• || মন কি বলে? ||
    Poetry

    || মন কি বলে? ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Mon ki bole?

    মন তো বলে

         সব সময় ভালো কাজ করে যাও।

    মনের ইচ্ছা হয়

         সবারই মনগুলো ভালো করো দাও।

    কিন্‌তু বাস্তবের ঝামেলায় পড়ে

           মনের ইচ্ছামতো কাজ তো হয় না।

    মন বলে, এসব কোরোনা, এসব কোরোনা,

              এটাই হয় তখন মনের বায়না।

    মন যখন ভাবে,

            এখন একটু মজা করলে কেমন হয়।

    কিন্‌তু অনেক সময়েই

              বাস্তবিক ক্ষেত্রে উল্টোপাল্টা হয়।

    মন ভাবে, আজ সকালে

        মর্নিং-ওয়াকে তাড়াতাড়ি ফিরে এলে হবেনা।

    কিন্‌তু একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হয়

              মর্নিং-ওয়াকে যাওয়াই হয়না।

    এমনি করে মনের চিন্তা আর বাস্তবিক কাজে

               ফারাক থেকে যায়।

    এসব থেকে মনটা চুপ করে থাকলেও

               সেটা যে খারাপ হয়ে যায়।

    আবার অনেক সময় মনের হিসেব মতো

                 বাস্তবের কাজগুলো হয়।

    তখন খুশিতে মন উদাসী হাওয়ায়

                   পাখা মেলতে চায়।

    মন উল্টোপাল্টা বায়না করলে

             বুদ্ধি মনকে শান্ত করে।

    মনকে বুদ্ধি বোঝায়, ওই কাজের ফল ঠিক হবেনা,

         তাই সে তার বায়না ছাড়িয়ে হাল ধরে।

    প্রকৃতির সৌন্দর্য্য যেখানে অপার

           সেখানে শিশুমন আসে ফিরে,

    মন প্রকৃতির সৌন্দর্যের উপলব্ধি নিয়ে

                  খুশিতে ওঠে ভরে।

    প্রকৃতির ব্যাপকতা দেখে

      মন নিজেকে দেখে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্রের মতো।

    নিজের ক্ষমতা ও শক্তিকে দেখে

               ধুলোকণার ক্ষমতা যত।

    নদীর স্রোত বড় বড় বোল্ডারকে

                বয়ে নিয়ে যায় অবলীলায়।

    স্রোতের শক্তি দেখে মন আশ্চর্য্য হয়,

              প্রকৃতির অসীম ক্ষমতায়।

    তবে মনটা ভালো রেখে

         যে শান্তিতে জীবন নির্বাহ করে,

    পৃথিবীটা তার কাছে

                স্বর্গ হয়ে পরে।

  • || হাসতে ভুলে গেছেন ? ||
    Poetry

    || হাসতে ভুলে গেছেন ? ||

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Haste Bhule Gachen

    আমি তো হাসতে ভুলে গেছি

                কত দিন কে জানে?

    কেন হাসবো এ কথার

                উত্তর কি আছে মনে?

    হাসির কথা হলে

                 হাসি পেতে পারে।

    কিন্‌তু কে বলবে হাসির কথা

                 যাতে হাসির উদ্রেগ হতে পারে?

    ছোটোবেলায় কথায় কথায়

                  মুখে আসতো হাসি।

    তখন চোখে থাকতো অপার জিজ্ঞাসা

                    আর মনে থাকতো হাসি।

    সবার মতো আপনি, আমি, আমরা সবাই

                        হাসতে ভালবাসি।

    তাও আমরা সুকুমার রায়ের

                   ʼরাম গড়ুড়ের ছানাʼর মতো আছি।

    লাফিং ক্লাবের লোকেদের

                                   অনেকের অনেক দুঃখ থাকতে পারে।

    তবু তারা একটা সময়ে

                      সবাই মিলে এসে হাসা প্রাকটিস করে।

    মনটা ভারী কেন?

                           কি আছে ঐ ভারে?

    নানান সমস্যা, নানান না পাওয়ার দুঃখ

                          এসবই ঠেসে ভরা?

