-
|| আ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড সিন্ড্রোম ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Alice in Wonderland Syndrome
বিখ্যাত গল্প আ্যালিস ইন ওযান্ডারল্যান্ড
গল্পে আ্যালিসের আকার
বদলে যেত খাবার পরে।
একটি রোগ আছে
যা সবসময় এই গল্পের পথ ধরে।
নʼবছরের অস্ট্রেলিয়ার মেয়ে মাকে বলে,
রাস্তার সব বাড়ীগুলো সব বড় হয়ে যাচ্ছে।
তার আবার স্কুলে মনে হয়
টিচারের মাথাটা বড় দেখাচ্ছে।
ইংল্যান্ডের আটচল্লিশ বছরের একজনের
ছোটোবেলা থেকেই নিজের হাত দুটোকে বড় মনে হতো,
আর আশেপাশের বাড়ীগুলোকে
খুব ছোটো মনে হতো।
ওপরের দুটি ক্ষেত্রে
দুটি মানুষেরই আ্যালিস রোগ হয়েছে।
এই রোগ দৃষ্টি, শ্রবণ ও স্পর্শ ইন্দ্রিয়ের
প্রবলেম থেকে শুরু হয়।
আবার কখনোও কখনোও দেখা বা শোনা
এসবের ইলিউশনেও এ রোগের সৃষ্টি হয়।
এটি কোনোও
মানসিক প্রবলেম নয়।
বরং নিউরোলজিক্যাল বা
নার্ভের প্রবলেম থেকে হয়।
আমাদের ব্রেনে ইলেকট্রিক্যাল আ্যাকটিভিটি
যখন অস্বাভাবিক হয়ে পরে
তখনই এই রোগের
জন্ম হয়।
মস্তিস্কের যে অঞ্চলে
দৃষ্টি ব বাহ্যিক সেন্স থাকে,
সেখানে রক্তপ্রবাহ কম হলে
এই অসুখের সৃষ্টি হতে থাকে।
কারো কারো ক্ষেত্রে, কোবিডের পরেই
এই রোগের সূত্রপাত হয়।
স্ট্রোক, ব্রেন টিউমার, মৃগী, মাইগ্রেন
এ সব থেকেও আ্যালিস শুরু হয়।
স্কিৎসোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন ও বিভিন্ন
ভাইরাস থেকেও এটি হতে পারে।
তাই এর চিকিৎসা পদ্ধতি
বিভিন্ন রকম ভাবে করতে হতে পারে।
-
|| দৃষ্টি ||
Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita
Sight
মানুষ দেখতে পায়
কুড়ি ফুট দূরের জিনিষ।
কারো কারো চোখ খারাপ
তার দৃষ্টি দশ বা পনের ফুটেই শেষ।
কিন্তু আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না
এমন অনেক কিছু আছে।
ব্যাকটেরিয়া বা মলিকুল দেখা যায় না
সেটা থাকলেও ধারে কাছে।
পাখি মানুষের থেকে
অনেক শার্প দেখে।
আলোর আলট্রা ভায়োলেট ফ্রিকোয়নসিতে
যাতে মানুষ দেখতে পায় না, সেটা পাখি দেখে চোখে।
বৈজ্ঞানিক মতে, পাখির দৃষ্টিশক্তি
মানুষের থেকে প্রায় আট গুণ ক্ষুরধার।
ঈগল পাখি অনেক দূর থেকে
ধরে তার শিকার।
অন্ধকারে পেঁচা খুব সহজে
দেখতে পায়।
তবে দৃষ্টিশক্তি সকালের থেকে
রাত্রে অনেক কমে যায়।
মানুষ কম দৃষ্টিশক্তি নিয়েও
পশুপক্ষীদের ডমিনেট করে।
এটা সম্ভব কারণ মানুষের অনেক বেশী
চিন্তা ও বুদ্ধির জোরে।
চর্মচক্ষে মানুষের ক্ষমতা কম
কিন্তু মানস চক্ষে সে করে বিশ্বজয়।
তাই সে ভগবানের শ্রেষ্ঠ জীব
নেই তার কোনও কিছুতেই ভয়।
মেডিক্যল সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স
মানুষ আজ পৌঁছেছে কত ওপরে।
এ তো ভাবনার অতীত
দশ বছর আগেও, এ ছিল কল্পনার বাইরে।
মানুষের ভিসনের জোরে
সে এ সব করতে পারছে।
তাই চর্মচক্ষুতে নয়, চিন্তা ও কল্পনাশক্তি দিয়ে
সে বিশ্বজয় করছে।