-
স্বপ্নের রূপকথা
Audio File:
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
রূপকথা হয় রাজা, রানি
আর দৈত্যের গল্প দিয়ে।
এটি যে এক সত্যি কাহিনি
এক বাঙ্গালীর জীবন নিয়ে।
একটি শিশু বড় হয়
তার মধ্যবিত্ত জীবনে।
স্বপ্নে দেখে নানান ছবি
সে তার ছোট্ট ভুবনে।
সবাই বলে, পড়াশুনা করে বড় হয়ে
ভাল চাকরি পেতে হবে।
তবেই হবে সার্থক জীবন
ভাল রোজগার করতে হবে।
ছোট্ট শিশু বড় হয়
পৌঁছোয় সে কৈশোরে।
পড়াশুনা, থেলাধুলা আর
তার স্বপ্ন লালান করে।
বড়রা বলে- পড়াশুনা করো, বড় হও
অন্য সবকিছু তোমার অবসরে।
নইলে যে ভবিষ্যত গন্ডগোল
ভাল চাকরি আর রোজগার অন্ধকারে।
ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম তার
দেখতে সুন্দর, সুঠাম তার সাস্হ্য।
বাবার চাকরি বি এস এন এল-এ
মা সংসার সামলাতেই ব্যস্ত।
ছোটবেলায় দিন কেটেছে
পশ্চিম বাংলার বাইরে।
ইডলি-দোসা-উপমা খেয়ে
সূদুর চেন্নাই শহরে।
আর সকলের মতোই সে
খেলতে বেশী ভালবাসে।
ক্রিকেট খেলতে ব্যাটিং আর
উইকেট কিপিং করে সে।
স্বপ্ন দেখে ক্রিকেটে তার
মহেন্দ্র সিং ধনি হওয়ার।
সে স্বপ্ন সত্যি হবে কি
এ চিন্তা সদাই যে তার।
কʼজনই বা হয় বিরাট কোহলি,
তেন্ডুলকার বা এডাম গিলখ্রীষ্ট।
সবাই বলে পড়াশুনা ভাল করে
হতে হবে তোমায় বেষ্ট।
মনোযোগী ছাত্রের মতো
তারও হলো সে রকমই।
খেলাধূলা ছেড়ে দিয়ে
মন দিল সে গ্রাজুয়েসনে পড়াতেই।
ভর্তি হলো সে আর্কিটেকচার নিয়ে
চেন্নাইয়ের এ আর এম কলেজে।
দূরে মাঠে খেলা দেখে
মনটা মাঝে মাঝে ব্যাকুল হয় যে।
নিয়ম মতো ফিফ্ত ইয়ারে
থিসিস জমা দিতে হয়।
তার বিষয়বস্তু দেখে সবাই
তাজ্জব হয়ে যায়।
সেটি ছিল একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
সব কিছু সুবিধা নিয়ে যত।
তার মনে যে ক্রিকেট বাসা বেঁধেছে
বাবুই পাথীর বাসার মতো।
ছেলে আর্কিটেকচার পাশ করে
ছোটে না চাকরির খোঁজে।
বাড়ীতে বসে চিন্তা করে
কোন কাজে রোজকার করবে সে।
রোজগারের মাধ্যম হিসেবে
সে ক্রিকেটকেই পছন্দ করে।
কিন্তু ক্রিকেট খেলবে কেমন করে
তার এই বিনা রোজগারে।
চেন্নাইয়ের ডি প্লাস ওয়াই আর্কিটেক্টস ইন্টিরিয়রে
চাকরি নিল সে আর্কিটেক্টেরের।
মাইনের পয়সা দিয়ে
খরচ জুটবে ক্রিকেটের।
দুʼবছরের চাকরি ছেড়ে যোগ দিল
সে পুরোপুরি খেলার মাঠে।
কোচের কথামতো সে তখন
ব্যাস্ত ফার্স্ট বোলিং করতে।
একদিন এক ম্যাচে তার
সাংঘাতিক চোট লাগে হাঁটুতে।
ফার্স্ট বোলিং-এ আত্মপ্রকাশ
শেষ হয়ে যায় তার এই চোটেতে।
তবে কি শেষ হয়ে গেল
তার ক্রিকেট কেরিয়ার?