    সমস্যাগুলো যদি এক জায়গায় লেখা যায়

                           আর দুঃখগুলো যদি বাদ দেওয়া যায়,

    তাহলে বোধহয় ভার

                               অনেকটা পরিস্কার হয়ে যায়।

    সমস্যাগুলো যা নিজের হাতে

                            সেগুলো প্লান করে ঠিক করা যেতে পারে।

    যেগুলো নিজের হাতের বাইরে

                  সেগুলো সত্যিই ভুলে যাওয়া যেতে পারে।

    তাহলে মনটা ফাঁকা হলো তো?

    মনের মধ্যে ঢেঁড়া পিটিয়ে বলুন,

    মনটা ফাঁকা হলো, মনটা ফাঁকা হলো

    মনটা ফাঁকা হলো।

    এবারে মনে মনে হাসির কথা ভাবুন।

    মন পুরোটা

            হাসির আইটেমে ভর্ত্তি।

    দেখুন এবারে কত হাসি আসছে

             আর মনে কত ফুর্তি।

  • || মন  ||
    Poetry

    || মন  ||

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Mind

    সবসময় ভালো কাজে

                 মন সাড়া দেয় না।

    নানান ওজর আসে চলে

                  নানান রকম বায়না।

    মর্নিং ওয়াকে যাব কি করে

                     ভাল ঘুম না হলে?

    কিম্বা জুতো ভিজে, অন্যটা টাইট

                পায়ে ব্যাথা হবে এর ফলে।

    সিঙ্গারা আজ কিনেই ফেলি

                 একদিন খেলে হবে কি?

    ডাক্তারের নিষেধ জানি

                 মনটা আসলে মানবে কি?

    মেয়ে আসছে না আজ

               ফ্লাইটের টিকিট পায়নি।

    কি করবো এই সিনেমার টিকিট নিয়ে

           ওকে ছাড়া তো যেতে চাইনি।

    আর্সেনেল-ম্যানচেস্টার

                খেলা দেখবো আজ।

    তাড়াতাড়ি শোয়া দরকার ছিল

                 আগে করেছি কাজ।

    পরীক্ষা আছে কালকে

                রিভাইস করা মাস্ট।

    সময় কোথায় যে বই খুলি

               টিভিতে হচ্ছে টেলিকাস্ট।

    বিয়ে বাড়ীর নেমন্তন্নে

                 স্যুটটাই কি পড়তে হবে?

    পাজ্ঞাবী-পাজামা পড়তে মন চায়

                 কি করি এবার বলুন তবে?

    বিয়ে বাড়ীর কাজের শেষে

              আমি খুব টায়ার্ড।

    বন্ধুর বাসরে গান গাইতেই হবে

               যতই হোক এবসার্ড।

    অনেক সময় আমরা করি

             বুদ্ধি বলে যা করতে।

    মনের ইচ্ছা অন্যরকম

             থাকে সেটা মনেতে।

    তাই মনটা বাঁধ ডিসিপ্লিনে,

          তার বাউন্ডারীটা বেঁধে দাও।

    নইলে পরে কষ্ট হবে

          যদি মনের কথা শুনে যাও।

  • ।। চকচকে ছবি ।।
    Poetry

    ।। চকচকে ছবি ।।

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Chakchake Chobi

    ছবি আঁকতে বসলাম। কি ছবি?

