-
নোবেল জয়ী ডঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা – প্রথম পর্ব
প্রথম পর্ব — প্রকৃতি প্রেম
Audio File:
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
ছোট্ট অভিজিতের লাগত ভালো
প্রখর রোদের তেজ ।
সেলাম ঠুকতো সূর্যদেবকে
পোয়াতো রোদের আমেজ ।
কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হয়
একটু পরেই বৃষ্টি ।
তার সঙ্গে সঙ্গ দেয়
নানান অনাসৃষ্টি ।
জল বিহনে শুকনো মাটির
তৃষ্ণার্ত ডাক শুনে ।
বৃষ্টি তখন ভেজায় তাকে
খেলে আপন মনে ।
দমকা হাওয়ায় মেঘেরা পালায়
অন্য দিকে ভেসে ।
বৃষ্টি থামে, চারিদিক ভরে
ফরসা আলো এসে ।
তৃষ্ণার্ত মাটি শুঁশে নেয় জল
অনেকদিন পর তা পেয়ে ।
সোঁদা গন্ধে ভরে চারিদিক
মাতাল বাতাস নিয়ে ।
ওই সব ছবি মনের আকাশে
আজও জ্বলজ্বল করে ।
সোঁদা গন্ধের সুঘ্রাণ যেন পাই
আছে সে মনের গভীরে ।
আরেকটা স্মৃতি, আরেকটা ছবি
মনের পর্দায় দেখতে পাই ।
ঝড়ের মধ্যে ছুটছি আমি
বাতাবী লেবুর বাগান পেরিয়ে যাই ।
ভারী ভারী বাতাবী লেবু
ছিটকে পরছে এদিক ওদিক ।
ঝড়বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে
ছুটছি আমি দিকবিদিক ।
একটু পরেই ঝড় থেমে যায়
আমিও ছুটি পিছন পানে ।
বাতাবী লেবু আর আম কুড়োনোর মজা
আজও পাই মনে মনে ।
সেই কাঁচা মিঠে আম কেটে
লঙ্কা, চাট মশলা আর কাসুন্দি দিয়ে ,
জিভে জল আসে আজও
সেই সব সুখস্মৃতি ভাবতে গিয়ে ।
বি: দ্র: – এটি ডঃ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাদ্যপীঠ রচনা থেকে অনুসৃত
-
মা দূর্গার এবারের আগমন ও গমন
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
By Which Vehicle Ma Durga is Coming & Going
মা দূর্গার এবারে আগমন
সবাই মিলে নৌকা চড়ে।
তাই বৃষ্টি হবে ভালই এবার
চাষও হবে বেড়ে।
সবার মজা এই পুজোতে
সবাই আনন্দে মাতে।
মায়ের প্রসাদ আর নানান খাবার
তাদের পাতে জোটে।
চারদিনের এই পুজোর মজা
বৃষ্টি হলেই মাটি।
পুজোয় আছে নানান কাজ
সঙ্গে খাটাখাটি।
পুজোর কʼদিন বৃষ্টি দিও না মা গো
একটু আধটু চলতে পারে।
এক বছরের অনেক প্ল্যনিং
মাঠে মারা যেতে পারে।
যদিও জানি এই বৃষ্টিতে
জমীর ফসল ভাল হবে।
তাতে মানুষেরই শান্তি হবে
চাষির মুখে হাসি ফুটবে।
তাই পুজোর চারদিন বৃষ্টি ছাড়া
অন্যদিনে বৃষ্টি হতেই পারে।
ভক্তদের এমনই ইচ্ছা
এতে তাদের আশা পূর্ণ করে।
ঘোটকে তোমার গমন আছে
তাই অনেক কিছু ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে।
পৃথিবীতে অনেক পাপ বেড়েছে
কিছু পাপ এর ফলে বিনষ্ট হবে।
এক বছর পরে এলে
পৃথিবীর মানুষদের শান্তি দিও।
তোমার কল্যানময় আশীর্বাদে
মানুষের দুঃখ ঘুচিয়ে দিও।
একটি বছর পরে আবার
আসবে তুমি ছেলেমেয়েদের নিয়ে।
অনেক আনন্দ করবো আমরা
তোমাদের আবার পেয়ে।
-
|| ঝড় ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Jhar
এই কালবৈশাখীর ঝড়ে
উড়িয়ে নিয়ে যাক সব কলুষতা।
যত শুকনো ডালপালা আছে
শেষ হোক সব মলিনতা।
ঝড়ের শেষে-
বৃষ্টি নামুক অঝোরে।
শুকনো ডালে দেখা দিক
সবুজের প্রাণস্পন্দন।
ঝলমলিয়ে উঠুক পৃথিবী,
সর্বত্র হোক দৃষ্টিনন্দন।
মানুষ প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিক,
থাকুক মুখে তার হাসি।
রঙিন এই পৃথিবীর ছবি,
আমরা সবাই ভালবাসি।
-
|| পথের পাঁচালী – এক ||
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Pather Panchali one
দু-এক দিনে
ঘনীভূত বর্ষা শুরু হয়।
পূবের হু-হু করা হাওয়া পশ্চিমে চলে।
খানা ডোবা সব জলে থৈ-থৈ করে।
বাঁশ বনে ঝড়ের তান্ডবে
বাঁশের মাথা সব লুটিয়ে পড়ে।
আকাশের কোথাও ফাঁক নেই
অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।
মেঘের রাশ উড়ে চলে
পূব থেকে পশ্চিমে।
দূর আকাশের কোথায় যেন
চলে দেবাসুরের মহাসংগ্রাম।
কোনোও এক বিরাট দৈত্য সৈন্য
জলস্থল-আকাশ ছেয়ে ফেলে।অক্ষৌহিণীর পর অক্ষৌহিণী অদৃশ্য
রথী মহারথীদের চালনায় ঝড় এগিয়ে আসে।
দেববজ্র আগুন উড়িয়ে নিমেযে বিশাল মেঘকে ছিঁড়ে ফুঁড়ে
ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়।
আবার কোত্থেকে রক্তবীজের বংশের দাপটে
করাল কৃষ্ণছায়ায় পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়।
এই মহাঝড়ে দিন রাত শুধু সোঁ সোঁ শব্দ,
নদীর জল বেড়ে কত জায়গায় ঘর পড়ে যায়।
নদী-নালা জলে ভেসে গিয়ে গরু-বাছুর সব দাঁড়িয়ে ভেজে
ছাচতলায়, বাঁশবনে বা গাছের তলায়।
পাখীদের শব্দ থাকেনা
এই সময় কোনোও দিকে।
চার পাঁচদিন একই ভাবে কাটে
কেবল ঝড়ের শব্দ আর অবিশ্রান্ত বৃষ্টি থাকে।
বিঃ দ্রঃ – এটি শ্রী বিভূতিভুষন বন্দ্যোপাধ্যয়ের পথের পাঁচালী
অনুসৃত।