• মানুষকে মনে রাখা
    Poetry

    মানুষকে মনে রাখা

    Audio file

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Remembering a human being

    মানুষ যখন চলে যায়

                  থাকে দুটি দিন।

    স্মরণ করে, মালা পরায়

            ঐ জন্মদিন আর মৃত্যুদিন।

    তার কাজের হিসেব থাকে তখন

                   সবার অবচেতনে।

    কাজটি যেদিন ঠিক হয়না

                   মনে পরে সেই দিনে।

    ছবির দিকে তাকিয়ে কেউ

                  যখন এক মিনিটও ভাবে।

    মনের ভেতর উথাল পাথাল

                   মনটা কেন কাঁদে?

    কাজটুকুই যে সম্বল তার

                  সেটাই থাকে সবার মনে।

    প্রিয়জনের স্মৃতি হয়ে

                  থাকে সে মনের কোনে।

  • || ভক্ত – দ্বিতীয় অংশ ||
    Poetry

    || ভক্ত – দ্বিতীয় অংশ ||

    Bhakta Part Two

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    একটু পরে নিজেকে সামলে জমিদারবাবু বললেন,

                 ʼতুমি আজকে থেকেই এখানে আসতে পারʼ।

    ʼআমার অন্দরমহলে একটা কাজ আছেʼ

                      ʼসেটা তুমি চাইলে করতে পারʼ।

    ʼকাজটা একটু ঝামেলারʼ

                    ʼআমার ফাই-ফরমাস খাটতে হবেʼ।

    ʼতোমার এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হবেʼ,

                 ʼআর  মাসে তিন হাজার টাকা মাইনে পাবেʼ।

    ভক্ত তো এক কথায় রাজী

            বললো, ʼআমি কৃপাকে বলে আসছিʼ।

    ʼএকটু পরেই আমি গোপালজীকে ʼ

             ʼসঙ্গে নিয়ে এখানে চলে আসছিʼ।

    একটু পরেই ভক্ত জমিদার বাড়ীতে

                    এসে হাজির হলো।

    একটা বিরাট ঘরে

                     তার থাকার ব্যবস্থা হলো।

    এত বড় ঘর সে দেখেনি আগে

           মনে মনে গোপালজীকে বারবার ধন্যবাদ দিল।

    ভাবলো গোপাজীর কৃপায়

            জমিদার বাড়ীতে তার ঠাঁই হলো।

    ছোট্ট একটা টেবিল যোগার করে

             সে গোপালজীর আসন পাতলো সেখানে।

    গোপালজীর খাট তো সে নিয়ে আসেনি বাড়ী থেকে

           তাই টাকা পেলে সে গোপালজীর একটা খাট আনবে কিনে।

    ভক্ত মন দিয়ে কাজ করে,

            আর গোপালজীর সেবা করে দু বেলা।

    জমিদারবাবুও খুব খুশি তার কাজে

            সে একটুও করে না কোনও কাজে অবহেলা।

    মাঝে মাঝে কৃপা আসে

             তার সঙ্গে দেখা করতে।

    সেও গেছিল কৃপার জন্মদিনে

              ছুটি নিয়ে কৃপার বাড়ীতে।

    সে কৃপার কাছে গল্প শুনেছে

          জমিদার বাড়ীতে দূর্গা পুজো হয় মহা ধুমধাম করে।

    তখন একটা মজার ব্যাপার হয়।

         দশমীর দিন জমিদারবাবু প্রজাদের সঙ্গে বসে খান পুজোর পরে।

    এক প্রকান্ড মাঠে  আসন পেতে বসে

                  মা দূর্গার ভোগ সবাই একসঙ্গে খায়।

    তবে এটা শুধু এ গ্রামের প্রজারা ও তাদের বাড়ীর লোক

                   এই ভোগ খাবার নিমন্ত্রণ পায়।