    আমার দেখা পুরোনো ছবি।

    পুরোনো পিকচার ফ্রেমের মতো

    ধুলো পরে আছে সেই সব অতীতে।

    আমার দেখা ছবি।

    আমার সেই সব পুরোনো ছবি।

    ওটা কি সেরা ছবি? তা বলা যায় না।
    অতীতে কোদাল চালিয়ে,

    তাকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করতে হবে।

    এটাই মনের বায়না।

    প্রথমে ট্রেন, তারপর গাড়ী।

    যাচ্ছি হায়দারাবাদ থেকে পুরী।

    পুরী  পৌঁছোলো বিকেল বিকেলে।

    নেমে দেখি সামনে মহাসমুদ্র।

    আামার সঙ্গে আমার বোনেরা।

    সঙ্গে নাটকের কলাকুশলীরা।

    নামকরা নাট্যদলের সঙ্গী আমি।

    শো ছিল হায়দারাবাদে,

    সেখান থেকে ফিরছি বাড়ী।

    বাড়ীর পথে পুরী।

    সেদিন আবার দোল।

    রাস্তায় এখানে সেখানে রঙ পরে।
    সামনে বিরাট সমুদ্রের হিল্লোল।

    কেউ কেউ সোজা ছুট দিলো,

    সমুদ্রে পা ভেজাতে।।

    কেউ কেউ স্নানের সামগ্রী নিয়ে চললো,

    সমুদ্রে স্নান করতে।

    আমরা ভাইবোনেরা ঠিক করলাম,

    স্নান করবো না।

    আমাদের একটাই সুটকেশ।

    তার চাবি ভেতরে রেখে, বন্ধ টেপা তালা।

    তাই আমাদের জামা কাপড় না পাওয়ার কি জ্বালা।

    সমুদ্রে পা ভিজিয়ে একটু আধটু খেলা।

    এই হলো আমাদের সমুদ্র- স্নান ঐ বিকেলবেলা।

    তারপর ছবি। বিভিন্ন রকম, বিভিন্ন কায়দায়।.