মাথা খুঁরে চিন্তা করে সে উপায়
ক্রিকেট মাঠে ফেরার।
শেষে স্পিন বোলিংই হয় উপায়
ক্রিকেট স্বপ্ন সফল করার।
ইউটিউবে অনিল কুম্বলের বোলিং দেথে
চেষ্টা করে সে পারফেক্ট হওয়ার।
আর্কিটেক্টের সহজ বিদ্যে দিয়ে হাতের কোন,
বলের যাওয়ার পথ বুঝতে থাকে।
এ সব বুঝে আয়ত্ব করে
প্র্যাকটিস করে কঠোর ভাবে।
স্পিনের জাদু দেখিয়ে, সিয়াকেম মাদুরাই
প্যানথার্স তাকে দলে নেয়।
তার মারাত্বক বোলিংয়ে মাদুরাই দল
চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
ছেলেটির বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়ে
আই পি এল-এ পান্জাব তাকে নেয়।
পরের বছর নাইট রাইডার্স
বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়ে সাকসেস পায়।
মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ এরমধ্যে
ভারতের টি টোয়ন্টি খেলে ফেলেছে।
আগামী দিনে ওয়ান ডে ও টেস্টেও
ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে।
-
|| চ্যাটার্জীবাবুর একদিন ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Chatterjee Babur Ekdin
অসিত কুমার চ্যাটার্জী, কোলকাতার
এক নামী কোম্পানীর সেলস এক্সিকিউটিভ।
ডিসিপ্লিন মানা ছেলে,
বিয়ে করেছে ছʼমাস আগে।
সময়ে অফিস যায়,
বাড়ীর সব কাজ করে আগে ভাগে।
আজ একটা মিটিং আছে দশটায়,
কাস্টমারের অফিসে যেতে হবে।
পনের মিনিটের ড্রাইভ
ঠিক সময়ে পৌঁছুতে হবে।
চান, খাওয়া দাওয়া সেরে
নিচে গাড়ীর সামনে আসে সাড়ে নʼটায়।
একি! গাড়ীর চাকা পাম্পচার!
ʼরতন, তাড়াতাড়ী আয়।ʼ,
কাজের লোক ছুটে আসে।
ʼএক্ষুনি স্টেপনির চাকাটা পাল্টে দেʼ
চাকা লাগানো হয়, চাকায় পাম্প কম,
কিন্তু ঘড়িতে তখন পৌঁনে দশটা।
অসিত দিব্যকে ফোন করে,
ʼতুই করে নে মিটিংটাʼ।
অসিত চাকায় হাওয়া ভরে অফিসে পৌঁছোয়
তখন ঘড়িতে পৌনে এগারটা।
বস অসিতকে জিজ্ঞেস করলো,
ʼপেলে দশ লাখের অর্ডারটা?
ʼনা স্যার, আমার গাড়ী পাম্পচার হয়েছিল,
দিব্য গেছে অর্ডারটা আনতেʼ।
বস গুম হয়ে চলে যায়।
একটু পরে দিব্য এল,
অসিত গেল কি হোলো জানতে।
ʼনা স্যার, হলোনা,
কাস্টমার আরও ডিসকাউন্ট চায়ʼ।
বস দিব্যকে ডাকে,
ʼএই দিব্য এদিকে আয়ʼ।
বস অসিতকে বলে,
ʼএটা দিব্যই হ্যান্ডেল করুক,
তুমি বরং বড় প্রজেক্টটার মিটিংটা করʼ।
অসিত বসকে জিজ্ঞেস করে,
ʼমিটিংটা কখনʼ?
ʼসাড়ে পাঁচটায় বলা আছে,
তপন,রবীন আর স্বাগতাকে ডেকে নাও এখনʼ।
সাড়ে পাঁচটায় মিটিং শুরু হয়
শেষ হয় সাতটায়।
আগে ভাগে বেরিয়ে
সিনেমা হলে পৌঁছোনোর কথা ছিল সাড়ে ছʼটায়।
ফোন করে দেয় বৌকে,
ʼদীপা, আমার যাওয়া হবে না, তুমি একা যেতে পারʼ।
বঔ বল্ল, ʼএ ভাবে হয় না, তুমি সিনেমা ছাড়ʼ।
অসিত বাড়ী ফেরে সন্ধ্যে আটটায়।
বৌয়ের মুখ হাড়ী, বল্ল,
ʼঅফিস ছাড়া তুমি আর কি পারʼ?
অসিতের মনটা খারাপ
কাস্টমারের মিটিংটা হোলো না।
জেনুইন অর্ডারটা পাবার কথা
সেটা এল না।
বৌ গেল রেগে
সিনেমার টিকিটটাও হলো নষ্ট।
দিনটা ভাল গেল না
মনেও থাকলো একটা কষ্ট।
তাড়াতাড়ি ডিনার সেড়ে
অসিত শুতে গেল ।
ভাবে, এত নিয়ম মেনেও
আজ সব কাজ পন্ড হলো।
হঠৎ মনে পরে সেই গীতার বাণী।
ফলের আশা ত্যাগ করে, কাজ করে যাও
ফল সময়ে পাবে।
কখন ঘুমিয়ে পরে
ভাবে, ফল ঠিক সময়ে নিশ্চয়ই আসবে।