাই সাধারণ ভাবে ইচ্ছামৃত্যু

                                      সম্ভব নয়।

    মানুষের জীবনের দিন শেষ আসলে

                                   তার মৃত্যু হয়।

    তেমনই জন্ম মানুষের হাতে

                                 সবটুকু আছে কি?

    ছেলে বা মেয়ে কে জন্মাবে

                                 তাও জানা যায় কি?

    একই রকম ভাবে বিবাহও

                          সবটুকু মানুষের হাতে নেই।

    অনেক সময়ে অনেকের পছন্দসই বিবাহ

                     ভেঙ্গে যায় কিছু সময় পরেই।

    আবার পাত্র-পাত্রীর প্রথমে অপছন্দ হলেও

    পরবর্তীকালে তাদের ভালবাসা গভীর হয়।

    আগের জেনারেশনে বিয়ে হতো

                              বাবা-মা বা গুরুজনদের মতে।

    এ জেনারেশনে ছেলেমেয়েদের মনে হয়

             তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারে তাদের জীবন সঙ্গীকে।

    এটা কতটা ঠিক বা কতটা ভুল

                                  সেটা সময়ই বলবে।

    এ নিয়ে অনেক পরিবারে অশান্তি আছে

                                   সেটাও হয়ত চলবে।

    শেষে বলি

                   সেই প্রবাদ বাক্য –

    জন্ম মৃত্যু বিয়ে

                     তিন বিধাতা নিয়ে।