    প্যাকেটে খাবার এলো।

    সুকনো বালির ওপরে বসে তা সাঙ্গও হোলো।

    ততক্ষণে সূর্য্যদেব বাড়ী যাবার পথে।

    অসাধারণ সে ছবি।

    গোধূলী আলোয় আকাশটা মোড়া।

    জলের ঢেউগুলোতে প্রতিফলনে রোশনাই।

    মনের ক্যামেরাতে সে ছবির জবাব নাই।

    আমাদের পোট্রেটগুলো হারিয়ে গেছে।

    কিন্‌তু মনের ক্যামেরার ছবিটা জ্বলজ্বল করছে।

    এবার ফেরার পালা।

    একে একে সবাই গাড়ীতে ফেরে।

    তারপর আমরা চললাম পুরী ছেড়ে।

    সেই গাড়ী, আবার ট্রেন।

    ট্রেনে ঘুমিয়ে, উঠে দেখি হাওড়া স্টেশন।

    গাড়ী করে বাড়ী একটু পরেই।

    এ ছবিটা এইটুকুই।

    একটু আধটু ভেঙ্গে গেছে কোদালে।

    তা হোক, এটাতো মনের মণিকোঠায় রাখা।

    চকচক করছে এটা, অন্য স্মৃতির মধ্যে ঢাকা।

  • ।। মন  খারাপ l।
    Poetry

    ।। মন  খারাপ l।

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Mon Kharap

    মন ভাল নেই মনটা খারাপ।

               কি যে করি এখন।

    শরীরটাও তো কেমন কেমন

               বুড়ো মানুষের মতন।

    বুড়ো মানুষ নই তো আমি

                বয়স পেরোলো সত্তর।

    এই তো সেদিন স্কুল পেরোলাম

                 এক্ষুনি এই মাত্তর।

    স্কুল পেরিয়ে কলেজ গেলাম

                  অঙ্ক নিয়ে পড়তে।

    শেষ করে তো ইউনিভারসিটি

               আরেকটু বেশী জানতে।

    এসব করে ভাবতে বসি

               কি করা যায় এখন।

    ডক্টরেটটা করলে কি

              চাকরি পাব মনের মতন।

    মনের টানে কম্পিউটার সায়ান্সে

                  পড়াশুনা শুরু করি।

    শেষ করে তা ইউনিভারসিটির

                 অধ্যাপনায় হাতে খড়ি।

    শুরু হয় এরপর কম্পিউটার সায়ান্সে

                  পি এইচডির কাজ।

    একমাএ ছেলের দায়িত্বে

           চাকরি দরকার মনে হʼল আজ।

    মাথায় তখন একটাই চিন্তা

                                পি এইচ ডি আর চাকরি।

    একসঙ্গে চালাতে হবে

                এটা ভীষন দরকারি।

    বানিজ্যিক সংস্হায়

                 কাস্টমার সাপোর্টের কাজ।

    সিরিয়াস প্রফেসনলের ছুটির পরে তাই

             মাথা জুড়ে সেই চিন্তা আজ।

    পি এইচ ডির কাজ পিছিয়ে পিছিয়ে

                  শেষমেষ হʼল ভন্ডুল।

    ডক্টরেট পাওয়া অধরাই থাকে

                                  মন চাকরি নিয়েই মসগুল।

    উন্নতি হয় চাকরির

                               ছোটো থেকে অনেক ওপরে।

    বেস্ট প্রফেসনলের তকমা নিয়ে

                নেপাল ভ্রমণ পুরস্কারে।

    একটা থেকে অন্য সংস্থায়

                সেখান থেকে অন্য।

    কাজের নেশায় ছুটে বেড়াই

                সবাই করে ধন্য ধন্য।

    ইনডাসট্রি থেকে এডুকেসন

                  অবাধ গতি এল।

    অধ্যাপনায় শুরু করে

               অধ্যাপনাতেই শেষ হʼল।

    চুলের রঙ সাদা হʼল

                               আর আমি হলাম রিটায়ার্ড।

    বেকার লোকের দলে মিশে

                                     আমি এখন টায়ার্ড।

    এসব ভেবে মন ভাল নেই

                                    মাথাটাও একটু ধরেছে।

    আরও কতকি করার ছিল

                                     সেই সব মনে পড়ছে।

  • ।। ফিরে  দেখা জীবন  l।
    Poetry

    ।। ফিরে দেখা জীবন l।

    Audio File

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Mon Kharap

    মন ভাল নেই মনটা খারাপ।

               কি যে করি এখন।

    শরীরটাও তো কেমন কেমন

               বুড়ো মানুষের মতন।

    বুড়ো মানুষ নই তো আমি

                বয়স পেরোলো সত্তর।

    এই তো সেদিন স্কুল পেরোলাম

                 এক্ষুনি এই মাত্তর।

    স্কুল পেরিয়ে কলেজ গেলাম

                  অঙ্ক নিয়ে পড়তে।

    শেষ করে তা ইউনিভারসিটি

               আরেকটু বেশী জানতে।

    এসব করে ভাবতে বসি

               কি করা যায় এখন।

    ডক্টরেটা করলে কি

              চাকরি পাব মনের মতন।

    মনের টানে কম্পিউটার সায়ান্সে

                  পড়াশুনা শুরু করি।

    শেষ করে তা ইউনিভারসিটির

                 অধ্যাপনায় হাতে খড়ি।

    শুরু হয় এরপর কম্পিউটার সায়ান্সে

                  পি এইচডির কাজ।

    একমাএ ছেলের দায়িত্বে

           চাকরি দরকার মনে হʼল আজ।

    মাথায় তখন একটাই চিন্তা

                    পি এইচ ডি আর চাকরি।

    একসঙ্গে চালাতে হবে

                এটা ভীষণ দরকারি।

    বানিজ্যিক সংন্থায়

                 কাস্টমার সাপোর্টের কাজ।

    সিরিয়াস প্রফেসনলের ছুটির পরে

             মাথা জুড়ে সেই চিন্তা আজ।

    পি এইচ ডির কাজ পিছিয়ে পিছিয়ে

                   শেষমেষ হʼল ভন্ডুল।

    ডক্টরেট পাওয়া অধরাই থাকে

                         মন চাকরি নিয়েই মসগুল।

    উন্নতি হয় চাকরির

                               ছোটো থেকে অনেক ওপরে।

    বেস্ট প্রফেসনলের তকমা নিয়ে

                নেপাল ভ্রমণ পুরস্কারে।

    একটা থেকে অন্য সংস্থায়

                সেখান থেকে অন্য।

    কাজের নেশায় ছুটে বেড়াই

                সবাই করে ধন্য ধন্য।

    ইনডাসট্রি থেকে এডুকেসন

                   অবাধ গতি এল।

    অধ্যাপনায় শুরু করে

               অধ্যাপনাতেই শেষ হʼল।

    চুলের রঙ সাদা হʼল

                          আর আমি হলাম রিটায়ার্ড।

    বেকার লোকের দলে মিশে

                                     আমি এখন টায়ার্ড।

    এসব ভেবে মন ভাল নেই

                                    মাথাটাও একটু ধরেছে।

    আরও কতকি করার ছিল

                                     সেই সব মনে পড়ছে।