-
|| সূর্য্যের আলো ||
Surjer Alo
Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
সূর্য্যের আলোকরশ্মি
সৃষ্টি হয় ম্যগনেটিক রেডিয়েসনের ফলে।
ওই রেডিয়েসনে উৎপন্ন কিছু ইলেকট্রন
পৃথিবীতে আসে তাকে আলো বলে।
বাকী ইলেকট্রন শুষে নেয়
বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্তর।
ইলেকট্রন আসে সূর্য্য থেকে পৃথিবীতে
যা প্রায় তিরানব্বই মিলিয়ন মাইল দূর।
সূর্য্যের সেই আলো
বিভিন্ন রঙের হয়।
সূর্য্যদয়ে তার রঙটি থাকে লাল
পরে সেটি সাদাতে রূপান্তরিত হয়।
সমস্ত দিন তার
ঐ সাদা রঙটি দেখা যায়।
সূর্য্যাস্তে সেটি ফিকে লাল বা
কনে দেখা আলো হয়ে যায়।
বৃষ্টির পরে কখনও কখনও
সূর্য়ের প্রতিসরণে রামধনু প্রকট হয়।
তখন পৃথিবী হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর
ওই রামধনুর সাতটি রঙের ছটায়।
-
|| সূর্য্যোদয় হলো ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Suryodaya Holo
সূর্য্যোদয় হলো।
বাড়ীর পূর্বদিকটা
এখনও একটু লাল হয়ে আছে।
হঠাৎ পূর্বদিকের উঁচু বাড়ীগুলোর
মাথা থেকে চারিদিক আলো করে দিচ্ছে।
পূব আকাশটা ঝকঝকে সাদা
হয়ে যাচ্ছে।
নতুন একটা ভোর, নতুন একটা দিন
নতুন একটা সকাল।
সূর্য্যোদয় হলো।
পুরীর সমুদ্রের পূবদিকের জল থেকে
সূর্য্য উঠে এল লাল আকাশ সাদা করে।
সূর্য কিরণে সমুদ্রের
পূর্বদিকটা চকচক করছে।
বীচে দাঁড়ানো মানুষেরা মোবাইলে
একটার পর একটা ছবি তুলছে।
সূর্য্যোদয় হলো।
কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়াটা হঠৎ ঝকমকিয়ে উঠল।
পূবাকাশে লালের সঙ্গে আরও
নানা রঙ দেখা গেল।
মানুষেরা তাদের দৃষ্টির অপলক ক্যামেরায়
স্মৃতিতে অজস্র ছবি সৃষ্টি করছে।
সূর্য্যোদয় হলো।
একটি শিশু জন্ম নিল হসপিটালে
একটু আগেই সে জন্মেছে।
হসপিটালের ছোট্ট বেডে শুয়ে শুয়ে
সে নতুন পৃথিবী দেখছে।
আগামী দিনে এই শিশুটিই বড় হয়ে
হয়ত কেউকেটা মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
সূর্য্যোদয় হলো।
একটি মেয়ে নতুন বিয়ে হয়ে
শ্বশুড়বাড়ী যাচ্ছে।
তার মনে অজস্র চিন্তা
নতুন এই জীবনটি কেমন হবে?
ছোটোবেলাকার অনেক স্বপ্ন কি
বাস্তবতায় পরিণত হবে?
নানান এই ʼহবে?ʼর দুশ্চিন্তায়
সে জর্জরিত মনে।
জীবনের সব কʼটি ফুল হয়ত
সে ফোটাতে পারবে কোনও একদিনে।
সূর্য্যোদয় হলো।
একশো তিন বয়েসের এক বৃদ্ধ আজ মৃত্যুশয্যায়
তার একমাত্র ছেলে গভীর চিন্তায় মগ্ন।
তার তো বাবা ছাড়া আর কেউ নেই
সে কি একা চলতে পারবে, মিটবে তার স্বপ্ন?
সূর্য্যোদয় হলো।
পৃথিবীতে রোজই সূর্য্যদয় হয়
কতশত সূর্য্য নতুন করে জন্মায় সেই দিনে।
সেই সব সূর্য্যের অনেকগুলো
সার্থকতার ছবি দেখে জীবনের আকাশে।
আর কিছু সূর্য্য স্বপ্নভঙ্গের শোকে
হারিয়ে যায় অবশেষে।
-
।। টাইগার হিল ।।
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Tiger Hill
টাইগার হিল বললে
সবাই এক ডাকেতেেই চেনে।
অসাধারনণ সৌন্দর্য্য সে এক
একথা কে না জানে?
দারজিলিং পৌঁছনোর দিন
রাস্তা থেকে দেখি।
সূর্য্যাস্তের গোধুলি আভায়
চমকপ্রদ সেকি!
একদিন পরে সকালবেলায়
টাইিগার হিলে যাই।
দিনটা ছিল নভেম্বরের দু তারিখ
দু হাজার বাইশেই।
আমাদের হোটেলটা ছিল
ম্যালের ওপরে।
গাড়ী আসবে না ম্যাালর রাস্তায়
গাাড়ী দাঁড়ালো ম্যালের মোড়ে।
ভোর সাড়ে তিনটেয়
স্টার্ট করলো গাড়ী।
রাস্তায় কি ভীষণ জ্যাম
কি যে আর করি।
শামুকের গতিতে চলে গাড়ী
পৌঁছোই ভোর পাঁচটায়।
তথনও সূর্য্যদেবের দেখা নেই
হননি উদয়।
লাাল সূর্য্যদেব
একটু পরেই দেখা দিলেন।
ভাগ্যক্রমে সেদিন
পরিস্কার আকাশে নেই মেঘ ভিলেন।
একটু পরেই কান্চনজংঘার শৃঙ্গ
উদ্ভাসিত হʼল লাল আলোয়।
ভোরের সেই ঠান্ডা পরিবেশে
সে দৃশ্য অসাধারন মোহময়।
ক্রমে লাল আলো
ফিকে হতে হতে সাদা হয়েছে।
দুধের মন সে রঙ
বরফের ওপর পড়েছে।
প্রতিফলনে সোনার মতো চকচক করছে
কান্চনজংঘার শৃঙ্গগুলো।
অসাধারন সে ছবি,
একের পর এক ছবি তোলো।
আশ মিটিয়ে ছবি তোলার পর
দেখি এক নেপালী মেয়ে কফি খাওয়াাচ্ছে।
কফি খেলাম সবাাই মিলে
তখন চোখ বাারবার এ দৃশ্য দেখছে।
ফেরার মধ্যে নেই
তেমন কোন গল্প।
গাড়ী পৌঁছোলো হোটলে
তখন ক্ষিদে পাচ্ছে অল্প অল্প।