    প্রসাদ প্রতিজনে একবার করেই পায়।

              আর সেটা মাঠের বাইরে নিয়ে যাওযা মানা।

    তাই বাইরের কেউ

                 এ প্রসাদ খেতে পায় না।

    কিছুদিন বাদে, দূর্গা পুজোর দিন চলে আসে।

           মহাসমারোহে জমিদার বাড়ীতে দূর্গা পুজো শুরু হয়।

    ভক্তের এসময়ে কাজের আর শেষ নেই

                সে মন দিয়ে সব কাজ করে যায়।

    ভক্ত সামনে থেকে দূর্গা পুজো দেখেনি আগে

               তাই তার খুব ভাল লাগে পুজোর সব কাজ।

    সপ্তমী, অষ্টমী আর নবমী কেটে যায় ভালোলাগার ঘোরে

               মায়ের দশমী পুজো আজ।

    মায়ের ঘট বিসর্জন হয়ে গেছে

                               সকলেরই মন খারাপ আজ।

    আবার মা আসবেন আবার এক বছর পরে

       বিকেলে প্রতিমা নিরন্জনে ভক্তের অনেক কাজ।

    দুপরে সেই বহু প্রতিক্ষিত

                  মাঠে বসে প্রসাদ খাওয়ার সময় এসে গেছে।

    ভক্ত সব কাজ সেরে

                   অনেকের সাথে মাঠের দিকে যাচ্ছে।

    হঠাৎ এক বুড়ো ভিখিরি

                        রাস্তায় তার জামা ধরে ডাকলো।

    সে সবাইকে এগিয়ে যেতে বলে

                       ভিখিরির কাছে এগিয়ে গেল।

    ʼআমাকে একটু প্রসাদ দেবে গোʼ

                 ʼজানি প্রসাদ দেওযা বাইরে মানাʼ।

    ʼতুমি তো জমিদারবাবুর খাস লোকʼ

               ʼতাই তুমি এটা পারবে, এটা আমার জানাʼ।

    ʼআচ্ছা আমি দেখছিʼ,

                             ʼতুমি এখানেই বসোʼ।

    ʼআমি তোমার জন্যেʼ

                             ʼএখানেই প্রসাদ আনবʼ।

    কিন্তু ভেতরে সে একটার বেশী

                             প্রসাদ পেল না।

    তাই নিজের প্রসাদটাই

            ভিখিরিকে দিয়ে ঘরে চলে গেল।

    সে না খেয়েই

               বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভারছে।

    জমিদারবাবুর কথা অমান্য করে

               সে বাইরের মানুষকে খাইয়েছে।

    হয়ত তার চাকরিটাই চলে যাবে

               এই অমান্য করা কাজে।

    ক্লান্ত শরীরে কখন

                         চোখটা বন্ধ হয়ে গেছে।

    ঘুম ভেঙ্গে দেখে

                      জমিদারবাবু তাকে ড়াকছে।

    জমিদারবাবু তার হাতে

                        প্রসাদের থালা দিয়ে বললো,

    আমি সব শুনেছি

                       তোমার কান্ড কারখানা।

    তুমি আমার চোখ খুলে দিয়েছ

              পরেরবার থেকে সবাই প্রসাদ পাবে।

    যে আসবে, সেই মাঠে বসে

                              আমার সঙ্গে খাবে।

    ভক্ত সব কথা শুনে

                  খুশিতে তার চোখে জল এসে গেল।

    জমিদারবাবু খুশি হয়ে

                   আরও দায়িত্বপূর্ণ কাজ ভক্তকে দিল।

  • || ভক্ত – প্রথম অংশ ||
    Poetry

    || ভক্ত – প্রথম অংশ ||

    Bhakta – Part One

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    গোপালজীকে নিয়ে যাচ্ছে ভক্ত

