• || শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা ও কংস বধ||
    Poetry

    || শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা ও কংস বধ||

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Shree Krishner balya leela o kansho bodh

    শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলা

                সবার মুখে মুখে।

    আমারও তো বলার ইচ্ছা

                বলি মনের সুখে।

    পুতনা বধ

    কংস রাজা কৃষ্ণ বধিতে

                  গোকুলে পাঠায় পুতনাকে।

    পুতনা বিষ মাখানো স্তন্যপান করাতে

                   সে ধরে আনে কৃষ্ণকে ।

    পুতনার মৃত্যু হয়

                  কৃষ্ণের প্রবল স্তন্যপানে।

    তৃণাবর্ত বধ

    কংস এবার গোকুলে পাঠায়

                   তৃণাবর্ত অসুরকে।

    তৃণাবর্ত ঘূর্ণি ঝড় সৃস্টি করে,

           সেই ঝড়ে সে তুলে নেয় কৃষ্ণকে।

    কিছু পরে দেখা যায়

               তৃণাবর্তের মৃতদেহ পড়ে আছে।

    তার পাশে কৃষ্ণ মনের খূশিতে

                বসে খেলা করে যাচ্ছে।

    বিশ্বরূপ দর্শন

    খেলার ছলে কৃষ্ণ একদিন

                   মাটি মুখে দিচ্ছিল।

    যশোদা মা কৃষ্ণকে

                মুখ খুলে দেখাতে বললো।

    কৃষ্ণ তখন হাঁ করে

                মা কে মুখটি দেখাল।

    মা হতবাক হয়ে কৃষ্ণের মুখের ভেতর

               বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ড ঘুরছে দেখতে পেল।

    কালিয়দমন

    বৃন্দাবনে কালিন্দীর কাছেই

                  কালিদহ হ্রদ আছে।

    বিষধর সাপ কালিয়নাগ

                  সেই হ্রদেই থাকে।

    এতো বিষ তার শরীরে য়ে তার জন্য

         পুরো হ্রদটিই বিষাক্ত হয়ে গেছে।

    একদিন কৃষ্ণ সখাদের সঙ্গে

                 বল নিয়ে খেলা করছে।

    হঠাৎই সেই বল

                পড়ে যায় হ্রদের জলে।

    কৃষ্ণ বলটি আনতে নেমে যায়

                 কাউকে কিছু না বলে।

    কৃষ্ণকে অন্য সাপেরা ঘিরে ধরে,

            তারপর নিয়ে যায় কালিয়ের কাছে।

    কৃষ্ণ নিজের দেহকে আরও বড় করে

              কালিয়কে আঘাত করতে থাকে।

    কালিয় নিজের ভুল বুঝতে পেরে

                কৃষ্ণের কাছ ক্ষমা চেয়ে নেয়।

    একটু পরে দেখা যায় কালিয়ের ফণায়

          কৃষ্ণ ত্রিভঙ্গে দাঁড়িয়ে বাঁশী বাজিয়ে যায়।

    রাসলীলা

    কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে

        তখন কৃষ্ণের বয়েস প্রায় নʼবছর।

    কৃষ্ণের বাঁশী শুনে রাধা পাগল হয়ে যায়,

                                  ছুটে চলে  আসে কৃষ্ণের কাছে।

    ব্রজ গোপীরা কৃষ্ণের সান্নিধ্য পেতে

                                      ব্যাকুল হয়ে তার কাছে আসে।

    এই দিন কৃষ্ণ সবার সুপ্ত ইচ্ছা পূর্ণ করতে

                     রাধা ছাড়াও সবার সাথে নৃত্য করতে থাকে।

    প্রত্যেক গোপী আপ্লুত হয়ে ভাবে ও দেখতে পায়

                                 যে সে কৃষ্ণের সঙ্গে নৃত্য করছে।

    কংস বধ

    কংস ধনুর্বিদ্যার প্রতিযোগিতার

                                     আয়োজন করে মথুরায়।

    কৃষ্ণ-বলরামের বীরত্ব গোকুল ও মথুরার অনেকেই জানে,

                        জানে তাদের সাহসিকতাও।

    তাই অনেক রাজা-মহারাজাদের সঙ্গে

                   কৃষ্ণ-বলরামের নিমন্ত্রণ সেই প্রতিযোগিতায়।

    কৃষ্ণ-বলরাম যখন মথুরা প্রবেশ করছে

               তখন তারা দেখে সমস্ত পথঘাট ফুলে ফুলে সাজানো।

    কংসের কাছে খবর যায় দু-ভাইয়ের আগমন

       কংস পাগলা হাতি পাঠায় ওদের পিষে মারার জন্য।

    কৃষ্ণকে শুঁড় তুলে হাতিটি অভিবাদন করে

                                  তাকে তারপর পিঠে তুলে নেয়।

    এরপর কংসের অনুগত দুই মল্ল মুষ্টিক ও চানুর আসে

                                      এবং দুই ভাইকে আক্রমণ করে।

    প্রচন্ড মল্ল-যুদ্ধের পর

                       ক়ষ্ণ-বলরাম ওদের পরাস্ত করে।

    ওরা প্রতিযোগিতা মঞ্চতে কংসকে দেখতে পেয়ে

                              দুই ভাই মঞ্চে উঠে যায়।

    কৃষ্ণ কংসের চুলের মুঠি ধরে

               সিংহাসন থেকে কংসকে ফেলে দেয়।

    কংস প্র্তিহত করার চেষ্টা করে

          কিন্‌তু কৃষ্ণ তাকে পরাস্ত করে বধ করে।