               এক্কেবারে একা যাচ্ছে সে।

    একটা মানুষই ভক্তের সঙ্গে ছিল এতদিন

               একটু আগেই ইহলোক ছেড়েছে সে।

    মানুষটি আর কেউ নয়

               সে ভক্তের ঠাকুমা।

    ছোটবেলা থেকে সেই

               ভক্তের বাবা ও মা।

    সেই ছোট্ট ছেলে ভক্তকে

                ঠাকুমাই মানুষ করেছে।

    তাই ঠাকুমা মারা যাবার পর

            ভক্ত পৃথিবীতে এক্কেবারে একা হয়ে পরেছে।

    ছোটোবেলা থেকেই সে হাত জোর করে

           বসে থাকতো গোপালজীর কাছে।

    তার ভক্তি দেখে ঠাকুমাই

                ওর নাম ভক্ত রেখেছে।

    বিকেলবেলা ভক্ত ঠাকুমাকে দাহ করে

      চোখে জল আর গোপাজীকে নিয়ে চলেছে।

    কোথায় যাবে তা সে জানে না

      যেতে যেতে হঠাৎ তার বন্ধুর কথা মনে পরেছে।

    গ্রাম ছাড়িযে একটা ছোটো রাস্তা

       সেটা পেড়িয়েই পাশের গ্রামে বন্ধু থাকে।

    সেখানেই যাবে ঠিক করলো সে

       তাই জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যেতে থাকে।

    পাশের গ্রামে পৌঁছে তার মনে পরলো

           সকাল থেকে তার কিছু খাওয়া হয়নি।

    গোপালজীরও পুজোও হয়নি,

           ভোগ নিবেদনও করা হয়নি।

    সামনে একটা মিষ্টির দোকান দেখে

            সে সেখানে দাঁড়িয়ে পরলো।

    তার কাছে যা পয়সা ছিল

            তা দিয়ে দুটো জিলিপি কিনে ফেনলো।

    ভালকরে হাত ধুয়ে সে বাইরে রাখা

            একটা বেঞ্চির কোণায় গিয়ে বসলো।

    ʼখাও বাবা, বেশী পয়সা তো নেই, এটাই খাওʼ

        মনে মনে এই কথা গোপালজীকে প্রার্থণা করে বললো।

    মিনিট খানেক বাদে ঠোঙা থেকে

            বার করে সে জিলিপি দুটি খেলো।

    তারপর দোকান থেকে

             একটু জল খেয়ে নিলো।

    দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে, রাস্তাটা বুঝে

         সে বন্ধুর বাড়ীর দিকে হাঁটতে শুরু করলো।

    একটু পরেই সে তার বন্ধু কৃপার

             বাড়ীতে পৌঁছে গেল।

    কৃপা বন্ধু ভক্তকে দেখে

              দারুন খুশি হলো।

    অনেকদিন পরে বন্ধুকে পেয়ে

              নানান গল্প শুরু হয়ে গেল।

    কিছু পরে  কৃপার মা রাত্রের খাবার খেতে ডাকলো.

              খাবার শেষে আবার গল্প শুরু হলো।

    অনেক রাত্রি পর্যন্ত চললো সেই গল্প

         ভোররাত্রে দুজনেই অজান্তে ঘুমিয়ে পরলো।

    সকালে উঠে কৃপা বললো

             ʼচল যাই জমিদারবাবুর বাড়ীতেʼ।

    ʼআমার ওখানে যেতে হবেʼ

         ʼউনি একটা কাজ দিয়েছেন আমাকেʼ।

    জমিদারবাবুর গল্প কাল রাত্রে হয়েছে,

                 উনি প্রজাদের ভগবান।

    কেউ কোনও অসুবিধায় পরলে

             সবাই তার সাহায্য পায় নানান।

    দুই বন্ধু একটু পরেই

             জমিদারবাবুর বাড়ীতে পৌঁছে গেল।

    কৃপা ভক্তকে একটা বেঞ্চিতে বসিয়ে

             নিজের কাজে চলে গেল।

    একটু পরেই জমিদাররবাবু

             সেখানে উপস্থিত হলেন।

    বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলে

             ভক্তের সামনে এসে দাঁড়ালেন।

    ʼতোমাকে তো আগে দেখিনিʼ

                   ʼতুমি কি নতুন এসেছো এখানেʼ?

    ভক্ত তার পরিচয় দিল

                         তার সব ঘটনা জমিদারবাবুকে বললো।

    ভক্তের কথা শুনে

                          জমিদারবাবু এতই দুঃখ পেলেন,

    যে তাঁর দুচোখ ছলছলিয়ে উঠলো,

                                 তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন।

    চলবে……..

  • || সাকসেস পেতে  ||
    Poetry

    || সাকসেস পেতে  ||

    Success Pete

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    মনটা ভাল আছে?

         ওকে তো নিতেই হবে।

    তাই খারাপ হলে

         জোর করে হাসতে হবে।

    রাত্রের অন্ধকারের পর

          প্রতিদিন সূর্য্য ওঠে।

    অন্ধকার মেঘে ঢাকা পৃথিবীতেই

          কিছু পরে ঝলমলিয়ে রোদ্দুর ওঠে।

    অন্ধকার মেঘে শান্ত থেকে

           রোদ্দুরে মনও ঝলমলিয়ে উঠবে।

    কালের নিয়মে, সময়ের হাত ধরে

          দুঃখের পর ভাল দিনও আসবে।

    ভাবতে হবে, পৃথিবীতে যা হচ্ছে

            তা ভালোর জন্যই হচ্ছে।

    মানব জীবনে যন্ত্রণা তো থাকবেই

            সেটাকে ভুলতে হবে।

    পরিশ্রম করে নিজের কাজ

            এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    স্বপ্নের মাইলস্টোন এ রাস্তার

               অনেকটা দূরে।

    মাঝে আবার পথটা গেছে

               একটু ঘুরে।

    রাস্তায় যে মাইলস্টোনগুলো দেখা যাচ্ছে,

            সেগুলো পেরোতে হবে আগে।

    ওগুলো পেরিয়েই পৌঁছোনো যাবে

           স্বপ্নের মাইলস্টোনের সীমানায় কাছে।

    পুরোনো হোঁচট খাওয়াটা মনে রেখে

               ওই রাস্তায় হাঁটতে হবে।

    নিজের ওপর ভরসা রেখে

         কাজগুলো এক-এক করে শেষ করতে হবে।

    প্রচেষ্টা ও সাহস দেথে, ভগবানও একটা হাত ধরে

                  এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    থামা চলবে না সেই স্বপ্নের

                মাইলস্টোন না পেরিয়ে।

    গন্তব্যে পৌঁছে পিছনে তাকিয়ে দেখ

                অনেকটা পথ এসেছো ছাড়িয়ে।

  • || পরিক্রমণ ||
    Poetry

    || পরিক্রমণ ||

    Audio File

    Please Visit & Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Parikraman

    একটি মানুষ জন্মায় পৃথিবীতে

               হাতে নিয়ে অনেক কাজ।

    সে ক্রমে ভুলতে থাকে

               তার যা ছিল করার আজ।

    সে তার নিজের পরিবেশে

             হয়ে ওঠে অন্য এক মানুষ।

    হয়ত সে আজ নিজেরই বিপরীত-মনস্ক

                নেই কোনও তার হুঁশ।

    অন্য আরেকজন, শুরু থেকেই কাজ করে,

               নিজের কাজের লিস্ট দেখে।

    যেমন কাজে পাঠানো তাকে

               তেমন কাজই চলতে থাকে।

    ওপরওলা পাঠায় যখন

               ভাল কাজের লিস্ট দিয়ে।

    কেউ হয় ডাকাত, কেউ মনিষী

                আপন কাজের পথে এগিয়ে।

    ফাইনাল রেসাল্ট শেষের দিনে

                জানতে গারে নিজেরটুকু।

    অচিনপুরের যাত্রী সে আজ, রেজাল্ট হাতে

              করে পরের যাত্রার হিসাবটুকু।

  • || মন ভালো করে ||
    Poetry

    || মন ভালো করে ||

    Audio File

    Please Subscribe my Youtube Channel : Keleedas Kobita

    Mon Bhalo Kore

    মন ভালো করে

           চলোরে সবাই।

    মন ভালো হলে

          কাজ ভালো সদাই।

    চিন্তামুক্ত, হাসি খুশি মনে

            যা হয় কাজ,

    তাতে মন আরও ভালো হয়,

      সে আরও খুশি হয় আজ।

    তাই ফলস্রুতির চিন্তা ছেড়ে,

        মানুষ যখন কাজটি করে,

    খুশি মনে যে কাজটি হয়েছে

        তা সার্থকতার পথটি ধরে।